শেষের পাতা

সিঙ্গাপুরের যাত্রীদের আলাদা ইমিগ্রেশন

চীন ফেরত ৩১২ জন বাড়ি ফিরছেন কাল

স্টাফ রিপোর্টার

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন

চীনের উহান শহর থেকে ফেরত আসা ৩১২ বাংলাদেশিকে ছেড়ে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। তারা ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে আশকোনা হজক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনে আছেন। আজ শুক্রবার তাদের পর্যবেক্ষণের ১৪ দিন পূর্ণ হচ্ছে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৫ তারিখ শনিবার তাদের বাড়ি যাওয়ার অনুমতি  দেবে সরকার। এ বিষয়ে গতকাল ঢাকার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, চীন থেকে ফেরা বাংলাদেশিরা কোয়ারেন্টিনের শেষ পর্যায়ে আছেন। ১৪ই ফেব্রুয়ারি তাদের পর্যবেক্ষণের ১৪ দিন পূর্ণ হবে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৫ তারিখ আমরা তাদের ছেড়ে দেবো। এখানে আর কোনো সমস্যা নেই। তাদের সবাই ভালো আছেন। করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পরীক্ষা নিরীক্ষায় প্রমাণ হওয়ার আগে এ ধরনের কথা ছড়ানো ঠিক নয়। প্রসঙ্গত, চীন থেকে বিভিন্ন দেশে ভাইরাস ছড়াতে থাকায় এ ভাইরাস নিয়ে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের উহান থেকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়। এরপর ১লা ফেব্রুয়ারি একটি বিশেষ বিমানে করে দেশে ফেরেন ৩১২ জন বাংলাদেশির প্রথম দলটি। আটজনের শরীরে জ্বর থাকায় তাদের ঢাকার দুটি হাসপাতালে রেখে বাকিদের আশকোনা হজক্যাম্পে ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ৩০১ জন এখন আশকোনা হজক্যাম্পে আছেন, বাকি ১১ জন আছেন ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। কারো মধ্যেই করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি বলে জানিয়ে আসছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট(আইইডিসিআর)।
এদিকে, করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) প্রতিরোধে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে চীনের মতো সিঙ্গাপুরের যাত্রীদেরও পৃথক ইমিগ্রেশন ও স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। সমপ্রতি সিঙ্গাপুরে দুজন বাংলাদেশি নাগরিকের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ার পর থেকে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই নজরদারি বাড়ানো হয়। সূত্র জানায়, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব ফ্লাইটের যাত্রীর স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং করা হলেও সিঙ্গাপুর ফেরত যাত্রীদের ক্ষেত্রে পৃথক লাইনে দাঁড় করিয়ে ইমিগ্রেশন ও স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কর্মরত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ সাংবাদিকদের জানান, সিঙ্গাপুরে দুজন বাংলাদেশি নাগরিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিমান বন্দরে চীনফেরত যাত্রীদের মতো সিঙ্গাপুরের যাত্রীদেরও পৃথক লাইনে দাঁড় করিয়ে ইমিগ্রেশন ও স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। গত ২১শে জানুয়ারি থেকে ১৩ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আকাশ, স্থল, নৌ ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে মোট ১ লাখ ৩৩ হাজার ২০৬ যাত্রীর স্ক্রিনিং সম্পন্ন হয়। আইইডিসিআর’র এ পর্যন্ত ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কারো শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েনি। প্রথমদিকে শুধু চীনের চারটি ফ্লাইটের যাত্রীদের (চায়না ইস্টার্ন, চায়না সাউদার্ন, ড্রাগন এয়ার ও ইউএস বাংলা) স্ক্রিনিং করা হয়। এখন সব ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্রিনিং হচ্ছে। শাহজালাল বিমান বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চীনা নাগরিকদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করে দেয়ায় চীন থেকে আগত যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। বিশেষ করে চায়না ইস্টার্ন ও চায়না সাউদার্নের যাত্রী কম হওয়ায় সংস্থা দুটি সাপ্তাহিক ৪টির বদলে ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর থেকে প্রতিদিন ৪টি ফ্লাইট আসছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status