বাংলারজমিন

খুলনার ৯ পাটকলে ব্যয় বাড়ছে সাড়ে তিন কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে

২২ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৮:০১ পূর্বাহ্ন

 লাগাতার আন্দোলনের পর মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের দাবি পূরণ হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের। মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের স্লিপও হাতে  পেয়েছেন শ্রমিকরা। এমনকি ৯ই জানুয়ারি থেকে মজুরি কমিশন অনুযায়ী মজুরিও যোগ হতে শুরু করেছে তাদের পাওনার খাতায়। নতুন মজুরি স্কেল অনুযায়ী ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ মজুরি বেড়েছে শ্রমিকদের। এদিকে, নতুন মজুরি স্কেল অনুযায়ী খুলনার ৯টি পাটকলের শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরি বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। আগে সাপ্তাহিক মজুরি প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা প্রদান করতে হলেও এখন প্রায় ৭ কোটি
টাকার প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া শ্রমিকদের ৮ সপ্তাহ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩ মাসের বেতন বাবদ বকেয়া রয়েছে প্রায় ৪০  কোটি টাকা। অপরদিকে, বিপুল অঙ্কের এ অর্থ পরিশোধের জন্য অর্থ যোগানোর পথ দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। মজুতকৃত পণ্য বিক্রয় না হলে সরকারের ভর্তুকি ছাড়া এ অর্থ পরিশোধের বিকল্প  কোনো পথ নেই। এ অবস্থায় মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন হলেও শ্রমিকরা এখনো তার সুফল কতটুকু ভোগ করতে পারবেন-তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন, বিজেএমসি’র খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সূত্র জানান, মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত, অর্থাৎ গত ২৮শে নভেম্বর খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত আলিম জুট মিলে ১৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা সাপ্তাহিক মজুরি পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু নতুন মজুরি কমিশন অনুযায়ী গত ১৬ই জানুয়ারি এ মিলে সেই মজুরি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একইভাবে কার্পেটিং জুট মিলে ১০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ২০ লাখ টাকা, ক্রিসেন্ট জুট মিলে ৮১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১ কোটি ৭২ লাখ ৫১ হাজার টাকা, দৌলতপুর জুট মিলে ৫ লাখ ৬ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ইস্টার্ন জুট মিলে ২০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৫২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, জেজেআইতে ৪২ লাখ ১৩ হাজার টাকা  থেকে বেড়ে ৭৪ লাখ টাকা, খালিশপুর জুট মিলে ২৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৭০ লাখ টাকা, প্লাটিনাম জুট মিলে ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং স্টার জুট মিলে ৫৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা  থেকে বেড়ে ১ কোটি ৬ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। অপরদিকে, ২০১৫ সালের ১লা জুলাই থেকে নতুন মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের সময় (কার্যকর) দেখানো হয়েছে। সে  মোতাবেক অতিরিক্ত প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। যদিও এ হিসাব এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। একই সূত্র জানান, উল্লিখিত ৯টি জুট মিলে শ্রমিকদের ৮ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। যার পরিমাণ ৩০ কোটি ৬০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া উল্লিখিত মিলগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩ মাসের বেতন বাবদ বকেয়া রয়েছে ৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সব মিলে মোট বকেয়ার পরিমাণ ৩৯ কোটি ২৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। যে অর্থ দ্রুতই পরিশোধ করা প্রয়োজন হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status