দেশ বিদেশ

সব অঞ্চলে নাগরিক পরিসেবা গড়ে তোলার পরামর্শ নগর পরিকল্পনাবিদদের

স্টাফ রিপোর্টার

২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৮:৫৫ পূর্বাহ্ন

 ‘ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করতে হলে বিশেষ দুই একটা অঞ্চলের উন্নতি নয়, সব অঞ্চলকে নিয়ে ভাবা দরকার। সে কারণে সিটি বাজেট তৈরি করার সময় যেন স্থানীয়কভাবে অর্থ বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হয়। খাতভিত্তিক বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে অঞ্চলভেদে যদি বাজেট বরাদ্দ করা হয় তবে দুর্বল বা অপেক্ষাকৃত কম সুযোগ সুবিধাপ্রাপ্ত অঞ্চলগুলো তাদের জন্য বেশি বাজেট বরাদ্দের জন্য দাবি করতে পারবে। এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় শিশু, বৃদ্ধ ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। এতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
গতকাল সকালে রাজধানীর সি আর দত্ত রোডের প্ল্যানার্স টাওয়ারে ‘ঢাকার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন: নগর পরিকল্পনাবিদদের পক্ষ থেকে নাগরিক ইশতেহার’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। এতে প্রতিবেদন উপস্থাপনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানাসের (বি.আই.পি) সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, সিটি কর্পোরেশন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর-এর কার্যাবলী এবং দায়িত্ব মূলত স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ দ্বারা নির্ধারিত। এই আইনের তৃতীয় তফসিলে বিশদভাবে এই কার্যাবলীর বিবরণ দেয়া আছে। সাধারণ জনগণের প্রতিনিধি হবেন মেয়র ও কাউন্সিলরগণ এবং নির্বাচিত মেয়র এবং কাউন্সিলররা স্থানীয় জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। স্থানীয় সরকারের সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেন্দ্রিক হওয়া উচিত। এতে করে এলাকার মানুষদের ভেতর নিজের এলাকায় উন্নয়নে অংশীদার হবার এবং অংশগ্রহণের আগ্রহ জন্মাবে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় মানুষজন জানবে যে, তার যে কোনো কাজের জন্য এলাকার কাউন্সিলরের অফিসেই যেতে হবে এবং ওখানে গেলে কী ধরণের সেবা সে পাবে। এলাকার মানুষদের সঙ্গে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং অফিসের সরাসরি যোগাযোগ হবে। আমরা প্রায়ই এলাকায় মশা নিধন, জলাবদ্ধতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রসঙ্গে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততার কথা বলে থাকি। যখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের যোগাযোগ তৈরি হবে, তখনই জনসম্পৃক্ততা তৈরি হবে। এভাবে সব কর্মকাণ্ডে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারে। এ কারণে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের যে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে হবে।
বি.আই.পি এর সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, সিটি কর্পোরেশনের সকল সেবাগুলো ওয়ার্ড কাউন্সিল ভিত্তিক হতে হবে। সকল কেন্দ্রবিন্দু ওয়ার্ড কাউন্সিল হলে, আমরা মানসম্মত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পেতে পারি। এতে জনগনের সাথে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ততা বাড়বে। উপদেষ্টা পরিষদের আহ্বায়ক পরিকল্পনাবিদ ড. গোলাম রহমান বলেন, নগরপিতাদের মানুষের সাথে সম্পৃক্ততা আছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তবেই অনেক রকম সমসস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। সংগঠনের সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, নগরে নাগরিক পরিসেবা নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকা শহরে বসবাসযোগ্যতা নিয়ে কাজ করতে হবে, এজন্য নগর ব্যবস্থাপনা কাজে পরিকল্পনাবিদদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে কিছু দাবি বাস্তবায়নের দাবি জাননো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের বোর্ড সদস্য পরিকল্পনাবিদ মো. রেজাউর রহমানসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status