বাংলারজমিন
রাজশাহী সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া পাঁচ জেলেকে ফেরত দেয়নি বিএসএফ
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার, ৯:০৫ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্ত থেকে গত শুক্রবার ধরে নিয়ে যাওয়া পাঁচ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। শনিবার বিকাল ৫টায় জেলার গোদাগাড়ীর খরচাকা সীমান্ত এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও তাদেরকে ফেরত দেয়া হয়নি।বৈঠকের পর বিজিবির রাজশাহী-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিকাল ৫টায় বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। সেখানে বিএসএফ জানায়, তারা ভারতের আইন অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদ থানা পুলিশের নিকট এই পাঁচ জেলেকে হস্তান্তর করেছে। ভারতের আইন অনুযায়ী বিচার করা হবে বলে তারা জানান।
বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার রফিকুল ইসলাম নেতৃত্ব দেন। বিএসএফ এর পক্ষে ছিলেন আরেক জন কোম্পানি কমান্ডার। খড়চাকা সীমান্তের ৫৩ নম্বর পিলারের কাছে বৈঠক হয়। সেখানে বিএসএফ জানিয়েছে, আটককৃত ৫ জনকে বিজিবি জেলে হিসেবে দাবি করলেও তারা প্রকৃতপক্ষে জেলে নয়। তারা ছিলো গরুর রাখাল। গরু আনতেই তারা ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছিলো। শুক্রবারই তাদের সবাইকে মুর্শিদাবাদ থানায় হস্তান্তর করা হয়। এখন তাদের বিরুদ্ধে ভারতের আইন অনুযায়ী বিচার হবে।
তিনি আরো জানান, নিয়ম অনুযায়ী থানায় সোপর্দ করার আগে আমাদেরকে জানানো উচিত ছিলো বিএসএফ এর। নিয়ম না মানায় বিএসএফ বিজিবির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে। তবে বিষয়টি এখন আইনের মধ্যে চলে যাওয়ায় তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এখন আইনী প্রক্রিয়া মেনেই তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খরচাকা সীমান্ত এলাকার পদ্মা নদী থেকে এই পাঁচজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরা হলেন- রাজন হোসেন (২৫), সোহেল রানা (২৭), কাবিল হোসেন (২৫), শাহীন আলী (৩৫) ও শফিকুল ইসলাম (৩০)। পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামে তাদের বাড়ি। ওই সীমান্ত এলাকার পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তখনই তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। এ সময় একজনকে নির্যাতনও করা হয়।
এ ঘটনার পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের ফেরত দিতে শুক্রবারই বিএসএফকে আহ্বান জানায় বিজিবি। প্রথম দফায় শনিবার সকালে বিজিবির একটি দল গোদাগাড়ীর খরচাকা সীমান্ত এলাকা ও ভারতের নির্মল চর সীমান্ত এলাকার ৫৩ নম্বর পিলারের কাছে পতাকা বৈঠকের জন্য যায়। সেখানেই বিএসএফ দলের আসারও কথা ছিলো। কিন্তু তারা আসেনি। পরে আবার বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান করা হলে শেষ পর্যন্ত বিকাল ৫টায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, বিকাল ৫টায় বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। সেখানে বিএসএফ জানায়, তারা ভারতের আইন অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদ থানা পুলিশের নিকট এই পাঁচ জেলেকে হস্তান্তর করেছে। ভারতের আইন অনুযায়ী বিচার করা হবে বলে তারা জানান।
বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার রফিকুল ইসলাম নেতৃত্ব দেন। বিএসএফ এর পক্ষে ছিলেন আরেক জন কোম্পানি কমান্ডার। খড়চাকা সীমান্তের ৫৩ নম্বর পিলারের কাছে বৈঠক হয়। সেখানে বিএসএফ জানিয়েছে, আটককৃত ৫ জনকে বিজিবি জেলে হিসেবে দাবি করলেও তারা প্রকৃতপক্ষে জেলে নয়। তারা ছিলো গরুর রাখাল। গরু আনতেই তারা ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছিলো। শুক্রবারই তাদের সবাইকে মুর্শিদাবাদ থানায় হস্তান্তর করা হয়। এখন তাদের বিরুদ্ধে ভারতের আইন অনুযায়ী বিচার হবে।
তিনি আরো জানান, নিয়ম অনুযায়ী থানায় সোপর্দ করার আগে আমাদেরকে জানানো উচিত ছিলো বিএসএফ এর। নিয়ম না মানায় বিএসএফ বিজিবির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে। তবে বিষয়টি এখন আইনের মধ্যে চলে যাওয়ায় তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এখন আইনী প্রক্রিয়া মেনেই তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খরচাকা সীমান্ত এলাকার পদ্মা নদী থেকে এই পাঁচজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরা হলেন- রাজন হোসেন (২৫), সোহেল রানা (২৭), কাবিল হোসেন (২৫), শাহীন আলী (৩৫) ও শফিকুল ইসলাম (৩০)। পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামে তাদের বাড়ি। ওই সীমান্ত এলাকার পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তখনই তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। এ সময় একজনকে নির্যাতনও করা হয়।
এ ঘটনার পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের ফেরত দিতে শুক্রবারই বিএসএফকে আহ্বান জানায় বিজিবি। প্রথম দফায় শনিবার সকালে বিজিবির একটি দল গোদাগাড়ীর খরচাকা সীমান্ত এলাকা ও ভারতের নির্মল চর সীমান্ত এলাকার ৫৩ নম্বর পিলারের কাছে পতাকা বৈঠকের জন্য যায়। সেখানেই বিএসএফ দলের আসারও কথা ছিলো। কিন্তু তারা আসেনি। পরে আবার বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান করা হলে শেষ পর্যন্ত বিকাল ৫টায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।