খেলা

বিসিএলের ফাইনালে লড়বে ইস্ট-সাউথ

স্পোর্টস রিপোর্টার

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:১২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইস্ট জোন ও সাউথ জোন। গতকাল চূড়ান্ত হয় টুর্নামেন্টের দুই ফাইনালিস্ট। এদিন কক্সবাজারে তৃতীয় তথা শেষ রাউন্ডের লড়াইয়ে নর্থ জোনের বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে ফাইনাল নিশ্চিত করে ইস্ট জোন। আরেক ম্যাচে সেন্ট্রাল জোনের সঙ্গে রোমাঞ্চকর এক ড্রয়ে টেবিলের দুইয়ে থেকে ফাইনালের টিকিট কাটে সাউথ জোন। তিন রাউন্ডের লীগ পর্ব শেষে ফাইনালে যাওয়া ইস্ট জোনের পয়েন্ট ২৩.৪৭, আর ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ সাউথ জোনের পয়েন্ট ১৯.৮৯। টেবিলের তিনে থাকা সেন্ট্রাল জোনের পয়েন্ট ১১.৫ এবং নর্থ জোন ৬.২২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে। লীগের ম্যাচ চার দিনের করে হলেও, শিরোপার ফয়সালা হবে পাঁচ দিনে। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির আসরের ফাইনাল শুরু হবে আগামী ২২শে ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
জোড়া সেঞ্চুরি উদযাপন ইয়াসির আলীর
নর্থ জোন প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৭২, দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬৯ রান। প্রথম ইনিংসে ৩৩১ করা ইস্টের সামনে শেষদিনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১১ রানের। সেজন্য ৩৬ ওভার হাতে পায় দলটি। ৩৪.৫ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলে সীমানা, কেবল ২ উইকেট হারিয়ে। এই রান করতে গিয়ে সেঞ্চুরিতে জাতীয় দলে ‘ফেরা’ উদযাপন করেছেন ইয়াসির আলী। আগেও একবার ডাক পেয়েছিলেন, কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি টাইগার জার্সিতে। বছরখানেক পর আবারও যখন ডাক মিলল, বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে দুই ইনিংসে ১৬৫ ও ১১০ রানে জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্টকে ভরসা যোগালেন ২৩ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ইয়াসির আউট হন ১১০ করে। তার আগে ৭৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৮ চার ও ৪ ছয়ে। পরে আরেকটি ছয়ে থামেন ৮৮ বলের ইনিংস খেলে। আক্রমণাত্মক ইনিংসে দলকে জয় থেকে ২৩ রান দূরে রেখে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ওপেনার পিনাক ঘোষ ১২ রানে ফিরলেও মোহাম্মদ আশরাফুলকে নিয়ে ঝড়ো ১৭০ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের লাগাম নিজেদের দিকে টানেন ইয়াসির। তিনি ফেরার পর আশরাফুল বাকি কাজটুকু সেরে আসেন অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংসে। আশরাফুলের ইনিংসটি ৪ চারে ৮৬ বলে সাজানো। ইমরুল কায়েস অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ১৭ করে। টেস্ট দলে ডাক পাওয়া ইয়াসির অবশ্য ফাইনালে খেলতে পারছেন না। ২২ ফেব্রুয়ারিই মাঠে গড়াবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট।
শামসুর রহমান ও নাসুমের ব্যাটে প্রতিরোধ
তৃতীয় রাউন্ডের দুই খেলার মধ্যে কক্সবাজারের ম্যাচটি রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে বাঁকে বাঁকে। শেষে ড্র, তাতে লাভ হয়েছে অধিনায়ক আবদুর রাজ্জাকের দল সাউথ জোনের। রাজ্জাকের একটি সিদ্ধান্তের কারণেই শুরু থেকে আলোচনায় ম্যাচটি। সেন্ট্রাল জোনকে প্রথম ইনিংসে ২৩৫ রানে অলআউট করে দেয়ার পর রাজ্জাক ইনিংস ঘোষণা করে দেন মাত্র ১১৪ রানে, সেটিও ৬ উইকেট হাতে রেখেই। প্রতিপক্ষের বোনাস পয়েন্ট ঠেকাতেই এই ফন্দি! সেটি তাদের জন্য ফাঁস হতে বসেছিল সেন্ট্রালের নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ২৫৩ রানের ইনিংসে। ৮ উইকেটে ৩৮৫ তুলে সেন্ট্রাল জোন ইনিংস ঘোষণা করার পর জয়ের জন্য সাউথ জোনের ৫০৭ রানের লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে হয়। হাতে আবার দেড়দিনেরও বেশি। জবাব দিতে নেমে ৪ উইকেটে ১৫৯ তুলে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে সাউথ জোন। শাহরিয়ার নাফিস ৫ রানে ফিরলেও ফর্মে থাকা এনামুল হক বিজয় ৮৩ রান করেন। ফজলে মাহমুদ ২৫ ও ইরফান শুক্কুর শূন্য রানে ফিরে বিপদ বাড়িয়ে রেখেছিলেন। শেষদিনে তাই চাপে থেকেই মাঠে নেমেছিল সাউথ জোন। শামসুর রহমান ৪৪ ও নাসুম আহমেদ ১ রানে ক্রিজে আসেন। যখন বিচ্ছিন্ন হলেন, ততক্ষণে ম্যাচ বাঁচানোর অনেক কাছে চলে গেছে দল। শামসুর ১৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেন মিরাজের বলে এলবি হওয়ার আগে। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা নাসুম খেলেন ৮৫ রানের ইনিংস। মোকাবিলা করেন ২৪৬ বল। দুজনের জমে যাওয়া ১৪১ রানের জুটিটা ভাঙতেই বিপদ চেপে ধরে সাউথ জোনকে। ঝটপট কয়েকটি উইকেট হারায় তারা। ফরহাদ রেজা ৯১ বলে অপরাজিত ২৭, আর শেষ ব্যাটসম্যান শফিউল ইসলাম ২৬ বলে ১ রানের সময়ব্যয়ী ইনিংস খেলে ম্যাচ ড্র করে মাঠ ছাড়েন। চোট কাটিয়ে জাতীয় দলে ফেরা মিরাজের ৪ উইকেট, শুভাগত হোমের ৩ উইকেট সেন্ট্রালকে লড়াইয়ে রাখলেও কেবল আর একটি উইকেট তুলে নিতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। শেষ পর্যন্ত সাউথ জোনের সংগ্রহ ছিল ৯ উইকেটে ৩৮৬ রান। শেষ উইকেট জুটিতে ফরহাদ ও শফিউল কঠিন সময়ে নির্বিঘ্নে ক্রিজে কাটিয়ে দেন ৫৮ বল।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status