বাংলারজমিন
৬ বছর ধরে শিকলবন্দি মোনতাজ!
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
২০ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার, ৮:১৩ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মোনতাজ উদ্দিন (৩০) নামের এক যুবককে ছয় বছর ধরে একটি ঘরে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে। পরিবারের আর্থিক দৈন্যতার কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন এ যুবকের সুচিকিৎসাও করা যাচ্ছে না। উপজেলার চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের ষাইটকাহন গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে মোনতাজ।
জানা যায়, মোনতাজ নামের ওই যুবকের এক চোখ অন্ধ। বাকপ্রতিবন্ধী। বছর ছয়েক আগে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। প্রাথমিক পর্যায়ে কবিরাজি ও ডাক্তারি চিকিৎসা করেও সুস্থ করা যায়নি। একপর্যায়ে অবস্থা আরো খারাপ হয়ে পড়ে। বাড়ির লোকজনসহ আশপাশের লোকজনদের মারধর শুরু করে সে। এরপর থেকেই তাকে বাড়ির একটি ঘরে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে। ওই ঘরেই কাটছে তার দিনকাল। তিন ভাই ও চার বোন রয়েছে তার। বাবা মারা গেছেন অনেক আগে। ভাইয়েরা কোনো রকমে নিজেদের সংসার চালাচ্ছেন। বোনদেরও বিয়ে হয়ে গেছে। বৃদ্ধ মা দোলেনা খাতুন মানসিক ভারসাম্যহীন এ ছেলেকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। আশপাশের লোকজনের বাড়ি থেকে চেয়ে খাবার আনছেন। নিজে খাচ্ছেন তাকেও খাওয়াচ্ছেন। মানসিক ভারসাম্যহীন ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এ ছেলের একটি প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ছুটাছুটি করেও ভাতার কার্ড জুটেনি বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
সরজমিনে মোনতাজের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পশ্চিম পাশের একটি দু’চালা টিনের ঘর। ওই ঘরের একটি পিলারের সঙ্গে মোনতাজের ডান পা শিকল দিয়ে বাঁধা। ঘরের দক্ষিণ পাশ খানিকটা খোলা। ওই ঘরের মেঝেতে একটি কাঁথা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় বসে আছে সে। প্রায় সময় উলঙ্গ অবস্থায় থাকে সে। ওই ঘরেই তার খাওয়া-দাওয়া, প্রস্রাব-পায়খানা ও ঘুমানো। দীর্ঘদিন এভাবে থেকে অনেকটাই উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পড়েছেন মোনতাজ।
মোনতাজ উদ্দিনের বয়োবৃদ্ধ মা দোলেনা খাতুন জানান, প্রায় ছয় বছর ধরে তার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। গ্রাম্য কবিরাজি চিকিৎসাসহ দুলালপুর নামের একটি এলাকায় নিয়ে সেখানে ১৫ দিন থেকে কবিরাজের চিকিৎসা দেয়ায় কিছুদিন ভালো ছিল। পরে আবারো তিনি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এরপর কিশোরগঞ্জ নিয়ে একজন ডাক্তার দেখানো হয়েছে। কিন্তু ভালো হয়নি। সংসারের অভাব অনটনের কারণে উন্নত চিকিৎসা করানো যাচ্ছে না। ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য এলাকার অনেক লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন তিনি। কিন্তু কারও কোনো সহযোগিতা পাননি। এ ছাড়া একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে ছুটাছুটি করেও কোনো কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে চণ্ডিপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামছুদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোনতাজ উদ্দিন যে প্রতিবন্ধী তা আগে শনাক্ত করতে হবে। পরে তাকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন বলেন, মোনতাজ উদ্দিনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে অচিরেই তাকে ভাতার কার্ডের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, মোনতাজ নামের ওই যুবকের এক চোখ অন্ধ। বাকপ্রতিবন্ধী। বছর ছয়েক আগে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। প্রাথমিক পর্যায়ে কবিরাজি ও ডাক্তারি চিকিৎসা করেও সুস্থ করা যায়নি। একপর্যায়ে অবস্থা আরো খারাপ হয়ে পড়ে। বাড়ির লোকজনসহ আশপাশের লোকজনদের মারধর শুরু করে সে। এরপর থেকেই তাকে বাড়ির একটি ঘরে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে। ওই ঘরেই কাটছে তার দিনকাল। তিন ভাই ও চার বোন রয়েছে তার। বাবা মারা গেছেন অনেক আগে। ভাইয়েরা কোনো রকমে নিজেদের সংসার চালাচ্ছেন। বোনদেরও বিয়ে হয়ে গেছে। বৃদ্ধ মা দোলেনা খাতুন মানসিক ভারসাম্যহীন এ ছেলেকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। আশপাশের লোকজনের বাড়ি থেকে চেয়ে খাবার আনছেন। নিজে খাচ্ছেন তাকেও খাওয়াচ্ছেন। মানসিক ভারসাম্যহীন ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এ ছেলের একটি প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ছুটাছুটি করেও ভাতার কার্ড জুটেনি বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
সরজমিনে মোনতাজের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পশ্চিম পাশের একটি দু’চালা টিনের ঘর। ওই ঘরের একটি পিলারের সঙ্গে মোনতাজের ডান পা শিকল দিয়ে বাঁধা। ঘরের দক্ষিণ পাশ খানিকটা খোলা। ওই ঘরের মেঝেতে একটি কাঁথা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় বসে আছে সে। প্রায় সময় উলঙ্গ অবস্থায় থাকে সে। ওই ঘরেই তার খাওয়া-দাওয়া, প্রস্রাব-পায়খানা ও ঘুমানো। দীর্ঘদিন এভাবে থেকে অনেকটাই উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পড়েছেন মোনতাজ।
মোনতাজ উদ্দিনের বয়োবৃদ্ধ মা দোলেনা খাতুন জানান, প্রায় ছয় বছর ধরে তার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। গ্রাম্য কবিরাজি চিকিৎসাসহ দুলালপুর নামের একটি এলাকায় নিয়ে সেখানে ১৫ দিন থেকে কবিরাজের চিকিৎসা দেয়ায় কিছুদিন ভালো ছিল। পরে আবারো তিনি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এরপর কিশোরগঞ্জ নিয়ে একজন ডাক্তার দেখানো হয়েছে। কিন্তু ভালো হয়নি। সংসারের অভাব অনটনের কারণে উন্নত চিকিৎসা করানো যাচ্ছে না। ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য এলাকার অনেক লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন তিনি। কিন্তু কারও কোনো সহযোগিতা পাননি। এ ছাড়া একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে ছুটাছুটি করেও কোনো কাজ হয়নি।
এ ব্যাপারে চণ্ডিপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামছুদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোনতাজ উদ্দিন যে প্রতিবন্ধী তা আগে শনাক্ত করতে হবে। পরে তাকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন বলেন, মোনতাজ উদ্দিনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে অচিরেই তাকে ভাতার কার্ডের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।