অনলাইন

‘প্রলোভনে সংসার হারালাম, ধর্ষণের পর টাকাও খোয়ালাম’

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৭:৫২ পূর্বাহ্ন

ঝালকাঠীর টিনের আড়ৎদার ব্যবাসায়ী নয়ন তালুকদারের বিরূদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে বেতাগীর লাকী আক্তার। বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করে লাকি আক্তার। তার অভিযোগ, ১২ই জানুয়ারী রাতে তার মামার বাড়িতেই তাকে ধর্ষণ করা হয়।

অভিযুক্ত নয়ন ঝালকাঠী পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ডের ৩০নং ষ্টেসন রোডের বাসিন্দা ইসলাম ট্রেডার্সের মালিক মো: আবুল কাসেম তালুকদারের পুত্র। মামলার বাদি লাকি আক্তার বরগুনা জেলার বেতাগী থানার ফুলতলা গ্রামের মৃত আ: মজিদ খানের কন্যা।
 
মামলা সূত্রে জানাগেছে লাকি আক্তার মালেশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী ছিলেন। স্বামীর অবর্তমানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় নয়নের সঙ্গে। নয়নের বিবাহের প্রলোভনে লাকী আক্তার তার স্বামীকে তালাক দেয়। মোবাইলে যোগাযোগের এক পর্যায়ে সাক্ষাতে লাকিকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়ার কথা বলবে জানায় নয়ন। এমন প্রস্তাবে লাকি নয়নকে বেতাগী থানাধীন ১নং বিবিচিনি ইউনিয়নের তার মামা বাড়ি আসতে বলে। ১২ই জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে লাকির মামা বাড়িতে আসে নয়ন। কথা বার্তার এক পর্যায়ে নয়ন ওই বাড়িতে রাত্রি যাপন করে। নয়ন ঘরের সামনের রুমে ও লাকি পিছনের রুমে ঘুমাতে যায়। রাত ১১টার দিকে ধর্ষণ করে। এই সময় লাকীর ডাক চিৎকারে ওই ঘরের অন্যান্যরা উপস্থিত হলে নয়ন সবাইকে সাব জানিয়ে দেয় পরের দিন প্রকাশ্যে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে। বিধিবাম সকলে ঘুম থেকে উঠার আগেই নয়ন ওই বাড়ি হতে পালিয়ে যায়। এই ব্যপারে নয়নের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে নয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে ১৪ই জানুয়ারি বেতাগী থানায় হাজির হয় লাকি আক্তার।

অফিসার ইনচার্জ অভিযোগটি আমলে না নিয়ে লাকিকে উপহাস করে। এমনকি ওই থানার এসআইস সাইফুল ইসলাম নয়নের নম্বর নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। উপায়ন্ত না পেয়ে লাকি বরগুনা বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করে।

এ ব্যাপারে লাকি আক্তার বলেন, নয়নের প্রলোভনে পড়ে আমি স্বামীর সংসার হারালাম অপর দিকে ধর্ষণের শিকার হলাম। পাশাপাশি আমার পার্লার ব্যবসা করে জমানো টাকা পয়সা আত্মসাৎ করেছে নয়ন। আমার এখন মরণ ছাড়া কোন পথ নাই। আমি ন্যায় বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।

এ ব্যাপারে নয়নের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাকির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিলো, আমি অনেকবার তার সঙ্গে শারীরিক ভাবে মিলিত হয়েছি। বিনিময়ে ওকে দিয়েছি টাকা। এখন ওকে বিয়ে করতে হবে এর কোন মানেই হয় না।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status