অনলাইন

‘সার্বভৌম দেশ হিসেবে গাম্বিয়া আবেদন করেছে’

কূটনৈতিক রিপোর্টার

১২ ডিসেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৪:৫৬ পূর্বাহ্ন

আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে গাম্বিয়ার আইনজীবি পল রাইখলার বলেছেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার প্রতারণা করছে। তারা আদালতে এ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছে তাতেও প্রতারণা রয়েছে জানিয়ে রাইখলার বলেন, মিয়ানমার নিজেই স্বীকার করেছে যে খুব সামান্য সংখ্যাই ফিরেছে। মিয়ানমারের আইনজীবী মিস ওকোয়া প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহ এবং চীন, জাপান ও ভারতের সহায়তার বিষয়টিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, সহায়ক দেশগুলো প্রত্যাবাসন চায়। কিন্তু, রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরির পুরোপুরি দায়িত্ব মিয়ানমারের। মিয়ানমার সেটি পালনে ব্যর্থ হয়েছে। গাম্বিয়ার আইনজীবিরা আদালতের উদ্দেশ্যে বলেন, বিজ্ঞ আদালত নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, সু চি আদালতে দেয়া বক্তব্যে রোহিঙ্গা বিশেষণটি ব্যবহার করেননি। শুধুমাত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী আরসা গোষ্ঠীর কথা বলার সময় ছাড়া তিনি তাঁদের মুসলিম হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পল রাইখলার মিয়ানমারের আইনজীবী অধ্যাপক সাবাসের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, সাবাশ গণহত্যার উদ্দেশ্য প্রমাণের জন্য সাতটি নির্দেশকের কথা বলেছেন। সেই সাতটি নির্দেশকগুলোর কথা গাম্বিয়ার আবেদনে রয়েছে এবং মিয়ানমার সেগুলো অস্বীকার করেনি। শুনানির আজকের চ’ড়ান্ত পর্বে দেয়া সূচনা বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী আববুবকর তামবাদু বলেন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে গাম্বিয়া ওআইসির কাছে সাহায্য চেয়েছে। সার্বভৌম দেশ হিসেবে গাম্বিয়া একা এই আবেদন করেছে। গাম্বিয়া গণহত্যা সনদের রক্ষক হিসেবে আদালতের কাছে জরুরি অন্তবর্তী ব্যবস্থার নির্দেশনার দাবি জানাচ্ছে। তামবাদু বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জীবন হুমকির মুখে। গাম্বিয়া প্রতিবেশি না হতে পারে, কিন্তু গণহত্যা সনদের স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে গণহত্যা বন্ধ এবং তা প্রতিরোধে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status