বিশ্বজমিন
আরব আমিরাতে এক বাংলাদেশী পরিবারের আর্তনাদ
মানবজমিন ডেস্ক
১১ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
সংযুক্ত আরব আমিরাতে কঠিন এক সময় পাড় করছে বাংলাদেশী একটি পরিবার। ৫ সদস্যের ওই পরিবারের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অর্থাভাবে তারা ভিসা নবায়ন করাতে পারেন নি। এর ফলে যেকোনো সময় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। পরিবারের প্রধান হলেন জুবাইর কামরান। তিনি ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেছেন ভারতের মুম্বইয়ের ফাতিমাকে। ফাতিমা আগে ছিলেন কাঞ্চন। পরে ইসলাম গ্রহণের পর তাদের বিয়ে হয়। তিন দশক ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করেন ফাতিমা। তাদের রয়েছে তিনটি সন্তান। তারা হলো সালমান (১৮), জমজ দুই ভাই মোহাম্মদ ও আহমদ (১৩)। তিন ভাই-ই পড়াশোনা করে আরব আমিরাতের আজমানে। আর্থিক সঙ্কটের কারণে তাদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এ খবর দিয়ে অনলাইন গালফ নিউজ বলছে, পিতামাতার আর্থিক সঙ্কটের জন্য তারা স্কুল ও কলেজের ফি শোধ করতে পারছে না।
এমন অবস্থায় তাদের মা ফাতিমা মাঝে মাঝেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, আমার স্বামীর ছিল কম্পিউটারের ব্যবসা। কিন্তু অনাকাঙ্খিতভাবে সেই ব্যবসায় ধস নামে। এরপর থেকেই বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে আমাদের। আমাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কারণ, তা নবায়ন করার মতো অর্থ আমাদের নেই। অন্যের কাছ থেকে ধারদেনা করে, চেয়েচিন্তে বেঁচে আছি।
কথা বলতে বলতে তিনি দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন। কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে। তবু ফাতিমা বলেন, আমাদের জীবন ভালই চলছিল। আমাদের কখনো কোনো চাহিদা অপূর্ণ ছিল না। কিন্তু ভাগ্য যাবে কোথা! ২০১৭ সালে আমার স্বামী জুবাইরের ব্যবসায় মারাত্মক লোকসান হয়। সেই ক্ষতি আর তিনি কাটিয়ে উঠতে পারেন নি। এতে কম্পিউটার ব্যবস্থা গুটিয়ে ফেলতে হয়।
তারপর থেকে চুলা জ্বালাতে আমাদেরকে জমিয়ে রাখা অর্থের ওপর নির্ভর করতে হয়। এভাবে শেষ দিরহামটি পর্যন্ত খরচ হয়ে গেছে। আমার স্বামী ও বড় ছেলে সংসারে সাহায্য করার জন্য কাজ খুঁজতে থাকে। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদেরকে কেউই কাজে নিতে রাজি হয় না।
ফাতিমা বলেন, এ অবস্থায় আজমানে একটি সেন্টারে আমি ক্লাস নিই। বিনিময়ে তারা আমাকে খাবারের কুপন দেয়। এ ছাড়া আমাদের বাসার সব সেবার লাইন যখন ডিসকানেক্ট করে দেয়া হয় তখন এর বিল দিতে তারা আমাকে সাহায্য করেন। আমাদের এখন ভীষণভাবে সাহায্য প্রয়োজন। তা নাহলে সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে। নষ্ট হয়ে যাবে তাদের উজ্বল ভবিষ্যত। তারা দেশে ফিরলে সেখানে মানিয়ে নিতে পারবে না।
এমন অবস্থায় তাদের মা ফাতিমা মাঝে মাঝেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, আমার স্বামীর ছিল কম্পিউটারের ব্যবসা। কিন্তু অনাকাঙ্খিতভাবে সেই ব্যবসায় ধস নামে। এরপর থেকেই বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে আমাদের। আমাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কারণ, তা নবায়ন করার মতো অর্থ আমাদের নেই। অন্যের কাছ থেকে ধারদেনা করে, চেয়েচিন্তে বেঁচে আছি।
কথা বলতে বলতে তিনি দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন। কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে। তবু ফাতিমা বলেন, আমাদের জীবন ভালই চলছিল। আমাদের কখনো কোনো চাহিদা অপূর্ণ ছিল না। কিন্তু ভাগ্য যাবে কোথা! ২০১৭ সালে আমার স্বামী জুবাইরের ব্যবসায় মারাত্মক লোকসান হয়। সেই ক্ষতি আর তিনি কাটিয়ে উঠতে পারেন নি। এতে কম্পিউটার ব্যবস্থা গুটিয়ে ফেলতে হয়।
তারপর থেকে চুলা জ্বালাতে আমাদেরকে জমিয়ে রাখা অর্থের ওপর নির্ভর করতে হয়। এভাবে শেষ দিরহামটি পর্যন্ত খরচ হয়ে গেছে। আমার স্বামী ও বড় ছেলে সংসারে সাহায্য করার জন্য কাজ খুঁজতে থাকে। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদেরকে কেউই কাজে নিতে রাজি হয় না।
ফাতিমা বলেন, এ অবস্থায় আজমানে একটি সেন্টারে আমি ক্লাস নিই। বিনিময়ে তারা আমাকে খাবারের কুপন দেয়। এ ছাড়া আমাদের বাসার সব সেবার লাইন যখন ডিসকানেক্ট করে দেয়া হয় তখন এর বিল দিতে তারা আমাকে সাহায্য করেন। আমাদের এখন ভীষণভাবে সাহায্য প্রয়োজন। তা নাহলে সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে। নষ্ট হয়ে যাবে তাদের উজ্বল ভবিষ্যত। তারা দেশে ফিরলে সেখানে মানিয়ে নিতে পারবে না।