প্রথম পাতা

পুঁজিবাজারে কান্না, বিক্ষোভ

এম এম মাসুদ

১৫ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৯:১০ পূর্বাহ্ন

দেশের শেয়ারবাজারে আবারও ভয়াবহ দরপতন হয়েছে। গতকাল পতনে সূচক আরো তলানিতে নেমে গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ৮৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪ হাজার ৩৬ পয়েন্টে। যা গত ৪ বছর ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এতে চালুর পর ভিত্তি পয়েন্টের নিচে নেমে গেছে সূচকটি। টানা পতনের ফলে গত ২ বছরের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১,১৫,০০০ কোটি টাকা। প্রতিদিনই শেয়ারের দর হারিয়ে পথে বসছেন বিনিয়োগকারীরা। পূঁজি হারিয়ে চোখের পানি ফেলছেন অনেকে। বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বিনিয়োগকারীরা। এমনকি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও শেয়ারবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

অন্যদিকে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের গঠিত সমন্বয় ও তদারকি কমিটি আগামী ২০শে জানুয়ারি বৈঠকে বসবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় বাংলাদেশ ব্যাংকও কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলেন, বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতাই পতনের মূল কারণ। বিনিয়োগকারীরা বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির ওপর থেকে পুরোপুরি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। কারণ ২০১৯ সালজুড়ে শেয়ারবাজারের টানা পতনের পর নতুন বছরে নতুন আশায় বুক বেঁধেছিলেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। নতুন বছরে বাজারে প্রাণ ফেরাতে ২রা জানুয়ারি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকে বসে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও ডিএসই কর্তৃপক্ষ। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গুজবের কারণে পুঁজিবাজার পড়ছে। অর্থমন্ত্রীর বৈঠক পরবর্তী সূচকের আরো বড় পতন ঘটে। এছাড়া সরকারের নানা আশ্বাসে ভরসা পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারবাজার ভালো হবে, হচ্ছে, এমন প্রতিশ্রুতি শুনে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী বাজারে বিনিয়োগ করে এখন প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এক বছরের ব্যবধানে ডিএসই’র প্রধান সূচক কমেছে ১ হাজার ৭৩৭ পয়েন্ট। এদিকে গতকাল ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৮৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৩৬ পয়েন্টে; যা গত ৪ বছর ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৫ সালের ৫মে এই সূচকের অবস্থান ছিল ৪ হাজার ১৪ পয়েন্ট। ফলে চালুর পর ভিত্তি পয়েন্টের নিচে নেমে গেল সূচকটি। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে ডিএসইএক্স ও ডিএস৩০ সূচক চালু হয়। ওই সময় ডিএসইএক্স সূচকের ভিত্তি পয়েন্ট ছিল ৪ হাজার ৫৫ পয়েন্ট। আর ডিএস৩০ ছিল ১ হাজার ৪৬০ পয়েন্ট। একই সঙ্গে বেশিরভাগ শেয়ারের দাম ৯ বছর আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ২২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯০৭ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে। ডিএসইতে গতকাল ২৬২ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গত কার্যদিবস থেকে ২৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৮৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। ডিএসইতে ৩৫৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২টির, কমেছে  ২৯৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির।

অপরদিকে সিএসইতে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৬৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২ হাজার ৩০০ পয়েন্টে। সিএসইতে টাকার অংকে ৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, ২০১০ সালে ধসের পর এত দীর্ঘ সময় ধরে বাজারে এমন মন্দাভাব আর দেখা যায়নি। প্রতিদিনই শেয়ারের দাম কমছে, আর বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারাচ্ছেন। যারা ঋণ করে বিনিয়োগ করেছেন, তাদের অনেকে এরই মধ্যে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।

বাজার মূলধন: গত এক বছরের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ১ লাখ কোটি টাকা। গত বছরের ১৪ জানুয়ারি ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ১৩ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। আর গতকল দিন শেষে তা নেমে এসেছে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকায়। আর গত দুই বছরের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ লাখ ১৫ হাজার ১১২ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ৩রা জানুয়ারিতে ডিএসই বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা।

আইপিও: প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বন্ধ থাকায় দেশের পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহে একপ্রকার ধস নেমেছে। বিদায়ী ২০১৯ সালে আইপিও ও রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৯ সালে আইপিও ও রাইট শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ৬৪১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে এ দুই মাধ্যমে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয় ৬৫৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ হিসাবে বছর ব্যবধানে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ কমেছে ১৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। কেবল ২০১৮ সালের তুলনায় নয়, ২০০৯ সাল বা গত ১১ বছরের মধ্যে আইপিও ও রাইট শেয়ারের মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে এত কম অর্থ সংগ্রহ আর হয়নি।

বিও অ্যাকাউন্ট: সেন্ট্রাল ডিপজিটরি অব বাংলাদেশ (সিডিবিএল) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ২ লাখের বেশি বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজার ছেড়েছেন অর্থাৎ ২ লাখের বেশি বিও একাউন্ট কমেছে। ২০১৮ সালের শেষ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী ছিল ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ৭৯৭ জন। ঠিক এক বছর পর অর্থাৎ ২০১৯ সালের শেষ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৩০১ জনে। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে বাজারে নতুন করে বিনিয়োগকারী কমেছে ২ লাখ ৪৯৬ জন।

বিদেশি বিনিয়োগকারী কমছে: বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সাধারণত যেকোনো বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন সূচক ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির তথ্য পর্যালোচনা করে থাকেন। পর্যালোচনায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও শেয়ারবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ২০১৮ সালে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। যা গত বছর কমে হয় ৭ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা। এই দুই বছরেই বিদেশিরা শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি করেছেন অনেক বেশি। সম্প্রতি মতিঝিলের জীবন বীমা টাওয়ারে সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অফিস উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন। এ সময় পুঁজিবাজারে ধসের কারণ হিসেবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি করাকে চিহ্নিত করেন তিনি।

একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীরা বলেন, অতীতে যখন বাজারে অস্থিরতা দেখা দিত, তখন বিনিয়োগকারীরা পুঁজি রক্ষায় ব্লুচিপস বা ভালো মানের কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতেন। এবার ঘটছে ঠিক উল্টো। সামপ্রতিক দরপতনে ভালো মানের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা আরো বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই। বিএসইসির শীর্ষ পদে এমন একজন ব্যক্তিকে বসাতে হবে, যিনি হবেন দক্ষ, সৎ ও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্ত।

নেতৃত্বশূন্য ডিএসই-সিএসই: দীর্ঘদিন ধরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছাড়াই চলছে ডিএসই। নিয়োগ নিয়ে চলছে দ্বন্দ্ব। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে। অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে এমডির পদটিও সাত মাসের বেশি সময় শূন্য রয়েছে। কয়েক দফায় বিজ্ঞাপন দিয়েও সংস্থাটি এমডি নিয়োগে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ভারপ্রাপ্ত এমডি দিয়ে চলছে দৈনন্দিন কার্যক্রম।

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জ্জা এ বি মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাজারের যেভাবে দরপতন চলছে, তা পুরোপুরি অযৌক্তিক। ভালো কিছু কোম্পানির শেয়ারের দামের যেভাবে দরপতন ঘটছে, তার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। মির্জ্জা আজিজ মনে করেন, এই মুহূর্তে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে এগিয়ে না এলে অবস্থার উন্নতি হবে না।

বিক্ষোভ: দরপতনে পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা আবারো বিক্ষোভ করেছেন। সেখানে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়েছেন তারা। দাবি জানিয়েছেন পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার। তারা আগামী ১৭ মার্চ, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আগেই পুঁজিবাজারকে স্বাভাবিক করার দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা।

গতাকল দুপুরে মতিঝিলের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী পরিষদ এ বিক্ষোভের আয়োজন করে। সংগঠনের সদস্যরা এ সময় নানা স্লোগান দেন। স্লেগানের মধ্যে ছিল- শেয়ারবাজার ঠিক কর, নইলে বুকে গুলি করো; শেয়ারবাজার পড়ল কেন, খায়রুল তুই জবাব দে; সেল বাই বন্ধ কর, করতে হবে; আমার টাকা আমার টাকা, ফিরিয়ে দাও ফিরিয়ে দাও ইত্যাদি।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, গত ১০ বছরে ৯৫টি বস্তাপঁচা কোম্পানি মার্কেটে যুক্ত করা হয়েছে। নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে বহু টাকা লুটে নিয়েছে তারা। বিক্ষোভের পর মিছিল করার ইচ্ছা থাকলেও প্রশাসনের চাপে আমরা তা করতে পারিনি। আজ বুধবার আবারও বিক্ষোভের প্রদর্শনের ঘোষণা দেন তিনি।

অর্থমন্ত্রণালয়ের তদারকি কমিটির বৈঠক: পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের গঠিত সমন্বয় ও তদারকি কমিটি আগামী ২০শে জানুয়ারি বৈঠকে বসবে। বৈঠকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশ (ডিবিএ) এর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসবিচ ড. নাহিদ হোসেন সাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূরকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অর্থমন্ত্রাণলয়।

এদিক দেশের পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের এযাবতকালের যতগুলো প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এরমধ্যে সর্বোত্তম প্রস্তাব বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর এক প্রতিনিধি দল গভর্নর ফজলে কবীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় ব্যাংক ও আর্থিক খাতের বি?ভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

জানতে চাইলে শেয়ারবাজার বিশ্লেষক অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, গত ১০ বছরে শেয়ারবাজারকে সামান্য পরিমাণ এগিয়ে নিতে পারেনি সরকার। আপাতত বাজারের কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন নেই। এতে, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এটা খুবই আশঙ্কার বিষয়, কারণ যারা বাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছে তাদের ফেরানো খুবই কঠিন হবে। বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ এখন মনে করছেন, বিনিয়োগ ধরে রাখার মানে হচ্ছে আরও লোকসান গোনা। তাই তারা দ্রুত শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status