এক্সক্লুসিভ
করোনা ভাইরাসের বিস্তারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা
মানবজমিন ডেস্ক
১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৭:৪১ পূর্বাহ্ন
নতুন এক ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ বিষয়ে বিশ্বজুড়ে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার সতর্কতা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ভয়াবহ এই ভাইরাস দেখা দিয়েছে চীনে। একে শনাক্ত করা হচ্ছে চীনা করোনা ভাইরাস হিসেবে। চীনের পর প্রথমবার এ ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে জাপানে। সাগর পাড়ি দিয়ে জাপানে ৩০ এর কোটায় থাকা এক যুবককে সংক্রমিত করেছে এই ভাইরাস। ফলে তড়িঘড়ি করে তা উঠে এসেছে মিডিয়ায়। আগেই এ বিষয়ে সতর্কতা দিয়েছিল ডব্লিউএইচও। কিন্তু চীনের পর জাপানের রাজধানী টোকিওতে ওই যুবকের দেহে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ার পর উদ্বেগ আরো বেড়েছে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়েছে, ওই যুবক জাপানের কানাগাওয়ার। সম্প্রতি তিনি চীনের উহান শহর সফর করেছিলেন। এই উহানে দেখা দিয়েছে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব। ধারণা করা হয়, সেখানে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাবের জন্য দায়ী নতুন এই করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসটির বিষয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, এমন ভাইরাস এর আগে কখনো দেখা যায়নি। ডিসেম্বর থেকে চীনের উহান শহরে এ ভাইরাসে ৪১ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই ভাইরাস থেকে সৃষ্ট নিউমোনিয়াতে মারা গেছেন একজন। ওদিকে চীনের বাইরে গত সপ্তাহে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে প্রথম থাইল্যান্ডে। চীন থেকে থাইল্যান্ড, জাপান ছড়িয়ে পড়ার পর এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে বিস্তার লাভ করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। থাইল্যান্ডে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন একজন চীনা নারী। বিমানবন্দরে নজরদারিতে তার দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। পশুর মাধ্যমে এই ভাইরাস স্থানান্তরিত হয়। ডব্লিউএইচও বলছে, মানুষ থেকে মানুষে এর স্থানান্তর হওয়ার কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত নেই। এ সপ্তাহের শুরুতে ডব্লিউএইচও’র জরুরি রোগ ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ড. মারিয়া ভ্যান কারখোভে বলেছেন, এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে বিশ্বজুড়ে হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। তাই আমাদের নিজেদেরই প্রস্তুত থাকা দরকার।
প্রতি বছর চীন সফরে যান প্রায় ৫ লাখ ৯৫ হাজার বৃটিশ। তাদের কাছে এটি পর্যটনের একটি প্রাণকেন্দ্র। তাই যেকোনো ব্যক্তির জ্বর হলে সে বিষয়ে চীনের কিছু হাসপাতালকে রিপোর্ট করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রতি বছর চীন সফরে যান প্রায় ৫ লাখ ৯৫ হাজার বৃটিশ। তাদের কাছে এটি পর্যটনের একটি প্রাণকেন্দ্র। তাই যেকোনো ব্যক্তির জ্বর হলে সে বিষয়ে চীনের কিছু হাসপাতালকে রিপোর্ট করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।