দেশ বিদেশ

জিডিপি বাড়লেও মাথাপিছু আয় অপরিবর্তিত, বেড়েছে মূল্যস্ফীতি

স্টাফ রিপোর্টার

১১ ডিসেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন

চূড়ান্ত হিসাবে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হার বাড়লেও মাথাপিছু আয় অপরিবর্তিত রয়েছে। সর্বশেষ প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ ও মাথা পিছু আয় দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯০৯ ডলারে। গত অর্থবছরের জন্য গত মার্চে তৈরি খসড়া হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ ও মাথাপিছু আয় এক হাজার ৯০৯ ডলার ধরা হয়েছিল। নভেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৫ ভাগ, যা গত অক্টোবরে ছিল ৫ দশমিক ৪৭ ভাগ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৮ ভাগ। ২০১৮ সালের নভেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৩৭ ভাগ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি আরো বেড়েছে। এতে বাড়তি মূল্যস্ফীতির পরিমাণ শূন্য দশমিক ৬৮ ভাগ। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক সভার পর সাংবাদিকদের সামনে বিবিএসের প্রতিবেদন তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিবিএস’র তথ্যের ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধির  কথাও জানান তিনি।
মাথাপিছু আয় না বাড়ার কারণ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সমপ্রতি ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকা কিছুটা মান হারানোর কারণে ডলারের হিসাবে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়নি। তবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে টাকার অংকে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। টাকার অংকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চূড়ান্ত মাথাপিছু আয় হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৪০ টাকা, যা খসড়া হিসাবে ১ লাখ ৬০ হাজার ৬০ টাকা ধরা হয়েছিল। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর ওই অর্থবছরের মাথাপিছু আয় ছিল এক হাজার ৭৫১ ডলার। চলতি অর্থবছরে জিডিপি ৮ দশমিক ২ শতাংশ হারে বাড়বে বলে প্রাক্কলন করেছে বিবিএস। তবে বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হারে বাড়বে। বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চূড়ান্ত হিসাবে গত অর্থবছরের জিডিপির আকার চলতি মূল্যে দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ৪২ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ২২ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে শিল্প খাতে চূড়ান্ত প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ, যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে কৃষি খাতে ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ ও সেবা খাতে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা তার আগের অর্থবছরে ছিল যথাক্রমে ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নভেম্বরের মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধির বিষয়টি খুবই পরিষ্কার, আমরা গোপন করিনি। একনেক সভায় আমরা মন্তব্য করেছিলাম, মূল্যবৃদ্ধির প্রধান নায়ক হলো পিয়াজ। নতুন পিয়াজ নামার পরে স্থির হবে, মূল্য কমবে বলে আমার আশা। পাঁচ-সাত বছর ধরে দেখে আসছি, যে মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়ে, ওই মাসে অটো খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কমে। আবার যে মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বাড়ে, ওই মাসে খাদ্যে কমে। এদিকে, প্রায় ৯ হাজার ২৪১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়সম্বলিত ৭টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৪ হাজার ৩১৫ কোটি এক লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status