বিশ্বজমিন
আরও এক বালিকাকে ধর্ষণ শেষে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ
মানবজমিন ডেস্ক
৮ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
তেলাঙ্গানার হায়দরাবাদ, উত্তর প্রদেশের উন্নাওয়ের পর এবার ত্রিপুরার আগরতলা। সেখানে ১৭ বছর বয়সী এক বালিকাকে তার প্রেমিক ও প্রেমিকের বন্ধুরা মিলে আটকে রেখে গণধর্ষণ করেছে। এখানেই শেষ হয়ে যায় নি। তাকে উন্নাওয়ের হতভাগ্য যুবতীর মতো গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ ওই বালিকাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে শনিবার দিনের শুরুতে সে মারা যায়। এ খবর দিয়ে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, দক্ষিণ ত্রিপুরার শান্তিরবাজারে ওই বালিকার প্রেমিক ও তার মা মিলে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মেয়েটির শরীরের শতকরা ৯০ ভাগ পুড়ে যায়। পুলিশ বলেছে, প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে দ্রুত ওই মেয়েটিকে জিবি পান্ত হাসপাতালে নিয়ে যান। তারা অভিযোগ করেছেন, দুই মাস ধরে তাকে আটক রেখে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছিল।
ওদিকে ভারতের বিরোধী কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘বিশ্বে ধর্ষণের রাজধানী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ভারত। শনিবার তিনি ভেল্লামুন্দাতে মানান্তবেদী বিধানসভার আসনে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের এক সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণ দিচ্ছিলেন। রাহুল বলেছেন, একজন নারীকে ধর্ষণে জড়িত উত্তর প্রদেশ বিজেপির একজন বিধায়ক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ বিষয়ে একটি কথাও বলছেন না।
ওদিকে ত্রিপুরার ওই মেয়েটি মারা যাওয়ার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের বাইরে দাঙ্গাপরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত যুবক ও তার মার ওপর হামলা চালায়। অগ্নিদগ্ধ যুবতীকে যেসব মানুষ উদ্ধার করেছিলেন তারাই তাদেরকে ধরে নিয়ে যান হাসপাতালের সামনে। বালিকাটির পরিবারের অভিযোগ, মেয়েটিকে মুক্তি দিতে ৫০ হাজার রুপি মুক্তিপণ দাবি করছিল অজয় রুদ্রপাল। কিন্তু শুক্রবার তারা মাত্র ১৭ হাজার রুপি সংগ্রহ করতে পারে তার পরিবার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অজয়। তারা ওই বালিকাটির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দক্ষিণ ত্রিপুরার এসপি জল সিং মীনা বলেছেন, এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত অজয়। তাকে হাসপাতাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শান্তিরবাজার পুলিশ স্টেশনে। ওই মেয়েটির গায়ে আগুন দেয়া হয় শুক্রবার রাতে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশ আরও বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অজয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয় ওই বালিকার। এবার দিওয়ালির সময় অজয় তাদের বাড়ি বেড়াতে যায় এবং বালিকাটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এরপরই অজয়ের হাত ধরে পালিয়ে যায় সে। পরিবারের অভিযোগ, এর পর থেকেই মুক্তিপণের জন্য জোরপূর্বক মেয়েটিকে আটকে রাখে অজয় ও তার সঙ্গীরা। এ সময় তাকে ধর্ষণ করে অজয় ও তার বন্ধুরা।
অগ্নিদগ্ধ বালিকার মা দাবি করেছেন, তার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পরপরই তারা পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। দ্বিতীয়বার যখন তাদের কাছে অর্থ চায় অজয়, এ সময় তারা আবারো পুলিশের সহায়তা চান। কিন্তু তা তারা পান নি। তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে চন্দ্রপুর আইএসবিটি’তে অজয়ের মায়ের হাতে ১৭ হাজার রুপি তুলে দিই। কিন্তু এই অর্থ নিয়ে অজয়ের মা সন্তুষ্ট ছিল না। আমাদেরকে পুরো অর্থ দেয়ার জন্য সতর্ক করে দেয়। এরই মধ্যে আমরা তাদের ঠিকানা পেয়ে যাই। শনিবার তাদের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার সকালে আমাদেরকে জানানো হয় আমার মেয়েকে আগুন দেয়া হয়েছে। তাকে নেয়া হয়েছে হাসপাতালে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিষয়টি পুলিশে জানাই। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। আমরা হাসপাতালে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি আমার মেয়ে সঙ্কটজনক অবস্থায়। এ সময় সে আমাদেরকে বলেছে, গত দুই মাস ধরে তাকে বার বার গণধর্ষণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ না দেয়ায় তাকে অব্যাহতভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত অজয় জানতে পারে আমরা মাত্র ১৭ হাজার রুপি দিয়েছি। এটা জানতে পেয়ে সে অগ্নিরূপ ধারণ করে। রাতের বেলা সে আমার মেয়ের শরীরে আগুন দেয়। নিখোঁজ হওয়ার আগে পর্যন্ত আমার সব কিছুই ভাল চলছিল। তুলে নেয়ার দু’দিন পরেই অজয় ও তার মা আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু করে। কয়েকদিন পরে অজয় ও তার বন্ধুরা মিলে তাকে ধর্ষণ শুরু করে। এমনকি তাকে ঠিকমতো খাবার দেয়া হতো না। তাকে হুমকি দেয়া হতো। বলা হতো, যদি মুক্তিপণের পুরো টাকা পরিশোধ করা না হয় তাহলে তাকে হত্যা করা হবে।
ওদিকে ভারতের বিরোধী কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘বিশ্বে ধর্ষণের রাজধানী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ভারত। শনিবার তিনি ভেল্লামুন্দাতে মানান্তবেদী বিধানসভার আসনে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের এক সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণ দিচ্ছিলেন। রাহুল বলেছেন, একজন নারীকে ধর্ষণে জড়িত উত্তর প্রদেশ বিজেপির একজন বিধায়ক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ বিষয়ে একটি কথাও বলছেন না।
ওদিকে ত্রিপুরার ওই মেয়েটি মারা যাওয়ার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের বাইরে দাঙ্গাপরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত যুবক ও তার মার ওপর হামলা চালায়। অগ্নিদগ্ধ যুবতীকে যেসব মানুষ উদ্ধার করেছিলেন তারাই তাদেরকে ধরে নিয়ে যান হাসপাতালের সামনে। বালিকাটির পরিবারের অভিযোগ, মেয়েটিকে মুক্তি দিতে ৫০ হাজার রুপি মুক্তিপণ দাবি করছিল অজয় রুদ্রপাল। কিন্তু শুক্রবার তারা মাত্র ১৭ হাজার রুপি সংগ্রহ করতে পারে তার পরিবার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অজয়। তারা ওই বালিকাটির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দক্ষিণ ত্রিপুরার এসপি জল সিং মীনা বলেছেন, এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত অজয়। তাকে হাসপাতাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শান্তিরবাজার পুলিশ স্টেশনে। ওই মেয়েটির গায়ে আগুন দেয়া হয় শুক্রবার রাতে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশ আরও বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অজয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয় ওই বালিকার। এবার দিওয়ালির সময় অজয় তাদের বাড়ি বেড়াতে যায় এবং বালিকাটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এরপরই অজয়ের হাত ধরে পালিয়ে যায় সে। পরিবারের অভিযোগ, এর পর থেকেই মুক্তিপণের জন্য জোরপূর্বক মেয়েটিকে আটকে রাখে অজয় ও তার সঙ্গীরা। এ সময় তাকে ধর্ষণ করে অজয় ও তার বন্ধুরা।
অগ্নিদগ্ধ বালিকার মা দাবি করেছেন, তার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পরপরই তারা পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। দ্বিতীয়বার যখন তাদের কাছে অর্থ চায় অজয়, এ সময় তারা আবারো পুলিশের সহায়তা চান। কিন্তু তা তারা পান নি। তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে চন্দ্রপুর আইএসবিটি’তে অজয়ের মায়ের হাতে ১৭ হাজার রুপি তুলে দিই। কিন্তু এই অর্থ নিয়ে অজয়ের মা সন্তুষ্ট ছিল না। আমাদেরকে পুরো অর্থ দেয়ার জন্য সতর্ক করে দেয়। এরই মধ্যে আমরা তাদের ঠিকানা পেয়ে যাই। শনিবার তাদের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার সকালে আমাদেরকে জানানো হয় আমার মেয়েকে আগুন দেয়া হয়েছে। তাকে নেয়া হয়েছে হাসপাতালে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিষয়টি পুলিশে জানাই। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। আমরা হাসপাতালে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি আমার মেয়ে সঙ্কটজনক অবস্থায়। এ সময় সে আমাদেরকে বলেছে, গত দুই মাস ধরে তাকে বার বার গণধর্ষণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ না দেয়ায় তাকে অব্যাহতভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত অজয় জানতে পারে আমরা মাত্র ১৭ হাজার রুপি দিয়েছি। এটা জানতে পেয়ে সে অগ্নিরূপ ধারণ করে। রাতের বেলা সে আমার মেয়ের শরীরে আগুন দেয়। নিখোঁজ হওয়ার আগে পর্যন্ত আমার সব কিছুই ভাল চলছিল। তুলে নেয়ার দু’দিন পরেই অজয় ও তার মা আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু করে। কয়েকদিন পরে অজয় ও তার বন্ধুরা মিলে তাকে ধর্ষণ শুরু করে। এমনকি তাকে ঠিকমতো খাবার দেয়া হতো না। তাকে হুমকি দেয়া হতো। বলা হতো, যদি মুক্তিপণের পুরো টাকা পরিশোধ করা না হয় তাহলে তাকে হত্যা করা হবে।