শেষের পাতা
কেরানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড, চলে গেলেন আরো ৫ জন
স্টাফ রিপোর্টার
১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, ৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানায় আগুনে দগ্ধ আরো পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চারজন। দুর্জয় নামের আরেক কিশোরের মৃত্যু হয় বাসায়। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে চারজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন রাজ্জাক (৪৫), মোস্তাকিম (২৩), আবু সাঈদ (২০), সুমন (২২)। নিহত রাজ্জাকের বাড়ি কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায়। মোস্তাকিনের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলায়। গত দুই মাস আগে ফ্যাক্টরিতে চাকরি নেন সাঈদ। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়িতে। তার বাবার নাম শামীম দেওয়ান। তিন ভাই বোনের মধ্যে সাঈদ সবার বড়। ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মারা যান রাজ্জাক। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান মোস্তাকিম। আবু সাঈদ মারা যান দুপুর পৌনে ১২টায়। এবং সুমন মারা যান সন্ধায়। আগুনে দগ্ধ ৯ জন আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। ৪ জন মারা যাওয়ার পর এখন ৫ জন লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৮ জন ভর্তি রয়েছেন। মোস্তাকিমের মা রোকেয়া বেগম জানায়, তাদের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার ঋষিপুর গ্রামে। তারা কেরানীগঞ্জে চুনকুটিয়া এলাকায় থাকেন। এক ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে ছোট মোস্তাকিম দুই বছর ধরে এই কারখানায় কাজ করতো। নিহত রাজ্জাকের স্ত্রী গুলশান আরা জানান, তাদের বাড়ি কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায়। রাজ্জাকের এক মেয়ে আয়েশা (১৩) অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
ওদিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে কেরানীগঞ্জে আগুনে দগ্ধদের দেখতে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। রোগীরা খুবই গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তাদের চিকিৎসায় সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীও সবসময় তাদের খোঁজখবর রাখছেন। তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দগ্ধদের জীবন বাঁচানোই এখন প্রধান লক্ষ্য। বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মোট ৩১ জন রোগী এখানে এসেছিল। তাদের মধ্যে এখন ৬ জন এখানে এবং ৮ জন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছে। শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের ৬জনই এখন লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। বুধবার বিকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার হিজলতলা এলাকার প্রাইম প্লেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে একজন ঘটনাস্থলে মারা যান।
ওদিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে কেরানীগঞ্জে আগুনে দগ্ধদের দেখতে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। রোগীরা খুবই গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তাদের চিকিৎসায় সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীও সবসময় তাদের খোঁজখবর রাখছেন। তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দগ্ধদের জীবন বাঁচানোই এখন প্রধান লক্ষ্য। বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মোট ৩১ জন রোগী এখানে এসেছিল। তাদের মধ্যে এখন ৬ জন এখানে এবং ৮ জন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছে। শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের ৬জনই এখন লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। বুধবার বিকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার হিজলতলা এলাকার প্রাইম প্লেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে একজন ঘটনাস্থলে মারা যান।