এক্সক্লুসিভ

বরিশালে ট্রিপল মার্ডার গ্রেপ্তার ১

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে

৮ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

বানারীপাড়ায় ট্রিপল মার্ডারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জাকির হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। জাকির ঝালকাঠির পূর্ব রায়পুরের চুন্নু হাওলাদারের ছেলে। এরই মধ্যে র‌্যাব, পুলিশ, পিবিআই, সিআইডিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট তদন্তে নেমেছে। পাশাপাশি বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এহসানউল্ল্যাহ, জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম-বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রকিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে মৃতদের পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে পুরো ঘটনা হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। যার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রকিব।

শনিবার সকালে সলিয়াবাকপুরের হাওলাদার এলাকার আব্দুর রবের বাড়ি  থেকে তার মা মরিয়ম বেগম (৭০), বোন মমতাজ বেগমের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শফিকুল আলম (৬০) ও খালাতো ভাই মো. ইউসুফ (২২)-এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির মালিক কুয়েত প্রবাসী আ. রবের স্ত্রী মিশরাত জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে যে যার মতো খাবার খেয়ে শুতে যান। ওইসময় ঘরে তিনিসহ তার দুই শিশু সন্তান নুরজাহান (৪), ইশফাত (৯), দেবর হারুন অর রশিদের মেয়ে আছিয়া ওরফে আফিয়া, শাশুড়ি মরিয়ম বেগম (৭০), ননদ মমতাজের স্বামী শফিকুল আলম (৬০) ও শাশুড়ির  বোনের ছেলে ইউসুফ ছিলেন। এরপর ভোরে ফজরের আজানের পর আফিয়ার চিৎকারের শব্দে সবাই ঘুম থেকে ওঠেন। নিহত মরিয়ম বেগমের নাতনী আছিয়া ওরফে আফিয়া বলেন,  ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে দাদিকে ডাকতে উঠানে যান। তখন  দেখি দাদির রুমের বারান্দার দরজা খোলা এবং তার নিথর দেহ বারান্দায় পড়ে রয়েছে। এরপর চিৎকার দিলে বাড়ির সবাই আসেন। কিন্তু ফুপা শফিকুল আলম ও চাচা ইউসুফকে দেখতে না পেয়ে তাদের খুঁজতে থাকি। তখন ঘরের অন্য একটি কক্ষে যেখানে ফুপা ঘুমাচ্ছিলেন, সেখানে গিয়ে তার মাথার অংশ খাটের বাইরে দেখে সন্দেহ হয়। ডাকাডাকি করলে তিনিও কোনো সাড়াশব্দ করেন নি।

পরে চাচা ইউসুফকে খুঁজতে ছাদের দিক গেলে সেখানে দরজা খোলা পাই, তবে কারো দেখা মেলেনি। এরপর বাড়ির বাইরে খুঁজতে শুরু করলে চাচা ইউসুফকে পুকুরের ঘাটলায় উপুর হয়ে পড়ে থাকতে দেখি। পরিবারের এই দুই নারী সদস্যদের দাবি কীভাবে এবং কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কিছুই জানেন না। এমনকি রাতে ঘুমানোর পর কোনো সাড়াশব্দও পাননি। তবে ঘরের ভেতরের একটি আলমিরা থেকে কিছু অলঙ্কার খোয়া গেছে বলে জানান মিশরাত। এর বাইরে আর কিছু খোয়া গেছে কি না তা এখনো বলতে পারছেন না। এ ঘটনায় পুরো গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে কুয়েত প্রবাসী আ. রবের ছোটভাই হারুন অর রশিদ বলেন, আমার মেজ বোন মমতাজের স্বামী শফিকুল ইসলাম দুইদিন আগে নিজবাড়ি স্বরূপকাঠি থেকে বেড়াতে আসেন। দুইদিন পরে তার ঢাকায় যাওয়ার কথাও ছিল।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status