খেলা
১০ বছর পর টেস্ট ক্রিকেট ফিরছে পাকিস্তানে
ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনে আপ্লুত আজহাররা
স্পোর্টস ডেস্ক
১১ ডিসেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৯:২১ পূর্বাহ্ন
১০ বছর পর ঘরের মাটিতে টেস্ট খেলতে নামছে পাকিস্তান। আজ রাওয়ালপিন্ডিতে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ সেই শ্রীলঙ্কা। ২০০৯-এ লাহোরে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বাসে বন্দুক হামলার পর পাকিস্তানে এটিই প্রথম টেস্ট। লাহোরে ওই টেস্ট সমাপ্ত না করেই দেশে ফিরে গিয়েছিলেন সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনেরা। এরপর পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট একরকম বন্ধই হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় একটু একটু করে ঘরের মাটিতে ক্রিকেট ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ভিআইপি নিরাপত্তার মোড়কে কিছুদিন আগে পাকিস্তানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলে আসে শ্রীলঙ্কা। এরপর লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড টেস্ট খেলার ব্যাপারেও পিসিবিকে সবুজ সংকেত দেয়। টেস্ট খেলতে আসার জন্য শ্রীলঙ্কাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা। শহীদ আফ্রিদি বলেন, ‘আমি শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই পিসিবিকেও। তারা ঘরের মাটিতে টেস্ট আয়োজনে অনেক শ্রম দিয়েছে।’ আর বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক আজহার আলী বলেন, ‘ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশ হতে আমরা মুখিয়ে আছি।’
পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটা একটা বড় উপলক্ষ। পাকিস্তান ক্রিকেট পাগল জাতি। শ্রীলঙ্কা দলের পাকিস্তানে এসে টেস্ট খেলা পাকিস্তানি ক্রিকেটভক্তদের জন্য দারুণ খবর, যারা তাদের হিরোদের চোখের সামনে ক্রিকেট খেলতে দেখতে চায়। আশা করি, সিরিজটা ভালোভাবে শেষ হবে, আমরা উপভোগ্য টেস্ট ম্যাচ দেখবো।’
২০০৯’র মার্চে করাচিতে সবশেষ সম্পূর্ণ টেস্ট খেলে পাকিস্তান। ওই দলের একাদশে ছিলেন সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক ও পেসার উমর গুল। মালিক বলেন, ‘আমি জানতাম, আল্লাহ চাইলে একদিন টেস্ট ক্রিকেট ফিরবে পাকিস্তানে। সত্যিই ফিরছে। আমি খুবই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি। তাদের (শ্রীলঙ্কা) অবদান কখনো ভোলার নয়। প্রয়োজনের সময় শ্রীলঙ্কা ও তাদের জনগণ আমাদের পাশে পাবে।’ ডানহাতি পেসার উমর গুল বলেন, ‘পাকিস্তানে টেস্ট ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন দেখতে আমি মুখিয়ে আছি। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলকে স্বাগতম। পাকিস্তানে টেস্ট ক্রিকেটের পুনরুত্থানে সহায়তা করায় তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। ক্রিকেটভক্তদের অনুরোধ করবো মাঠে এসে উভয় দলকেই সমর্থক দিতে, যাতে জয়টা ক্রিকেটেরই হয়।’ আরেক সাবেক অধিনায়ক আমির সোহেল বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত একই সঙ্গে রোমাঞ্চিতও। পাকিস্তানে প্রায় এক দশক পর টেস্ট ক্রিকেট ফিরছে। পাকিস্তানি জনগণ আর ক্রিকেটের জয় হোক।’
পাকিস্তানের গণমাধ্যমও সিরিজটিকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি’র করেসপন্ডেন্ট শাহিদ হাশমি বলেন, ‘সব সময়ই স্বপ্ন দেখতাম আবার পাকিস্তানে বসে ম্যাচ কাভার করবো। গত আট বছর কাজটা করতে আরব আমিরাতে আসতে হয়েছে আমাকে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের একটা বড় ধন্যবাদ প্রাপ্য।’ আর পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদপত্র জাং’র স্পোর্টস এডিটর আব্দুর মাজিদ ভাট্টি বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সিরিজ উঠতি ক্রিকেটারদের উপকারে আসবে। কারণ তারা ঘরের মাঠের দশর্কদের সামনে খেলবে।’ শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশের সঙ্গেও ঘরের মাঠে টেস্ট খেলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। মাজিদ বলেন, ‘আশা করছি, পিসিবি বাংলাদেশের সঙ্গেও টেস্ট আয়োজন করবে। সঙ্গে পাকিস্তান সুপার লীগ (পিএসএল) আর এশিয়া কাপও।’
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এবারো কড়া নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে লঙ্কান ক্রিকেটারদের। স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকাতেও বিপুল নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করেছে পাকিস্তান। ১৯শে ডিসেম্বর করাচিতে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। পাকিস্তান সবশেষ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারে। আর শ্রীলঙ্কা ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ সমতায় শেষ করে।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটা একটা বড় উপলক্ষ। পাকিস্তান ক্রিকেট পাগল জাতি। শ্রীলঙ্কা দলের পাকিস্তানে এসে টেস্ট খেলা পাকিস্তানি ক্রিকেটভক্তদের জন্য দারুণ খবর, যারা তাদের হিরোদের চোখের সামনে ক্রিকেট খেলতে দেখতে চায়। আশা করি, সিরিজটা ভালোভাবে শেষ হবে, আমরা উপভোগ্য টেস্ট ম্যাচ দেখবো।’
২০০৯’র মার্চে করাচিতে সবশেষ সম্পূর্ণ টেস্ট খেলে পাকিস্তান। ওই দলের একাদশে ছিলেন সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক ও পেসার উমর গুল। মালিক বলেন, ‘আমি জানতাম, আল্লাহ চাইলে একদিন টেস্ট ক্রিকেট ফিরবে পাকিস্তানে। সত্যিই ফিরছে। আমি খুবই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি। তাদের (শ্রীলঙ্কা) অবদান কখনো ভোলার নয়। প্রয়োজনের সময় শ্রীলঙ্কা ও তাদের জনগণ আমাদের পাশে পাবে।’ ডানহাতি পেসার উমর গুল বলেন, ‘পাকিস্তানে টেস্ট ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন দেখতে আমি মুখিয়ে আছি। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলকে স্বাগতম। পাকিস্তানে টেস্ট ক্রিকেটের পুনরুত্থানে সহায়তা করায় তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। ক্রিকেটভক্তদের অনুরোধ করবো মাঠে এসে উভয় দলকেই সমর্থক দিতে, যাতে জয়টা ক্রিকেটেরই হয়।’ আরেক সাবেক অধিনায়ক আমির সোহেল বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত একই সঙ্গে রোমাঞ্চিতও। পাকিস্তানে প্রায় এক দশক পর টেস্ট ক্রিকেট ফিরছে। পাকিস্তানি জনগণ আর ক্রিকেটের জয় হোক।’
পাকিস্তানের গণমাধ্যমও সিরিজটিকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি’র করেসপন্ডেন্ট শাহিদ হাশমি বলেন, ‘সব সময়ই স্বপ্ন দেখতাম আবার পাকিস্তানে বসে ম্যাচ কাভার করবো। গত আট বছর কাজটা করতে আরব আমিরাতে আসতে হয়েছে আমাকে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের একটা বড় ধন্যবাদ প্রাপ্য।’ আর পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদপত্র জাং’র স্পোর্টস এডিটর আব্দুর মাজিদ ভাট্টি বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সিরিজ উঠতি ক্রিকেটারদের উপকারে আসবে। কারণ তারা ঘরের মাঠের দশর্কদের সামনে খেলবে।’ শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশের সঙ্গেও ঘরের মাঠে টেস্ট খেলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। মাজিদ বলেন, ‘আশা করছি, পিসিবি বাংলাদেশের সঙ্গেও টেস্ট আয়োজন করবে। সঙ্গে পাকিস্তান সুপার লীগ (পিএসএল) আর এশিয়া কাপও।’
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এবারো কড়া নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে লঙ্কান ক্রিকেটারদের। স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকাতেও বিপুল নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করেছে পাকিস্তান। ১৯শে ডিসেম্বর করাচিতে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। পাকিস্তান সবশেষ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারে। আর শ্রীলঙ্কা ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ সমতায় শেষ করে।