দেশ বিদেশ
অটোরিকশা থেকে জীবিত মেয়ে শিশুকে ছুড়ে ফেললো কবরস্থানে!
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:০৬ পূর্বাহ্ন
কী নির্মম! চলন্ত সিএনজি অটোরিকশা থেকে একটি মেয়ে শিশুকে জীবিত ছুড়ে ফেললো কবরস্থানে। দেখতে পেয়ে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তার আগে ধাওয়া দিয়েও সিএনজি অটোরিকশাটি ধরতে পারেনি পুলিশ। ফলে পুলিশ জানতে পারেনি শিশুটিকে ছুড়ে মারা লোকগুলো কারা। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানার নাসিরাবাদ এলাকায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অদূরে কবরস্থানের পাশে সড়কে শিশুটিকে ফেলে দেয়ার এই ঘটনা ঘটে। খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী জানান, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এলাকায় টহল ডিউটিতে ছিলেন, থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিরণ মিয়া। দুপুর পৌনে ১টার দিকে তিনি দেখতে পান, পলিটেকনিকের অদূরে মডেল কলেজের পাশে কবরস্থানের সামনে একটি সিএনজি অটোরিকশা দাঁড়িয়ে কিছু একটি ছুড়ে ফেললো কবরস্থানের দিকে। হিরণ দৌড়ে সেখানে যেতেই অটোরিকশাটি দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর তিনি দেখেন, একটি শিশু কবরস্থানের পাশে কাঁদছে। এএসআই হিরণ মিয়া জানান, শিশুটির বয়স আনুমানিক সাত কি আট মাস হবে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ওসি স্যারকে অবহিত করা হয়। পরে ওসি স্যারের নির্দেশে দ্রুত শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শিশুটি এখন হাসপাতালের ৮ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছে। হাসপাতালের চিকিৎকরা জানিয়েছেন, শিশুটি পানিশূন্যতা ও অপুষ্টিতে ভুগছে। তাকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে। তবে তাকে বাঁচানো যাবে বলে ডাক্তাররা আশ্বাস দিয়েছেন। শিশুটি সুস্থ হওয়া পর্যন্ত পুলিশ তত্ত্বাবধান করবে। এর মধ্যে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা হবে। পরিচয় না পেলে আদালতের শরণাপন্ন হবো।
হিরণ মিয়া বলেন, অটোরিকশার ভেতরে কারা ছিল, সেটা সঠিকভাবে দেখতে পাইনি। ধাওয়া দিয়েও অটোরিকশাটি আটক করা সম্ভব হয়নি। আমাদের ধারণা, শিশুটি মেয়ে বলেই তারা কবরস্থানের পাশে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। যাতে মৃত্যুর পর বেওয়ারিশ হিসেবে ধরে দাফন করে ফেলতে পারে। ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, একটি শিশুর সঙ্গে এমন নির্মম আচরণ কল্পনাও করা যায় না। পৃথিবীতে আসার পর বাস্তবতা বুঝে ওঠার আগেই তাকে শিকার হতে হলো এক নির্মম বাস্তবতার। ঘটনাস্থলের আশপাশের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় সংরক্ষিত ফুটেজ থেকে অটোরিকশাটির গন্তব্য অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
হিরণ মিয়া বলেন, অটোরিকশার ভেতরে কারা ছিল, সেটা সঠিকভাবে দেখতে পাইনি। ধাওয়া দিয়েও অটোরিকশাটি আটক করা সম্ভব হয়নি। আমাদের ধারণা, শিশুটি মেয়ে বলেই তারা কবরস্থানের পাশে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। যাতে মৃত্যুর পর বেওয়ারিশ হিসেবে ধরে দাফন করে ফেলতে পারে। ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, একটি শিশুর সঙ্গে এমন নির্মম আচরণ কল্পনাও করা যায় না। পৃথিবীতে আসার পর বাস্তবতা বুঝে ওঠার আগেই তাকে শিকার হতে হলো এক নির্মম বাস্তবতার। ঘটনাস্থলের আশপাশের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় সংরক্ষিত ফুটেজ থেকে অটোরিকশাটির গন্তব্য অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।