বিশ্বজমিন
রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট ঘোষণা মোদির
কলকাতা প্রতিনিধি
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
ভারতের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার লোকসভায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট ঘোষণা করেছেন। এই ট্রাস্টের নাম রাখা হয়েছে, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র। রাম মন্দির তৈরি এবং বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে এই ট্রাস্ট। ট্রাস্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বুধবারে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে। ৬৭.৭০৩ একর জমি রাম মন্দির তৈরির জন্য শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের হাতে তুলে দেয়া হবে। ট্রাস্টের অফিস হবে দিল্লিতে। ট্রাস্টের রেজিস্ট্রার্ড অফিস হবে আর-২০, গ্রেটার কৈলাস, পার্ট ১, নতুন দিল্লিতে। অযোধ্যায় বিশালাকৃতি মন্দির তৈরির জন্য সবার সমর্থনের আর্জিও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের মাধ্যমে স্বাগত জানান বিজেপি’র সদস্যরা। সুপ্রিম কোর্ট ট্রাস্ট গঠনের জন্য যে তিন মাস সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, তা শেষ হওয়ার আগেই এই ঘোষণা করা হয়েছে। তবে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ট্রাস্ট ঘোষণাকে পর্যবেক্ষক মহল বিজেপি’র রাম মন্দির ইস্যুকে ফের জাগিয়ে তোলার চেষ্টা বলে মনে করছেন। জানা গেছে, ট্রাস্টে কারা থাকবেন সেই নাম বাছাই করতেই সরকারকে এই সময় নিতে হয়েছে। তবে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, দিল্লির নির্বাচনের ঠিক আগে এমন ঘোষণায় নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ওই ঘোষণার জন্য কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই। তা নির্বাচনী বিধিও ভঙ্গ করছে না। কারণ, আগামী ৯ই ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ দিল্লির নির্বাচনের পরের দিনই শীর্ষ আদালতের দেয়া ট্রাস্ট গঠনের জন্য তিন মাস সময়সীমা শেষ হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ৯ই নভেম্বর অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এক রায়ে জানায়, অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রাম মন্দির তৈরি হবে। অন্যত্র মসজিদ তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়। তার জন্য সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ডকে ৫ একর জমি বরাদ্দ করবে রাজ্য সরকার। আর রাম মন্দির তৈরির জন্য ৩ মাসের মধ্যে তৈরি করতে হবে একটি ট্রাস্ট। কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে এই ট্রাস্ট তৈরি করতে হবে। এদিন লোকসভায় ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানা যায়, এই ট্রাস্টে ১৫ জন সদস্য থাকবেন। যাদের মধ্যে ৯ জন হবেন স্থায়ী এবং ৬ জনকে মনোনীত করা হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হবেন কে পরাসরণ। আর আহ্বায়ক সদস্য হবেন অযোধ্যার জেলা শাসক অনুজ কুমার ঝা। অন্য সাত স্থায়ী সদস্য হলেন, শঙ্করাচার্য বাসুদেবানন্দ মহারাজ, পরমানন্দজি মহারাজা হরিদ্বার, স্বামী গোবিন্দগিরিজি পুনে, বিমলেন্দ্র মোহন প্রতাপ মিশ্র, ড. অনিল মিশ্র, হোমিওপ্যাথিক, অযোধ্যা, ড. কমলেশ্বর চাউপল, পাটনা এবং মহান্ত ধীনেন্দ্র দাস, নির্মোহী আখড়া। মনোনীত সদস্যদের ঠিক করবে ট্রাস্টি বোর্ড।
মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ ইউপি সরকারের
এদিকে উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রিপরিষদ মসজিদ নির্মাণের জন্য উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াক্ফ বোর্ডকে ৫ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে। রাম জন্মভূমি থেকে ওই স্থানটি ২৫ কিলোমিটার দূরে। এ স্থানটি লক্ষ্ণৌ মহাসড়কের কাছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
শ্রীকান্ত শর্মা বলেছেন, ২০১৯ সালের ৯ই নভেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্টের উপদেশ অনুযায়ী ফয়েজাবাদ জেলা সদর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে মসজিদ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫ একর জমি। ওই জমিটি অযোধ্যার সোহাওয়াল তহসিলভুক্ত এবং ধন্নিপুর গ্রামে অবস্থিত। লক্ষ্ণৌ- গোরকপুর মহাসড়ক থেকে মোটামুটি ২০০ মিটার দূরে এর অবস্থান। ফলে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করলে যাওয়া-আসা সহজ হবে। এই প্রস্তাবটিতে মন্ত্রিপরিষদ অনাপত্তি দিয়েছে।
মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ ইউপি সরকারের
এদিকে উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রিপরিষদ মসজিদ নির্মাণের জন্য উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াক্ফ বোর্ডকে ৫ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে। রাম জন্মভূমি থেকে ওই স্থানটি ২৫ কিলোমিটার দূরে। এ স্থানটি লক্ষ্ণৌ মহাসড়কের কাছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
শ্রীকান্ত শর্মা বলেছেন, ২০১৯ সালের ৯ই নভেম্বর ভারতের সুপ্রিম কোর্টের উপদেশ অনুযায়ী ফয়েজাবাদ জেলা সদর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে মসজিদ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫ একর জমি। ওই জমিটি অযোধ্যার সোহাওয়াল তহসিলভুক্ত এবং ধন্নিপুর গ্রামে অবস্থিত। লক্ষ্ণৌ- গোরকপুর মহাসড়ক থেকে মোটামুটি ২০০ মিটার দূরে এর অবস্থান। ফলে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করলে যাওয়া-আসা সহজ হবে। এই প্রস্তাবটিতে মন্ত্রিপরিষদ অনাপত্তি দিয়েছে।