এক্সক্লুসিভ
বড়লেখায় ৫ হত্যাকাণ্ডে দুই মামলা
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
২১ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:১৫ পূর্বাহ্ন
বড়লেখার সীমান্তবর্তী পাল্লাথল চা বাগানে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দুই প্রতিবেশীকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে বড়লেখা থানায়। বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াসিনুল হক জানান, স্ত্রী জলি বুনার্জি, শাশুড়ি লক্ষ্মী বুনার্জী, প্রতিবেশী বসন্ত ভক্তা ও তার মেয়ে শিউলি ভক্তা হত্যার ঘটনায় পাল্লাথল চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে, এ চারজনকে হত্যার পর নির্মল কর্মকার আত্মহত্যা করে, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা পুলিশ বাদী হয়ে করেছে। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা নিহত ৫ জনের লাশ আজ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পাল্লাথল চা বাগানের বাজার লাইন টিলায় পাশাপাশি ২টি ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন চা শ্রমিক নির্মল কর ও প্রতিবেশী বসন্ত ভক্তা। ওই বাড়িতে প্রায় বছরখানেক থেকে নির্মল কর্মকার বিষ্ণু বুনার্জির মেয়ে জলি বুনার্জিকে বিয়ে করে ঘর জামাই থাকতেন। জলি ও নির্মলের দুজনেরই ছিল এটি ২য় বিয়ে। জলির আগের স্বামীর ঔরসে চন্দ্রনা নামের ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া একটি মেয়ে তার সাথেই থাকতো। রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নির্মল ও তার স্ত্রী জলি বুনার্জির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে জলিকে মারধর করতে থাকলে জলি দৌড়ে প্রতিবেশী বসন্তের ঘরের সামনে গিয়ে চিৎকার করে। এ এময় নির্মল ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী জলি বুনার্জি ও শাশুড়ি লক্ষ্মী বুর্নাজিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। চিৎকার শুনে বসন্ত ঘর থেকে বের হয়ে ঝগড়া থামাতে চাইলে তাকে ও তার কিশোরী মেয়ে শিউলিকে কোপাতে থাকে নির্মল। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ৪ জন নিহত হন। ৪ জনের মৃত্যু হলে নির্মল বসন্তের ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করে বলে এলাকা বাসি ও পুলিশ জানায়। ওই সময় ঘর থেকে পালিয়ে রক্ষা পায় পালিত মেয়ে চন্দ্রনা। এ ঘটনায় বসন্তের স্ত্রী শুরুতর আহত কানন ভক্তা এখনও সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।