অনলাইন
'ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে পদস্খলন হলে ভারতের ঐতিহাসিক অবস্থান দুর্বল হবে'
কূটনৈতিক রিপোর্টার
১১ ডিসেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ভারত ঐতিহাসিকভাবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সেখান থেকে পদস্খলন হলে দেশটির ঐতিহাসিক অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে। ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ এসব কথা বলেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন দূতকে উদ্বৃত করে মন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেছেন যে, তারা ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। ভারতে ধর্মভিত্তিক যে নাগরিকত্ব বিল সম্প্রতি পাস হয়েছে এ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, ভারত এই বিল অনুমোদন করে নিজের অবস্থানকে দুর্বল করছে।
ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বক্তব্যে ‘প্রতিবেশী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন না থামার কারণে ভারত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি এনেছেন’ - মর্মে যে কথাটি এসেছে সেই প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি এই কথাটি সত্য নয়। আমাদের দেশে সংখ্যালঘু ও ধর্মীয় নির্যাতন হয় না। আমাদের দেশে ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এখানে অন্য ধর্মের কেউ নির্যাতিত হয় না। এখানে সব ধর্মের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে।’
আবদুল মোমেন আরও বলেন, আমাদের সরকারের অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত নেয় অন্য ধর্মের লোক। আমরা তাদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে একই দৃষ্টিতে দেখি। কে কোন ধর্মের, সেটা আমরা বিচার করি না। বিচার করি যে, সে বাংলাদেশের নাগরিক কিনা বা তার যোগ্যতার মাপকাঠি। আমাদের সবধরনের চাকরি-বাকরিতে সব ধর্মের লোক রয়েছে। তাদের আমরা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে দেখি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে বলে যারা ভারতকে বুঝিয়েছে বা তথ্য দিয়েছে তারাও সত্য বলেননি। আমি আশা করবো, বাংলাদেশে যারা সংখ্যালঘু নেতৃত্বে রয়েছে তারাই এ বিষয়ে কথা বলবেন। স্টেটম্যান্ট দিবেন। মন্ত্রী এ-ও বলেন, ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। দুই দেশের মধ্যে এখন অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক চলছে; যা সোনালী অধ্যায় নামে পরিচিত। বাংলাদেশের মানুষ আশা করে, ভারত এমন কিছু করবে না যা আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়।
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন দূতকে উদ্বৃত করে মন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেছেন যে, তারা ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। ভারতে ধর্মভিত্তিক যে নাগরিকত্ব বিল সম্প্রতি পাস হয়েছে এ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, ভারত এই বিল অনুমোদন করে নিজের অবস্থানকে দুর্বল করছে।
ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বক্তব্যে ‘প্রতিবেশী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন না থামার কারণে ভারত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি এনেছেন’ - মর্মে যে কথাটি এসেছে সেই প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি এই কথাটি সত্য নয়। আমাদের দেশে সংখ্যালঘু ও ধর্মীয় নির্যাতন হয় না। আমাদের দেশে ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এখানে অন্য ধর্মের কেউ নির্যাতিত হয় না। এখানে সব ধর্মের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে।’
আবদুল মোমেন আরও বলেন, আমাদের সরকারের অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত নেয় অন্য ধর্মের লোক। আমরা তাদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে একই দৃষ্টিতে দেখি। কে কোন ধর্মের, সেটা আমরা বিচার করি না। বিচার করি যে, সে বাংলাদেশের নাগরিক কিনা বা তার যোগ্যতার মাপকাঠি। আমাদের সবধরনের চাকরি-বাকরিতে সব ধর্মের লোক রয়েছে। তাদের আমরা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে দেখি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে বলে যারা ভারতকে বুঝিয়েছে বা তথ্য দিয়েছে তারাও সত্য বলেননি। আমি আশা করবো, বাংলাদেশে যারা সংখ্যালঘু নেতৃত্বে রয়েছে তারাই এ বিষয়ে কথা বলবেন। স্টেটম্যান্ট দিবেন। মন্ত্রী এ-ও বলেন, ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। দুই দেশের মধ্যে এখন অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক চলছে; যা সোনালী অধ্যায় নামে পরিচিত। বাংলাদেশের মানুষ আশা করে, ভারত এমন কিছু করবে না যা আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়।