বিশ্বজমিন
ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত
মানবজমিন ডেস্ক
২৮ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ১২:৪৪ অপরাহ্ন
শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদরের বিক্ষোভ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকারবিরোধীরা। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের সঙ্গে তৃতীয় দিনের মতো অব্যাহত ছিল সেখানে সংঘর্ষ। ফলে সোমবার তাহরির স্কোয়ার ছিল উত্তেজনায় পূর্ণ। এদিন রাস্তার পাশের ফেরিওয়ালারা নেমে পড়েছিলেন। তারা বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিক্রি করছিলেন মোবাইলের ব্যাটারি, চার্জার, শুকনো খাবার। আর চারদিক থেকে লাউড স্পিকারে বাজানো হচ্ছিল দেশাত্মবোধক বিভিন্ন গান। সেখান থেকে কয়েক শত মিটার দূরে খিলানি স্কোয়ার। বিক্ষোভের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র এটি। এখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের সংঘর্ষ চলছিল। নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা ছুঁড়ছিল কাঁদানে গ্যাস ও লাইভ বুলেট। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
শনিবার দাঙ্গা পুলিশ সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছোড়ে, তাদের স্থাপিত অস্থায়ী তাঁবুতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর ফলে বিক্ষোভকারীদের অল্প সময়ের জন্য সেখান থেকে হটিয়ে দিতে পেরেছে তারা। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাসিরিয়া, বসরা ও দিবানিয়েতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের। এসব স্থানে মূল বিক্ষোভস্থলের দিকে নিরাপত্তা রক্ষীরা অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে এবং বিক্ষোভকারীদের দেয়া ব্যারিকেড উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সোমবার রাতে নাসিরিয়াতে পিকআপ ট্রাকে করে ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছোড়ে। এতে কমপক্ষে দুই বিক্ষোভকারী নিহত হন।
এ অবস্থায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন মুক্তাদা আল সদর। অক্টোবরে ক্ষমতাসীন অভিজাতদের দুর্নীতির প্রতিবাদে বিভিন্ন বয়সের ও পেশার মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। অনেকটা পরে তিনি বিক্ষোভে সমর্থন দেন। কিন্তু আকস্মিকভাবে তিনি সমর্থকদের বিক্ষোভ ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। তার এমন সিদ্ধান্তে উম্ম আকিল নামের একজন বিক্ষোভকারী বলেন, আমার মতে আল সদরের সিদ্ধান্ত ভুল ও আমাদের প্রতি একটি আঘাত। কারণ, তার এই সিদ্ধান্তে তাদের জন্য পথ খুলে যাবে, যারা আমাদের বিরোধী। সদরপন্থিরাও আমাদের ওপর হামলা করবে।
শনিবার দাঙ্গা পুলিশ সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছোড়ে, তাদের স্থাপিত অস্থায়ী তাঁবুতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর ফলে বিক্ষোভকারীদের অল্প সময়ের জন্য সেখান থেকে হটিয়ে দিতে পেরেছে তারা। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাসিরিয়া, বসরা ও দিবানিয়েতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের। এসব স্থানে মূল বিক্ষোভস্থলের দিকে নিরাপত্তা রক্ষীরা অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে এবং বিক্ষোভকারীদের দেয়া ব্যারিকেড উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সোমবার রাতে নাসিরিয়াতে পিকআপ ট্রাকে করে ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছোড়ে। এতে কমপক্ষে দুই বিক্ষোভকারী নিহত হন।
এ অবস্থায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন মুক্তাদা আল সদর। অক্টোবরে ক্ষমতাসীন অভিজাতদের দুর্নীতির প্রতিবাদে বিভিন্ন বয়সের ও পেশার মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। অনেকটা পরে তিনি বিক্ষোভে সমর্থন দেন। কিন্তু আকস্মিকভাবে তিনি সমর্থকদের বিক্ষোভ ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। তার এমন সিদ্ধান্তে উম্ম আকিল নামের একজন বিক্ষোভকারী বলেন, আমার মতে আল সদরের সিদ্ধান্ত ভুল ও আমাদের প্রতি একটি আঘাত। কারণ, তার এই সিদ্ধান্তে তাদের জন্য পথ খুলে যাবে, যারা আমাদের বিরোধী। সদরপন্থিরাও আমাদের ওপর হামলা করবে।