দেশ বিদেশ
গৃহবধূর চুল কর্তন: উল্লাপাড়া আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে কী অ্যাকশন নেয়া হয়েছে, জানতে চান হাইকোর্ট
স্টাফ রিপোর্টার
৯ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, ৯:১৯ পূর্বাহ্ন
মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দুই সন্তানের জননী গৃহবধূর চুল কাটার ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে কী অ্যাকশন নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সিরাজগঞ্জের ডিসি, এসপি ও উল্লাপাড়া থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করে আগামী ১১ই ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশারকে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনার পর স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ২৫ শে নভেম্বর রাতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে ২রা ডিসেম্বর উল্লাপাড়া মডেল থানায় ওই আওয়ামী লীগ নেতা ও তার চার সহযোগীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। অপর আসামিরা হলেন-গজাইল গ্রামের মোজাহারের ছেলে মুনসুর (৩৮), বাহের প্রামাণিকের ছেলে আব্দুস সালাম (৪৫), নাসির উদ্দিন (৪০) ও শহিদুল ইসলাম (৩২)। ওই নারীর অভিযোগ, ২৫শে নভেম্বর সন্ধ্যায় তিনি তার এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের খোঁজে বের হন। পথিমধ্যে একই গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামের বাড়ির পাশে উধুনিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গজাইল গ্রামের মৃত বেলায়েত সরকারের ছেলে মো. আব্দুর রশিদ ও তার চার সহযোগী তার পথরোধ করেন। সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়েছে বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন তারা। এতে গ্রামের লোকজন ছুটে এলে তাদের সামনে তাকে বিবস্ত্র করে মারপিট করা হয়। পরে কয়েকশ লোকের সামনে মাছকাঁটা বটি দিয়ে তার মাথার চুল কেটে দেয়া হয়। নির্যাতিতা গৃহবধূ জানান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে তাকে নানাভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় এবং তার বাড়ির ডিস সংযোগ বারবার বিচ্ছিন্ন করে দেয়া নিয়ে তার সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জের ধরে তিনি এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।