শেষের পাতা

ড. ইউনূসের জামিন

স্টাফ রিপোর্টার

২৭ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার, ৯:২৭ পূর্বাহ্ন

শ্রম আইন লঙ্ঘনের আরেক মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলামের কাছে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৩ই জানুয়ারি, শ্রম আইনের বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ কমিউনিকেশননের তিন কর্মকর্তাকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম। সমন জারি করা অন্যরা হলেন গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক আ. হাই খান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (জিএম) গৌরি শংকর।

এর আগে ৫ জানুয়ারি শ্রম আইন না মানায় গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) তরিকুল ইসলাম। মামলায় ১০টি বিধি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। সেগুলো হলো- ১. বিধি মোতাবেক শ্রমিক/কর্মচারীদের নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বহি প্রদান করা হয়নি। ২. বিধি মোতাবেক শ্রমিকের কাজের সময় নোটিশ পরিদর্শকের নিকট হতে অনুমোদিত নয়। ৩. কোম্পানিটি বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক রিটার্ন দাখিল করেনি। ৪. কর্মীদের বছরান্তে অর্জিত ছুটির অর্ধেক নগদায়ন করা হয় না।

৫. কোম্পানির নিয়োগবিধি মহাপরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত নয়। ৬. ক্ষতিপূরণমূলক সাপ্তাহিক ছুটি ও উৎসব ছুটি প্রদান-সংক্রান্ত কোনো রেকর্ড/রেজিস্টার সংরক্ষণ করা হয় না। ৭. কোম্পানির মুনাফার অংশ ৫% শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিল গঠনসহ লভ্যাংশ বণ্টন করা হয় না। ৮. সেফিটি কমিটি গঠন না করা। ৯. কর্মীদের অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করালেও কোনো ঠিকাদারি লাইসেন্স গ্রহণ না করা । ১০. কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর থেকে লাইসেন্স গ্রহণ না করা।

নথি থেকে জানা যায়, মামলার বাদী ২০১৯ সালের ১০ই অক্টোবর গ্রামীণ কমিউনিকেশনসে সরেজমিনে পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির দ্বারা ১০টি বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি দেখতে পান। এর আগে গত ৩০শে এপ্রিল বাদীপক্ষের এক পরিদর্শক প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে ত্রুটিগুলো সংশোধনের নির্দেশনা দেন। এরপর ৭ই মে ডাকযোগে এ বিষয়ে বিবাদী পক্ষ জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি। পরে ২৮শে অক্টোবর বর্তমান পরিদর্শক ফের তা অবহিত করেন। নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করে বিবাদীরা ফের সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনের সময় অনুযায়ী তারা জবাব দাখিল করেননি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, বিবাদীরা শ্রম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন। এমতাবস্থায় বিবাদীরা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ ধারা ৩৩ (ঙ) এবং ৩০৭ মোতাবেক দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বাদী মনে করেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status