এক্সক্লুসিভ
ইলিয়াস কাঞ্চনের মানহানি, শাজাহান খানের ব্যাখ্যা চায় আদালত
স্টাফ রিপোর্টার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৮:২৫ পূর্বাহ্ন
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের দায়ের করা ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলাটি আমলে নিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আদালত বিবাদী শাজাহান খানকে ইলিয়াস কাঞ্চনের অভিযোগের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলেছে। গতকাল ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ উৎপল ভট্টাচার্য্য মামলাটি আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন। ইলিয়াস কাঞ্চনের আইনজীবী রেজাউল করিম বলেন, মামলার গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে আদালতে শুনানি হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত শাজাহান খানকে লিখিত জবাব দিতে বলেছেন। এর আগে বুধবার শাজাহান খানের বিরুদ্ধে মানহানির এই মামলা দায়ের করেন অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন । নথি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৮ই ডিসেম্বর শাজাহান খান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে ইলিয়াস কাঞ্চন, তার পরিবারের সদস্য এবং সংগঠন নিয়ে মন্তব্য করেন। শাজাহান খান বলেছিলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন কোথা থেকে কত টাকা পান, কী উদ্দেশ্যে পান, সেখান থেকে কত টাকা নিজে নেন, পুত্রের নামে নেন, পুত্রবধূর নামে নেন, সেই হিসাব আমি জনসম্মুখে তুলে ধরবো। তার এই বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। শাহজাহান খানের এমন মন্তব্যকে উদ্ভট, বানোয়াট ও মিথ্যা আখ্যা দিয়ে বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে শাজাহান খান তার বক্তব্য প্রত্যাহার কিংবা ক্ষমা প্রার্থনা না করায় ইলিয়াস কাঞ্চন ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন।
এছাড়া, গত বছরের ১৯শে নভেম্বর বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ধর্মঘটের ডাক দেন। ওই ধর্মঘটে বিবাদীর (শাজাহান খান) প্ররোচণায় শ্রমিকরা ব্যানার টানিয়ে বাদীর (ইলিয়াস কাঞ্চন) কুশপুত্তলিকা দাহ করে ও জুতার মালা দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করে। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে বাদীর ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে বাদী মনে করেন।
এছাড়া, গত বছরের ১৯শে নভেম্বর বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ধর্মঘটের ডাক দেন। ওই ধর্মঘটে বিবাদীর (শাজাহান খান) প্ররোচণায় শ্রমিকরা ব্যানার টানিয়ে বাদীর (ইলিয়াস কাঞ্চন) কুশপুত্তলিকা দাহ করে ও জুতার মালা দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করে। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে বাদীর ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে বাদী মনে করেন।