বিশ্বজমিন
নিজের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারবেন না যে স্বামী
মানবজমিন ডেস্ক
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
ভারতের আহমেদাবাদের এক আদালত এক ব্যক্তিকে তার বাড়িতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। এ জন্য আদালত তাকে বাড়ি থেকে দূরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। যার বিরুদ্ধে আদালত এমন নির্দেশ দিয়েছে তিনি আম্রাইওয়াড়ির অনিল পাতানি। তার বিরুদ্ধে এমন নির্দেশ দিয়েছে মেট্রোপলিটন কোর্ট নং ৭। তার স্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্টের ১৯(১)এ ধারার অধীনে আদালত ওই নির্দেশ দেন।
এই দম্পতির বিয়ে হয় ১৯৯৪ সালে। কিন্তু অনিল পাতানির স্ত্রী রেশমি ২০১৭ সালে নিরাপত্তা বিষয়ক একজন অফিসারের মাধ্যমে আদালতের দ্বারস্থ হন। তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ভালই যাচ্ছিল। কিন্তু ২০১২ সাল থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। তারা একই ছাদের নিচে বসবাস করলেও তাদের মধ্যে কোনো দাম্পত্য সম্পর্ক হয় নি। বন্ধ হয়ে যায় শারীরিক সম্পর্ক। রেশমির অভিযোগ তার স্বামীর রয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। এ কারণেই তাদের মধ্যে এমন সম্পর্ক বিরাজ করছে। রেশমি বলেছেন, তার স্বামীর অনৈতিক সম্পর্কের কারণে তিনি তাকে তিন সন্তান সহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। এখন তাদের সন্তানরা বড় হয়েছে। তাই তিনি নিজের ও সন্তানদের ভরণপোষণ দাবি করেন। তার স্বামীর রয়েছে শহরে সম্পতি। এ ছাড়া কৃষিখাত থেকে আছে তার আয়।
অন্যদিকে অনিল পাতানি আদালতে বলেছেন, তার স্ত্রী বদমেজাজি। এ সময় অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেন। তাকে নির্যাতনের অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন। তাকে প্রহারের যে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, তার স্ত্রী তার মাকে পর্যন্ত প্রহার করতেন। তিনি বলেছেন, সন্তানদের নিয়ে ভাল জীবন যাপন করছেন তার স্ত্রী। তার সঙ্গে বসবাস করেন না অনিল। তিনি বসবাস করেন তার মার বাড়ির কাছে।
তবে তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের যে অভিযোগ এনেছেন তা আমলে নিয়েছে আদালত। তারা দেখতে পেয়েছে অনিলের রয়েছে এমন সম্পর্ক। এক্ষেত্রে ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার হয়েছেন এমনটা দেখতে পেয়ে আদালত রায় দিয়েছেন রেশমির পক্ষে। আদালত বলেছে, অনিল তার প্রকৃত আয় গোপন করার চেষ্টা করেছে। অনিল আদালতে দাবি করেছিলেন তিনি একজন শ্রমিক। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছে। উল্টো তার কন্যা ও স্ত্রীর ভরণপোষণ বাবদ প্রতি মাসে ৪০০০ রুপি করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এই দম্পতির বিয়ে হয় ১৯৯৪ সালে। কিন্তু অনিল পাতানির স্ত্রী রেশমি ২০১৭ সালে নিরাপত্তা বিষয়ক একজন অফিসারের মাধ্যমে আদালতের দ্বারস্থ হন। তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ভালই যাচ্ছিল। কিন্তু ২০১২ সাল থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। তারা একই ছাদের নিচে বসবাস করলেও তাদের মধ্যে কোনো দাম্পত্য সম্পর্ক হয় নি। বন্ধ হয়ে যায় শারীরিক সম্পর্ক। রেশমির অভিযোগ তার স্বামীর রয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। এ কারণেই তাদের মধ্যে এমন সম্পর্ক বিরাজ করছে। রেশমি বলেছেন, তার স্বামীর অনৈতিক সম্পর্কের কারণে তিনি তাকে তিন সন্তান সহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। এখন তাদের সন্তানরা বড় হয়েছে। তাই তিনি নিজের ও সন্তানদের ভরণপোষণ দাবি করেন। তার স্বামীর রয়েছে শহরে সম্পতি। এ ছাড়া কৃষিখাত থেকে আছে তার আয়।
অন্যদিকে অনিল পাতানি আদালতে বলেছেন, তার স্ত্রী বদমেজাজি। এ সময় অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেন। তাকে নির্যাতনের অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন। তাকে প্রহারের যে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, তার স্ত্রী তার মাকে পর্যন্ত প্রহার করতেন। তিনি বলেছেন, সন্তানদের নিয়ে ভাল জীবন যাপন করছেন তার স্ত্রী। তার সঙ্গে বসবাস করেন না অনিল। তিনি বসবাস করেন তার মার বাড়ির কাছে।
তবে তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের যে অভিযোগ এনেছেন তা আমলে নিয়েছে আদালত। তারা দেখতে পেয়েছে অনিলের রয়েছে এমন সম্পর্ক। এক্ষেত্রে ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার হয়েছেন এমনটা দেখতে পেয়ে আদালত রায় দিয়েছেন রেশমির পক্ষে। আদালত বলেছে, অনিল তার প্রকৃত আয় গোপন করার চেষ্টা করেছে। অনিল আদালতে দাবি করেছিলেন তিনি একজন শ্রমিক। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছে। উল্টো তার কন্যা ও স্ত্রীর ভরণপোষণ বাবদ প্রতি মাসে ৪০০০ রুপি করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।