খেলা
বাশার জানালেন কেন নেই সেই মোস্তাফিজ!
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৯:০৫ পূর্বাহ্ন
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে শুরুর তিন ওভারে দুর্দান্ত ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১২ রান খরচায় নিয়েছিলেন দুই উইকেট। আর রংপুর রেঞ্জার্স অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন ১৯তম ওভারে। কিন্তু সেই ওভারে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা তাকে সোজা উড়িয়ে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের দোতলায় পাঠিয়ে দিলেন। ছক্কা হাঁকালেন ৪টি। ওই ওভারে মোস্তাফিজ দিলেন মোট ২৬ রান। দেশসেরা পেসারের বল হাতে এভাবে মার খাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। গত এক বছর ধরেই তিনি ফর্মে নেই। কোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই এখন মোস্তাফিজ আর আতঙ্কের নাম নয়। কেন এমন দশা তার? কেন হারিয়ে গেছে মোস্তাফিজ? জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, বর্তমান নির্বাচক ও রংপুর রেঞ্জার্সের পরামর্শক হাবিবুল বাশার বলেন, ‘মোস্তাফিজ এক বছর ধরে মিসিং হয়ে যাচ্ছে। তার বোলিংয়ে এখন ইয়র্কার নেই। সে ইয়র্কার পাচ্ছে না। আগে একটা দারুণ ইয়র্কার ছিল বোলিংয়ে। স্লোয়ার বল এখনও আছে। তবে পেসও আস্তে আস্তে বাড়ছে। এখন মোটামুটি ভালো পেসেই বল করছে। তবে সে একটু বেশি প্রেডিক্টেবল হয়ে যাচ্ছে। এটাই আমার চিন্তা। মনে হয় ব্যাটসম্যানরা খুব সহজেই ওকে পড়ে ফেলছে যে ও কী করতে যাচ্ছে।’
কীভাবে নিজেকে ফিরে পাবে মোস্তাফিজ, সেই চিন্তা জাতীয় দলের টিম ম্যানেজম্যান্ট থেকে শুরু করে ক্রিকেটভক্তদেরও। করণীয় নিয়ে নিয়ে বাশার বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে ওকেই চিন্তা করতে হবে। আমরা ব্যাটসম্যানরা, বোলাররা চিন্তা করি ম্যাচ শেষে যে কী হচ্ছে। ভালো করছি না এমন চিন্তা না করে ব্যাটসম্যান আমাকে পড়ে ফেলছে এই ভেবে আমাকে দ্বিতীয় পরিকল্পনায় যেতে হবে। কোচ হয়তো তাকে বলবে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ক্রিকেটারদের বোঝা উচিত আমার কীভাবে বোলিং করা উচিত। কাল যদি দেখি দুই ওভার সে দারুণ বোলিং করেছে। শেষ দুই ওভারে সে অনেকটা প্রেডিক্টেবল। একই লেন্থে বোলিং করছে, একইভাবে মার খাচ্ছে। এমন তো হবেই। টি-টোয়েন্টিতে শানাকা তো দারুণ ব্যাটসম্যান। মোস্তাফিজ ব্যতিক্রমী কিছু করার চেষ্টা করছিল না।’
এমন নয় যে মোস্তাফিজ উইকেট পাচ্ছে না। কিন্তু উইকেট পেলেও রান দিচ্ছে দেদারসে। এখানেই মোস্তাফিজকে ভাবতে বা শুধরাতে হবে বলে মনে করেন হাবিবুল বাশার। তিনি বলেন, ‘সে কিন্তু উইকেট পাচ্ছে। এখনও কিন্তু পাঁচ উইকেট পাচ্ছে। শেষ এক বছরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ও। কিন্তু সে খরুচে বোলার হয়ে যাচ্ছে। শেষের দিকে অনেক রান দিয়ে ফেলছে। অথচ আমাদের ডেথ বোলার মোস্তাফিজ। সে যদি খরুচে বোলিং করে তাহলে পুরো দলের ওপরেই চাপ চলে আসে। সে স্পেশাল বোলার, চাওয়াটা তাই একটু বেশি থাকে। কিন্তু তাকে এটা (নিজের বিশেষত্ব) দিন দিন প্রমাণ করতে হবে।’
কীভাবে নিজেকে ফিরে পাবে মোস্তাফিজ, সেই চিন্তা জাতীয় দলের টিম ম্যানেজম্যান্ট থেকে শুরু করে ক্রিকেটভক্তদেরও। করণীয় নিয়ে নিয়ে বাশার বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে ওকেই চিন্তা করতে হবে। আমরা ব্যাটসম্যানরা, বোলাররা চিন্তা করি ম্যাচ শেষে যে কী হচ্ছে। ভালো করছি না এমন চিন্তা না করে ব্যাটসম্যান আমাকে পড়ে ফেলছে এই ভেবে আমাকে দ্বিতীয় পরিকল্পনায় যেতে হবে। কোচ হয়তো তাকে বলবে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ক্রিকেটারদের বোঝা উচিত আমার কীভাবে বোলিং করা উচিত। কাল যদি দেখি দুই ওভার সে দারুণ বোলিং করেছে। শেষ দুই ওভারে সে অনেকটা প্রেডিক্টেবল। একই লেন্থে বোলিং করছে, একইভাবে মার খাচ্ছে। এমন তো হবেই। টি-টোয়েন্টিতে শানাকা তো দারুণ ব্যাটসম্যান। মোস্তাফিজ ব্যতিক্রমী কিছু করার চেষ্টা করছিল না।’
এমন নয় যে মোস্তাফিজ উইকেট পাচ্ছে না। কিন্তু উইকেট পেলেও রান দিচ্ছে দেদারসে। এখানেই মোস্তাফিজকে ভাবতে বা শুধরাতে হবে বলে মনে করেন হাবিবুল বাশার। তিনি বলেন, ‘সে কিন্তু উইকেট পাচ্ছে। এখনও কিন্তু পাঁচ উইকেট পাচ্ছে। শেষ এক বছরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ও। কিন্তু সে খরুচে বোলার হয়ে যাচ্ছে। শেষের দিকে অনেক রান দিয়ে ফেলছে। অথচ আমাদের ডেথ বোলার মোস্তাফিজ। সে যদি খরুচে বোলিং করে তাহলে পুরো দলের ওপরেই চাপ চলে আসে। সে স্পেশাল বোলার, চাওয়াটা তাই একটু বেশি থাকে। কিন্তু তাকে এটা (নিজের বিশেষত্ব) দিন দিন প্রমাণ করতে হবে।’