এক্সক্লুসিভ

এ মাসেই সিলেটে চালু হচ্ছে ‘নগর এক্সপ্রেস’

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে

১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৭:৫০ পূর্বাহ্ন

গণপরিবহনের যুগে প্রবেশ করছে সিলেট। আগেও একবার নগরের মানুষকে সেবা দিতে টাউনবাস ছিল। কিন্তু সেটি ব্যবসায়িকভাবে সফল না হওয়ার কারণে গুটিয়ে যায়। ফলে সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশাই ছিল নগরবাসীর ভরসা। এবার সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উদ্যোগেই নগর পরিবহন শুরু হচ্ছে। নাম দেয়া হয়েছে ‘নগর এক্সপ্রেস’। স্বল্পমূল্যে এই বাস সার্ভিস সিলেটের মানুষের পরিবহন সমস্যা সমাধানে কাজ করবে বলে জানিয়েছে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন- আগামী ২৫শে ডিসেম্বর থেকে সিলেট নগরীতে নগর বাস সার্ভিস শুরুর কথা রয়েছে। পরিবহন সমস্যা সিলেটে দীর্ঘদিনের। টাউন থেকে নগর হলেও অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের জন্য সিলেটে সহজলভ্য যানবাহন ছিল না। এ কারণে বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল গণপরিবহন। নগরীতে সিএনজি অটোরিকশা কিংবা রিকশায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া। এসব বিবেচনায় গেল আগস্ট মাসে নগরীতে বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয় সিলেট সিটি করপোরেশন। তাদের উদ্যোগে হাত বাড়ায় নিটল-টাটা মটরস। সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়- ‘নগর এক্সপ্রেস’ শুরুতে ৪১টি বাস নিয়ে চালুর কথা ছিল। তবে আপাতত ২০টি বাস নিয়ে শুরু হবে এর যাত্রা। বাসগুলো সরবরাহ করেছে নিটল-টাটা মটরস। ইতিমধ্যে বাসগুলো সিলেটে নিয়ে এসে এগুলোর বাইরে রঙ দিয়ে বিশেষ সাজ দেয়া হয়েছে। ‘নগর এক্সপ্রেস’র সমন্বয়ক শাহ মো. বাহাদুর আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন- ডিসেম্বরের শেষার্ধে ২০টি বাস নিয়ে ‘নগর এক্সপ্রেস’ চালু হবে। এসব বাসের প্রতিটিতে ২৫টি করে আসন আছে। শুরুতে বাসগুলো টুকেরবাজার থেকে হেতিমগঞ্জ এবং টুকেরবাজার থেকে বন্দরবাজার হয়ে বটেশ্বর পর্যন্ত চলাচল করবে। পরবর্তীতে বাস ও রুটের সংখ্যা দুটোই বাড়বে। এছাড়া মহিলাদের জন্য ৪টি পৃথক বাস চালানো হবে নগরীতে। তবে আপাতত একটি বাস দিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। এ বাসের জন্য একজন মহিলা চালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ‘নগর এক্সপ্রেস’ বাসের ভাড়া নগরীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়ার চেয়েও কম হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে সিলেট বিআরটিএ, সিলেট সিটি করপোরেশন, ট্রাফিক পুলিশ, নিটল টাটা মটরস-এর যৌথ আলোচনায় বাসভাড়া নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ‘নগর এক্সপ্রেস’ বাসের থামার ২৮টি স্টপেজ থাকবে। নগরীর বন্দরবাজার, আম্বরখানা, টিলাগড়, মদিনা মার্কেট, চৌকিদেখী, কদমতলি, শহরতলির পীরেরবাজার, ক্যান্টনমেন্ট, বটেশ্বর, টুকেরবাজারসহ ২৮টি স্থানে বর্তমানে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে, এসব বাসের ভাড়া নগদে পরিশোধের পাশাপাশি অনলাইনে পরিশোধ এবং যাত্রীদের জন্য রিচার্জ পদ্ধতির কার্ড চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। সিটি বাস মালিক গ্রুপের সদস্য মাহবুবুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন- যাত্রীর রিচার্জ কার্ডে টাকা থাকা পর্যন্ত তিনি বাসে যাতায়াত করতে পারবেন। কার্ডে টাকা শেষ হয়ে গেলে তিনি নির্দিষ্ট স্থান থেকে রিচার্জ করিয়ে নিতে পারবেন। তবে এখনো এ পরিকল্পনা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status