খেলা
মুমিনুলের টি-টোয়েন্টি গুরু তামিম
ইশতিয়াক পারভেজ
১৫ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
মুমিনুর হক সৌরভ। টেস্ট স্পেসালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবেই পরিচিত। সবশেষ ভারতের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে অধিনায়ক করা হয় তাকে। বলা হচ্ছে, লম্বা সময়ের কথা চিন্তা করেই মুমিনুলের কাঁধে তুলে দেয়া হয়েছে নেতৃত্বভার। যদিও প্রথম মিশনে ব্যর্থ হওয়ায় তার অধিনায়কত্ব কতদিন স্থায়ী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মুমিনুলের জায়গা হচ্ছে না দলে। তাই বঙ্গবন্ধু বিপিএলকে তিনি বেছে নেন নিজেকে প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে। শুরুতে ভালো না হলেও শেষদিকে তার ব্যাট হেসেছে। ঢাকা প্লাটুনের হয়ে খেলেছেন ৯১ রানের দারুণ এক ইনিংস। দুই ফিফটিতে ১০ ম্যাচে ১২২.২২ স্টাইক রেটে তার সংগ্রহ ২৯৭ রান। ঢাকা পৌঁছতে পারেনি কোয়ালিফায়ারে। মুমিনুলকেও তাই থেমে যেতে হয়েছে। এবারের আসরে নিজের পারফরম্যান্সে খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারেননি মুমিনুল। নিজেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার বলে দাবিও করতে পারছে না। তবে ছোট ফরম্যাটে খুঁজে পেয়েছেন উন্নতির পথ। সেই পথ ধরেই এগিয়ে যেতে চান। দৈনিক মানবজমিনকে সামনের দিনগুলো নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানালেন মুমিনুল। তার কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন: কেমন কাটলো বিপিএল?
মুমিনুল: ভালো-মন্দ দুই দিকই দেখেছি এবার বিপিএল-এ। তবে দল আমার উপর আস্থা রাখায় শেষ পর্যন্ত ছন্দ খুঁজে পেয়েছি। রান করার চেষ্টা করেছি। দলের প্রয়োজনে নিজেকে মেলে ধরতে চেষ্টা করেছি। তবে যতটা আশা করেছিলাম, তা পারিনি। দল যদি ফাইনালে খেলতে পারতো, ভালো লাগতো।
প্রশ্ন: নিজেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচনা করতে পারছেন?
মুমিনুল: না, এখনো পারিনি। আমি বলবোও না, আমাকে এখনই টি-টোয়েন্টির জন্য বিবেচনা করা হোক। আরো অনেক ক্রিকেটার আছে যারা দারুণ করেছে। তাদের প্রধান্য দিতে বলবো। তবে এটি সত্যি যে, এই ফরম্যাটে উন্নতির পথে মাত্র যাত্রা শুরু করেছি। আমাকে আরো ভালো করতে হবে, সেটাই জানি।
প্রশ্ন: টি-টোয়েন্টিতে গায়ে জোর না থাকলেও বড় ইনিংস খেলা যায়, আপনার ৯১ রানের ইনিংসটি তা প্রমাণ করে?
মুমিনুল: আমি সত্যি কথাটাই বলি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অবশ্যই কব্জির জোর থাকতে হবে। শুধু টেকনিক দিয়ে আপনি উতরে যেতে পারবেন না সব সময়। আমাদের মত যারা একটু দুর্বল ব্যাটসম্যান বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে টেকনিক দিয়ে খেলতে হবে বেশি। সুযোগ পেলে ছয়-চার মারতে হবে। আমাদের দৌড়ে রান নেয়ার সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে। যেন দুই বা তিন রান দৌড়ে নিতে পারি। রনিং বিটুউন দ্য উইকেট যতটা ভালো হবে ততো উইকেটে টিকে থাকা যাবে। অবশ্যই আমাদের জন্য টেকনিকটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: শুরুতে না পারলেও শেষ দিকে নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন। এখানে কোচ সালাউদ্দিনের ভূমিকা কতোটা?
মুমিনুল: স্যার তো (সালাউদ্দিন) ছিলেনই। কিন্তু এবার আমার ভালো খেলার পেছনে তামিম ভাই দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি আমাকে কোন পরিস্থিতে কীভাবে ব্যাট করতে হয় তা বলেছেন। দেখিয়েছেন টি-টোয়েন্টি কীভাবে রান করতে হয়। স্যার আমার দুর্বলতাগুলো দেখিয়েছেন। সব সময়ই তিনি তা করেন। আমি বলবো, আমি এই বিপিএল-এ যতটা ভালো করেছি তার পেছনে তামিম ভাইয়ের অনেক অবদান ছিল।
প্রশ্ন: দল ছিটকে পড়েছে, এখন অবসরে আপনার কাজ কি?
মুমিনুল: টি-টোয়েন্টি চেষ্টা করেছি নিজেকে উন্নতি করতে। সামনে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ। আমি মনে হয় গাজীর হয়ে খেলবো এবার। এখন ওয়ানডেতেও যেন নিজের উন্নতি করতে পারি সেই চেষ্টা করবো। জানি সময় লাগবে। তিন ফরম্যাটের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করাই আমার কাজ।
প্রশ্ন: টেস্টে পারিশ্রমিক প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, ভালো সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন?
মুমিনুল: ভালো না মন্দ তা বলার আগে বিবিসিকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। আমি মনে করি, এই সিদ্ধান্ত দেশের টেস্ট ক্রিকেটের চিত্র বদলে দেবে। টেস্ট খেলতে তারা আগ্রহী ছিলেন না তারাই এবার মন দেবেন টেস্টে। সত্যি বলতে আমি দারুণ খুশি এমন একটা উদ্যোগে। এমনটাই চেয়েছিলাম। চাই আরো ভালো কিছু হোক।
প্রশ্ন: যদি পাকিস্তান খেলতে যাওয়ার প্রস্তাব পান, যাবেন?
মুমিনুল: এখনো ভাবনি এ নিয়ে। সবচেয়ে বড় কথা হলো পরিবারের অনুমতি নিতে হবে। আগে একা ছিলাম। এখন নয়। তাই পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেবো।
প্রশ্ন: কেমন কাটলো বিপিএল?
মুমিনুল: ভালো-মন্দ দুই দিকই দেখেছি এবার বিপিএল-এ। তবে দল আমার উপর আস্থা রাখায় শেষ পর্যন্ত ছন্দ খুঁজে পেয়েছি। রান করার চেষ্টা করেছি। দলের প্রয়োজনে নিজেকে মেলে ধরতে চেষ্টা করেছি। তবে যতটা আশা করেছিলাম, তা পারিনি। দল যদি ফাইনালে খেলতে পারতো, ভালো লাগতো।
প্রশ্ন: নিজেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচনা করতে পারছেন?
মুমিনুল: না, এখনো পারিনি। আমি বলবোও না, আমাকে এখনই টি-টোয়েন্টির জন্য বিবেচনা করা হোক। আরো অনেক ক্রিকেটার আছে যারা দারুণ করেছে। তাদের প্রধান্য দিতে বলবো। তবে এটি সত্যি যে, এই ফরম্যাটে উন্নতির পথে মাত্র যাত্রা শুরু করেছি। আমাকে আরো ভালো করতে হবে, সেটাই জানি।
প্রশ্ন: টি-টোয়েন্টিতে গায়ে জোর না থাকলেও বড় ইনিংস খেলা যায়, আপনার ৯১ রানের ইনিংসটি তা প্রমাণ করে?
মুমিনুল: আমি সত্যি কথাটাই বলি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অবশ্যই কব্জির জোর থাকতে হবে। শুধু টেকনিক দিয়ে আপনি উতরে যেতে পারবেন না সব সময়। আমাদের মত যারা একটু দুর্বল ব্যাটসম্যান বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে টেকনিক দিয়ে খেলতে হবে বেশি। সুযোগ পেলে ছয়-চার মারতে হবে। আমাদের দৌড়ে রান নেয়ার সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে। যেন দুই বা তিন রান দৌড়ে নিতে পারি। রনিং বিটুউন দ্য উইকেট যতটা ভালো হবে ততো উইকেটে টিকে থাকা যাবে। অবশ্যই আমাদের জন্য টেকনিকটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: শুরুতে না পারলেও শেষ দিকে নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন। এখানে কোচ সালাউদ্দিনের ভূমিকা কতোটা?
মুমিনুল: স্যার তো (সালাউদ্দিন) ছিলেনই। কিন্তু এবার আমার ভালো খেলার পেছনে তামিম ভাই দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি আমাকে কোন পরিস্থিতে কীভাবে ব্যাট করতে হয় তা বলেছেন। দেখিয়েছেন টি-টোয়েন্টি কীভাবে রান করতে হয়। স্যার আমার দুর্বলতাগুলো দেখিয়েছেন। সব সময়ই তিনি তা করেন। আমি বলবো, আমি এই বিপিএল-এ যতটা ভালো করেছি তার পেছনে তামিম ভাইয়ের অনেক অবদান ছিল।
প্রশ্ন: দল ছিটকে পড়েছে, এখন অবসরে আপনার কাজ কি?
মুমিনুল: টি-টোয়েন্টি চেষ্টা করেছি নিজেকে উন্নতি করতে। সামনে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ। আমি মনে হয় গাজীর হয়ে খেলবো এবার। এখন ওয়ানডেতেও যেন নিজের উন্নতি করতে পারি সেই চেষ্টা করবো। জানি সময় লাগবে। তিন ফরম্যাটের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করাই আমার কাজ।
প্রশ্ন: টেস্টে পারিশ্রমিক প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, ভালো সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন?
মুমিনুল: ভালো না মন্দ তা বলার আগে বিবিসিকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। আমি মনে করি, এই সিদ্ধান্ত দেশের টেস্ট ক্রিকেটের চিত্র বদলে দেবে। টেস্ট খেলতে তারা আগ্রহী ছিলেন না তারাই এবার মন দেবেন টেস্টে। সত্যি বলতে আমি দারুণ খুশি এমন একটা উদ্যোগে। এমনটাই চেয়েছিলাম। চাই আরো ভালো কিছু হোক।
প্রশ্ন: যদি পাকিস্তান খেলতে যাওয়ার প্রস্তাব পান, যাবেন?
মুমিনুল: এখনো ভাবনি এ নিয়ে। সবচেয়ে বড় কথা হলো পরিবারের অনুমতি নিতে হবে। আগে একা ছিলাম। এখন নয়। তাই পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেবো।