অনলাইন
লাশের অপেক্ষায় বাবা-মা
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
২৭ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার, ২:২৪ পূর্বাহ্ন
আমার ছেলে দেশে আসার জন্য ৫০ হাজার টাকা চাইছিলো। বাড়িতে ঘরের কাজ শুরু করায় হাতে টাকা ছিলোনা। তাই ছেলে আমার অভিমান করে বলেছিলো, এক জায়গায় কাজ নিছি কিছু টাকা হইলেই দেশে ফেরত আসতাছি। এভাবেই মৃত ছেলের কথা বলছিলেন, বাবা শাহাজুদ্দি। আর ছেলের মৃত্যুর সংবাদে শোকে পাথর তার পরিবার। কেঁদে কেঁদে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন সোহাগের মা। কারও সঙ্গে কথাও বলছেন না।
প্রায় ৩ বছর আগে এইসএসসি শেষ করে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছিলো টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামের শাহাজুদ্দিনের ছেলে সোহাগ (২৪)। মালদ্বীপের একটি রিসোর্টে কর্মরত ছিলেন তিনি। নিতান্তই দরিদ্র পরিবারের সন্তান সোহাগ চেষ্টা করে যাচ্ছিল দিন বদলের। তবে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। এরমধ্যে গত ২৩শে জানুয়ারি তার নিজ কক্ষ থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ডাক্তার বলেছে, স্টোক জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু সোহাগের মরদেহ দেশে আনা নিয়ে দেখা দিেিয়ছে জটিলতা। সোহাগের আকামার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মালদ্বীপে অবৈধ হিসেবে ছিলেন তিনি। তাই সহসাই মিলছেনা সরকারি সহযোগিতা। ব্যক্তি উদ্যোগে তার লাশটি দেশে আনতে যে টাকার প্রয়োজন তা দেয়ার সামর্থ্য নেই পরিবারের। সোহাগের চাচা আলম হোসেন জানান, সরকার যদি নিজ খরচে সোহাগের লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা না করে তাহলে সোহাগের লাশ দেশে আনা একদমই অনিশ্চিত।