বিশ্বজমিন
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে বাগদাদে বড় বিক্ষোভ
মানবজমিন ডেস্ক
২৫ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে চলছে যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী গণ-বিক্ষোভ। ইরানি গণমাধ্যমগুলোর দাবি, এটি গত কয়েক দশকের মধ্যে সবথেকে বড় মার্কিনবিরোধী বিক্ষোভ। বাগদাদের অধিবাসীরা ছাড়াও ইরাকের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে শিয়া, সুন্নি, কুর্দি ও আরব গোত্রগুলো এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগের হাতেই দেখা গেছে ইরাকের জাতীয় পতাকা এবং বড় বড় ব্যানারে লেখা রয়েছে মার্কিনবিরোধী স্লোগান। এতে লেখা ছিল- জোর করে বের করে দেয়ার আগেই বের হয়ে যাও দখলদার মার্কিন সেনারা।
পার্সটুডে জানিয়েছে, বাগদাদের তাহরির স্কোয়ার ও মার্কিন দূতাবাসের সামনেও সমবেত হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংস হোক, ইসরাইল ধ্বংস হোক, ইরাক থেকে এখনই বের হও মার্কিন সেনারা, নো টু আমেরিকা। ইরাকের এই গণ-বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন দেশটির প্রধান গোত্রগুলো। তাতে সমর্থন দিয়েছেন ইরাকের শিয়া ও সুন্নি ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুর তিন সপ্তাহের মাথায় এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হলো। ওই হামলায় আরো নিহত হন, ইরাকের পপুলার মবিলাইজেশন ইউনিট (পিএমইউ) এর উপ-প্রধান আবু মাহদি আল মুহানদিস। মৃত্যুর পর ধর্মান্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মুছে ফেলতে অবদান রাখায় তাদেরকে বীর হিসেবে আখ্যায়িত করে এই অঞ্চলের মানুষ। ওই হামলার জবাব দিতে ইরান প্রতিবেশী দেশ ইরাকে থাকা মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন আল আসাদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে এই ঘাঁটির বড় ধরনের ক্ষতি হয়। ইরান দাবি করে ওই হামলায় শতাধিক মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে। যদিও এ দাবির পক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই প্রেক্ষাপটে ইরাকের জাতীয় সংসদ সে দেশ থেকে মার্কিন ও তার মিত্র জোটের সব সেনাদের ইরাক থেকে বের করে দেয়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়। ইরাকে ১৬ বছর ধরে অবস্থান করছে মার্কিন সেনারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের হিসেবে, বাগদাদের ওই মহাবিক্ষোভে অংশ নেয় কয়েক লাখ ইরাকি।
পার্সটুডে জানিয়েছে, বাগদাদের তাহরির স্কোয়ার ও মার্কিন দূতাবাসের সামনেও সমবেত হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংস হোক, ইসরাইল ধ্বংস হোক, ইরাক থেকে এখনই বের হও মার্কিন সেনারা, নো টু আমেরিকা। ইরাকের এই গণ-বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন দেশটির প্রধান গোত্রগুলো। তাতে সমর্থন দিয়েছেন ইরাকের শিয়া ও সুন্নি ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুর তিন সপ্তাহের মাথায় এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হলো। ওই হামলায় আরো নিহত হন, ইরাকের পপুলার মবিলাইজেশন ইউনিট (পিএমইউ) এর উপ-প্রধান আবু মাহদি আল মুহানদিস। মৃত্যুর পর ধর্মান্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মুছে ফেলতে অবদান রাখায় তাদেরকে বীর হিসেবে আখ্যায়িত করে এই অঞ্চলের মানুষ। ওই হামলার জবাব দিতে ইরান প্রতিবেশী দেশ ইরাকে থাকা মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন আল আসাদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে এই ঘাঁটির বড় ধরনের ক্ষতি হয়। ইরান দাবি করে ওই হামলায় শতাধিক মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে। যদিও এ দাবির পক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই প্রেক্ষাপটে ইরাকের জাতীয় সংসদ সে দেশ থেকে মার্কিন ও তার মিত্র জোটের সব সেনাদের ইরাক থেকে বের করে দেয়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়। ইরাকে ১৬ বছর ধরে অবস্থান করছে মার্কিন সেনারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের হিসেবে, বাগদাদের ওই মহাবিক্ষোভে অংশ নেয় কয়েক লাখ ইরাকি।