খেলা
মুজিববর্ষ’র শুরুটা রাঙাতে চায় বাংলাদেশ
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৫ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
১০ই জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শুরু হয়েছে মুজিববর্ষ’র ক্ষণগণনা। ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। মুজিববর্ষে রাষ্ট্রীয় ২৮৮টি আয়োজনের মধ্যে খেলাধুলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে রয়েছে ১০০টির মতো আয়োজন। শুরুটা হচ্ছে আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে। বিকাল ৫টায় উদ্বোধনী ম্যাচে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে মুবিজবর্ষ’র আয়োজনের শুরুটা রাঙাতে চায় বাংলাদেশ। অন্যরকম এক আয়োজনের ম্যাচটি ঢাকার বঙ্গন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু হবে বিকাল পাঁচটায়।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আগের আসরে এই ফিলিস্তিনের কাছে সেমিফাইনালে হেরেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার দৃশ্যপট খানিকটা ভিন্ন। জাতীয় দলের মাত্র ছয় ফুটবলার নিয়ে বঙ্গবন্ধু কাপ খেলতে এসেছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১০৬ নম্বরে থাকা ফিলিস্তিন। এই টুর্নামেন্ট উপলক্ষে তাদের প্রস্তুতি মাত্র চার দিনের। তারপরেও শিরোপা ধরে রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ফিলিস্তিনের তিউনিশিয়ান কোচ মারকাম দাবুব। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের ছ’জন জাতীয় দলের ও ছ’জন অলিম্পিক খেলোয়াড় রয়েছেন। বাকিরা ঘরোয়া লীগে খেলেছেন। গতবারের চেয়ে এবারের দলে অভিজ্ঞতার কিছুটা ঘাটতি থাকলেও আমরা পুনরায় শিরোপা জিততেই এসেছি। আশা করি, ভালো ফুটবল খেলে শিরোপা জিততে সক্ষম হবো।’ ফিলিস্তিন দল নিয়ে বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে বলেন, ‘গতবারের দলের সঙ্গে এবারের দলে তাদের অনেক পরিবর্তন রয়েছে। সুযোগ রয়েছে ওদের বিপক্ষে আমাদের ভালো করার।’ জেমি ডে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে পয়েন্ট প্রত্যাশা করে বলেন, ‘আমরা ভারতের বিপক্ষে যেমন খেলেছি এবং ওমানের বিপক্ষে প্রথমার্ধে যা খেলেছিলাম এটি কাল খেলতে পারলে অবশ্যই পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব। আর যদি ওমানের দ্বিতীয়ার্ধের মতো খেলি তাহলে তো কিছু করার থাকবে না। ’ আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা গোল স্কোরিং। ফরোয়ার্ড নবীব নেওয়াজ জীবন ছিলেন সবেধন নীলমনি। জীবনও অসুস্থ। জীবনের জায়গায় কোচ কাকে খেলাবেন এটি স্পষ্ট করে বলেননি। তবে বাংলাদেশের ফুটবল কাঠামো নিয়ে কথা বলেছেন জেমি। তিনি বলেন, ‘ক্লাব পর্যায়ে দেশি ফুটবলাররা স্ট্রাইকিংয়ে সুযোগ পেলে জাতীয় দলের জন্য ভালো। যেমন সাদউদ্দিন যদি ক্লাব ফুটবলে স্ট্রাইকিংয়ে খেলতো, আমরা আরো একটু নির্ভার থাকতে পারতাম।’ বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা খেলার মধ্যেই রয়েছি। পাশাপাশি প্রস্তুতিও নিয়েছি যথেষ্ট। আশা করি ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভালো ম্যাচই খেলতে পারবো।’ ফিলিস্তিনের হেড কোচ নূর উদ্দিন আসেননি তার সহকারী মারকামই এখানে মূল কোচের ভূমিকায় থাকবেন। তিনি বলেন, ‘সর্বপ্রথম আমাদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ। এখানে আসার আগে আমরা মাত্র চারদিন অনুশীলন করেছি। দুইজন জার্মান লীগে খেলা ফুটবলারসহ সময়ের সেরা ফুটবলারদের নিয়ে আমরা বাংলাদেশে এসেছি। গতবার আমরা সেমিফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গে খেলেছি। এবার খেলতে হচ্ছে একই গ্রুপে। বেশ কয়েকজন ভালোমানের ফুটবলার রয়েছে, বেশ ভালো একটি দল।’ বাংলাদেশের মতো আফ্রিকার দেশগুলো সম্পর্কে ধারণা নেই ফিলিস্তিনের, ‘আফ্রিকার দলগুলোও বেশ শক্তিশালী। এরপরও শিরোপা জয়ের ব্যাপারে সবদলের সমান সুযোগ রয়েছে। আর আমরা এবারো চ্যাম্পিয়ন হতেই এসেছি। তবে আমাদের শক্ত প্রতিপক্ষ হতে পারে বুরুন্ডি। ফিলিস্তিনের অন্যতম ফুটবলার মোহাম্মদ জারইউস বলেন, ‘এটি নতুন দল, আর এই দলে আমি প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছি। বাংলাদেশে এটি আমার প্রথম সফর। টুনার্মেন্টের শিরোপা জিতে আমি আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো।’ জাতির পিতার নামের এই টুর্নামেন্টের এটি ষষ্ঠ আয়োজন। আগের পাঁচ আসরে বাংলাদেশ একবার ফাইনাল খেলেছে। ২০১৫ সালে তৃতীয় আসরের ফাইনালে বাংলাদেশ পরাজিত হয় মালয়েশিয়ার অনূর্ধ্ব-২২ দলের কাছে।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আগের আসরে এই ফিলিস্তিনের কাছে সেমিফাইনালে হেরেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার দৃশ্যপট খানিকটা ভিন্ন। জাতীয় দলের মাত্র ছয় ফুটবলার নিয়ে বঙ্গবন্ধু কাপ খেলতে এসেছে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১০৬ নম্বরে থাকা ফিলিস্তিন। এই টুর্নামেন্ট উপলক্ষে তাদের প্রস্তুতি মাত্র চার দিনের। তারপরেও শিরোপা ধরে রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ফিলিস্তিনের তিউনিশিয়ান কোচ মারকাম দাবুব। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের ছ’জন জাতীয় দলের ও ছ’জন অলিম্পিক খেলোয়াড় রয়েছেন। বাকিরা ঘরোয়া লীগে খেলেছেন। গতবারের চেয়ে এবারের দলে অভিজ্ঞতার কিছুটা ঘাটতি থাকলেও আমরা পুনরায় শিরোপা জিততেই এসেছি। আশা করি, ভালো ফুটবল খেলে শিরোপা জিততে সক্ষম হবো।’ ফিলিস্তিন দল নিয়ে বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে বলেন, ‘গতবারের দলের সঙ্গে এবারের দলে তাদের অনেক পরিবর্তন রয়েছে। সুযোগ রয়েছে ওদের বিপক্ষে আমাদের ভালো করার।’ জেমি ডে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে পয়েন্ট প্রত্যাশা করে বলেন, ‘আমরা ভারতের বিপক্ষে যেমন খেলেছি এবং ওমানের বিপক্ষে প্রথমার্ধে যা খেলেছিলাম এটি কাল খেলতে পারলে অবশ্যই পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব। আর যদি ওমানের দ্বিতীয়ার্ধের মতো খেলি তাহলে তো কিছু করার থাকবে না। ’ আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা গোল স্কোরিং। ফরোয়ার্ড নবীব নেওয়াজ জীবন ছিলেন সবেধন নীলমনি। জীবনও অসুস্থ। জীবনের জায়গায় কোচ কাকে খেলাবেন এটি স্পষ্ট করে বলেননি। তবে বাংলাদেশের ফুটবল কাঠামো নিয়ে কথা বলেছেন জেমি। তিনি বলেন, ‘ক্লাব পর্যায়ে দেশি ফুটবলাররা স্ট্রাইকিংয়ে সুযোগ পেলে জাতীয় দলের জন্য ভালো। যেমন সাদউদ্দিন যদি ক্লাব ফুটবলে স্ট্রাইকিংয়ে খেলতো, আমরা আরো একটু নির্ভার থাকতে পারতাম।’ বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা খেলার মধ্যেই রয়েছি। পাশাপাশি প্রস্তুতিও নিয়েছি যথেষ্ট। আশা করি ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভালো ম্যাচই খেলতে পারবো।’ ফিলিস্তিনের হেড কোচ নূর উদ্দিন আসেননি তার সহকারী মারকামই এখানে মূল কোচের ভূমিকায় থাকবেন। তিনি বলেন, ‘সর্বপ্রথম আমাদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ। এখানে আসার আগে আমরা মাত্র চারদিন অনুশীলন করেছি। দুইজন জার্মান লীগে খেলা ফুটবলারসহ সময়ের সেরা ফুটবলারদের নিয়ে আমরা বাংলাদেশে এসেছি। গতবার আমরা সেমিফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গে খেলেছি। এবার খেলতে হচ্ছে একই গ্রুপে। বেশ কয়েকজন ভালোমানের ফুটবলার রয়েছে, বেশ ভালো একটি দল।’ বাংলাদেশের মতো আফ্রিকার দেশগুলো সম্পর্কে ধারণা নেই ফিলিস্তিনের, ‘আফ্রিকার দলগুলোও বেশ শক্তিশালী। এরপরও শিরোপা জয়ের ব্যাপারে সবদলের সমান সুযোগ রয়েছে। আর আমরা এবারো চ্যাম্পিয়ন হতেই এসেছি। তবে আমাদের শক্ত প্রতিপক্ষ হতে পারে বুরুন্ডি। ফিলিস্তিনের অন্যতম ফুটবলার মোহাম্মদ জারইউস বলেন, ‘এটি নতুন দল, আর এই দলে আমি প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছি। বাংলাদেশে এটি আমার প্রথম সফর। টুনার্মেন্টের শিরোপা জিতে আমি আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো।’ জাতির পিতার নামের এই টুর্নামেন্টের এটি ষষ্ঠ আয়োজন। আগের পাঁচ আসরে বাংলাদেশ একবার ফাইনাল খেলেছে। ২০১৫ সালে তৃতীয় আসরের ফাইনালে বাংলাদেশ পরাজিত হয় মালয়েশিয়ার অনূর্ধ্ব-২২ দলের কাছে।