বিশ্বজমিন

মিয়ানমার সফরে ৩৩ চুক্তি স্বাক্ষর করলেন শি

মানবজমিন ডেস্ক

২০ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

গত ১৯ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোনো চীনা প্রেসিডেন্ট হিসেবে মিয়ানমার সফর করলেন শি জিনপিং। সফরকালে তিনি মিয়ানমারের সঙ্গে ৩৩টি চুক্তি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এরমধ্যে অন্যতম, সহিংসতায় জর্জরিত রাখাইনে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ। একইসঙ্গে সেখানে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনেও দুই দেশ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দু’দিনের মিয়ানমার সফরের শেষ দিন শনিবার রাজধানী নেপিদোতে স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচির সঙ্গে এসব চুক্তি স্বাক্ষর করেন শি। রোহিঙ্গা গণহত্যায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড়ের মধ্যেই দেশটিতে দু’দিনের সফরে যান প্রেসিডেন্ট চীনা প্রেসিডেন্ট। বিশ্লেষকরা সফরটিকে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মিয়ানমারকে আরো আপন করে নেয়ার চীনা প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
মিয়ানমার সফরের প্রথম দিনেই নেপিদোতে সু চি ও বার্মিজ সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন শি। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে তিনি উভয় দেশের সম্পর্কের নতুন যুগের কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে সু চি চীনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী মহান দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন।

এসব চুক্তির মধ্যে বেশিরভাগই ছিলো চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা বিআরআইয়ের অন্তর্ভুক্ত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে অবকাঠামোগত উন্নয়নে গতি বৃদ্ধি করতে এ সকল চুক্তি সহায়তা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে বিশ্বজুড়ে চীনের নতুন বাণিজ্য পথ বা সিল্ক রোড পরিকল্পনাও ত্বরান্বিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে চীন থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত রেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, সহিংসতাকবলিত রাখাইনে গভীর সমুদ্রবন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াক্সগুনে একটি নতুন শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status