অনলাইন

করোনা ভাইরাস

বাংলাদেশ উচ্চপর্যায়ের ঝুঁকি চিহ্নিত দেশের তালিকায় নেই

স্টাফ রিপোর্টার

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৮:১৫ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯ নিয়ে বাংলাদেশের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন  সরকারের  রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন ধরনের ‘রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট’ করে উচ্চপর্যায়ের যেসব দেশ চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ সেই ঝুঁকির তালিকাতে নেই। শুক্রবার করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯ নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর। আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তাই যাত্রীদের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রবেশের ঝুঁকি এড়াতে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। এর মানে এই নয়, আমাদের অবস্থা অনেক জটিল, আতঙ্কিত হতে হবে। তবে কোনও রোগী যদি শনাক্ত হলে তাকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখার বিষয়ে সতর্কতামূলক প্রস্তুতি সারা দেশেই নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। কভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কী কী সরঞ্জাম চাওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইইডিসিআরের ক্যাপাসিটির জন্য ল্যাবরেটরি টেস্টের জন্য যেসব রিএজেন্ট দরকার হয় সেটা পেয়েছি এবং আরও চেয়েছি। এতদিন নমুনা পরীক্ষা করতে দেড় থেকে দুদিন সময় লাগতো। তবে এখন নতুন যে রিএজেন্ট এসেছে তাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল দিয়ে দেয়া সম্ভব। তিনি জানান, বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং সিস্টেমকে আরও জোরদার করার জন্য ১০টি থার্মাল স্ক্যানার এবং পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুয়েপমেন্ট চাওয়া হয়েছে। কারণ, এটা ওপেন মার্কেটে পাওয়া যায় না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার কেনা হয়েছে।

চীন ফেরতদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উহানে যারা থাকেন বা অন্য কোনও জায়গায় যারা করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে গেছেন কোয়ারেন্টাইন তাদের জন্য প্রযোজ্য। চীন থেকে ফেরাদের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে নিতে হবে বিষয়টি এমন নয়। তবে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনের কথা বলা হয় যেন জনসমাগমে না যায়। যতক্ষণ তাদের লক্ষণ-উপসর্গ না থাকবে ততক্ষণ কিন্তু তার কাছ থেকে এই ভাইরাস ছড়াবে না।

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন চারজনের শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম যিনি ভর্তি হয়েছিলেন তিনি আইসিইউতে আছেন। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল। সিঙ্গাপুরে এখন কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের মধ্যে ছয়জন বাংলাদেশি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথম যে বাংলাদেশি রোগী ভর্তি হয়েছিলেন তার ১৯ জন কন্ট্যাক্ট ছিল। তাদের মধ্যে ১০ দশজন রুমমেট, ৮ জন একই বাসে যাতায়াত করতেন এবং আরেকজন তাদেও গ্রোগ্রাম ম্যানেজার। দেশে এ পর্যন্ত ৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে এখনও করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি এবং এই মুহূর্তে আইসোলেশনে কোনো রোগী নেই। যাদের পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের বাড়ি গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এদিকে আমাদের যারা হজক্যাম্পে আছেন ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে আছেন, আগামীকাল বিকালে তাদের ইনকিউবিশন পিরিয়ড ১৪ দিন শেষ হবে। তারপর তাদের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা কওে ছেড়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status