শেষের পাতা
বার্গনার আসছেন ফেব্রুয়ারিতে
শেষবারের মতো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ দূত লি
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২০ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
শেষবারের মতো কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি। ৪ দিনের সফরে রোববার ঢাকায় পৌঁছে তিনি পরবর্তী ফ্লাইট ধরে কক্সবাজার গেছেন। ৩ দিন তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় কাটাবেন। সেখানে বরাবরের মতো স্থানীয় প্রশাসন, উদ্বাস্তু, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক ও বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক এবং আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করবেন। আগামী মার্চের সমাপনীতে ম্যান্ডেট শেষ হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের ওই বিশেষ দূতের। তিনি অন্তত অর্ধ ডজন সফর করেছেন বাংলাদেশে। রোহিঙ্গা বন্ধু হিসাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খ্যাতি পাওয়া ইয়াং হি লি’র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কও বেশ ঘনিষ্ঠ ছিল। শুরুর দিকে ভাসানচর নিয়ে তার আপত্তিতে ঢাকা রুষ্ট হলেও তিনি একমাত্র জাতিসংঘের কর্মকর্তা যাকে সরকার ভাসানচর প্রকল্পের আদ্যপান্ত সরজমিনে দেখিয়েছে। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি ভাসানচরের রোহিঙ্গা পূনর্বাসনের বিরোধিতা থেকে সরে আসেন। সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, লি তার ম্যান্ডেডের মধ্য থেকে যতটা সম্ভব রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সরব ছিলেন। এ নিয়ে বক্তৃতা বিবৃতিতে তিনি কখনও পিছপা হননি। তবে ভাসানচর নিয়ে তিনি বিরোধিতা না করলেও শেষ পর্যন্ত এটি আটকে গেছে অন্য দাতাদের আপত্তিতে। লি তার এবারের সর্বশেষ কক্সবাজার সফর নিয়ে জেনেভায় দ্রুত একটি রিপোর্ট দেবেন জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এবারের সফরে লি ক্যাম্প থেকে ঢাকায় ফিরে নব নিযুক্ত পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আগামী ২২ শে জানুয়ারি সেই সাক্ষাৎ-বৈঠকটি হতে পারে।
বাংলাদেশকে অস্বস্তিতে ফেলা বার্গনার আছেন ফেব্রুয়ারিতে: এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত সুইজারল্যান্ডের সাবেক কূটনীতিক ক্রিস্টিন শ্যানার বার্গনার তার ৬ষ্ঠ সফরে ফেব্রুয়ারির শুরুতে ঢাকা আসছেন। এর আগে পাঁচবার বাংলাদেশ সফর করলেও তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে দেখেছেন মাত্র একবার। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ার জন্য গত জুলাইতে ইয়াঙ্গুনে এক কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে পরোক্ষভাবে তিনি বাংলাদেশকেই দোষারোপ করেছিলেন। মিয়ানমারের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তার ওই দোষারোপে ঢাকায় চরম অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। যার প্রকাশ ঘটেছিল সেই সময়ের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠকে। সেদিন সচিব তার প্রতি এতটাই বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছিলেন, যে আলোচনার এক পর্যায়ে বার্গনার বলেন, বিশ্বাস করুন, আমি বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চাই। জবাবে পাল্টা প্রশ্ন রেখে পররাষ্ট্র সচিব বলেছিলেন- আমরা কি সাহায্য চেয়েছি? রোহিঙ্গাদের সাহায্য করুন, তাতেই চলবে। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, এবারের সফরে বার্গনার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করবেন।
বাংলাদেশকে অস্বস্তিতে ফেলা বার্গনার আছেন ফেব্রুয়ারিতে: এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত সুইজারল্যান্ডের সাবেক কূটনীতিক ক্রিস্টিন শ্যানার বার্গনার তার ৬ষ্ঠ সফরে ফেব্রুয়ারির শুরুতে ঢাকা আসছেন। এর আগে পাঁচবার বাংলাদেশ সফর করলেও তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে দেখেছেন মাত্র একবার। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ার জন্য গত জুলাইতে ইয়াঙ্গুনে এক কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে পরোক্ষভাবে তিনি বাংলাদেশকেই দোষারোপ করেছিলেন। মিয়ানমারের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তার ওই দোষারোপে ঢাকায় চরম অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। যার প্রকাশ ঘটেছিল সেই সময়ের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠকে। সেদিন সচিব তার প্রতি এতটাই বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছিলেন, যে আলোচনার এক পর্যায়ে বার্গনার বলেন, বিশ্বাস করুন, আমি বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চাই। জবাবে পাল্টা প্রশ্ন রেখে পররাষ্ট্র সচিব বলেছিলেন- আমরা কি সাহায্য চেয়েছি? রোহিঙ্গাদের সাহায্য করুন, তাতেই চলবে। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, এবারের সফরে বার্গনার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করবেন।