এক্সক্লুসিভ
“রোহিঙ্গা সংকটের চটজলদি সমাধান নেই সর্বোতভাবে ঢাকার পাশে আছে কানাডা”
কূটনৈতিক রিপোর্টার
৮ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, ৮:৩২ পূর্বাহ্ন
রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কানাডা মনে করে এর জটজলদি তাৎক্ষণিক কোন সমাধান নেই, আগামী দিনগুলোতে এ বিষয়ে সবাইকে টেকসইভাবে লেগে থাকতে হবে। ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকের জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশ সরকার এবং এ দেশের মানুষ তাদের সীমান্ত এবং হৃদয় খুলে দিয়ে যে মহানুভবতা দেখিয়েছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ঢাকাস্থ কানাডার হাইকমিশনার বেনাওয়ে প্রিফন্টেইন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে কানাডা। দু’দেশের মধ্যে অভিন্ন বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এগুলো দু'দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে কোন বাধা হবে বলে মনে করেন না তিনি। রাজধানীতে ‘বাংলাদেশ-কানাডা রিলেশনস: প্রোগনোসিস ফর পার্টনারশিপ’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন। রাজধানীর সিক্স সিজন হোটেলে শনিবার কসমস গ্রুপের জনহিতকর সংস্থা কসমস ফাউন্ডেশনের অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের আওতায় ওই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মো. শহীদুল হক। তিনি বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যকার সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে কথা বলেন। দুই দেশের সম্পর্কে ‘ট্রাবল ফ্রি বা ঝামেলামুক্ত সম্পর্ক অভিহিত করে সচিব বলেন, বাংলাদেশ-কানাডার সম্পর্ক সকল দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এটি দিনে দিনে বিকাশ লাভ করছে। বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান বিশ্ব ব্যবস্থাতে কানাডার কাছ থেকে ভারসাম্যপূর্ণ ভূমিকা প্রত্যাশা করে। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সব কৌশলই ব্যবহার করছে কানাডা: বক্তৃতায় কানাডিয়ান হাই কমিশনার জানান, রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধান পেতে কানাডা মিয়ানমারের নেতৃত্ব ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ নিজেদের এখতিয়ারে থাকা সব ধরনের কৌশল ব্যবহার করছে। পাশাপাশি কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও অব্যাহত রেখেছে দেশটি। হাই কমিশনার বলেন, আমরা পুরোপুরিভাবে একমত যে এ সঙ্কটের কারণ ও সমাধান মিয়ানমারেই নিহিত রয়েছে। উদ্বাস্তুদের সাহায্য ও স্বাগত জানানোর দীর্ঘ ইতিহাস কানাডার রয়েছে এবং তাদের নাগরিকরা রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দারা কিসের মাঝে রয়েছেন সে বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে হাই কমিশনার বলেন, উদ্বাস্তুদের স্বাগত জানানো এবং তাদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার যে অপরিসীম উদারতা দেখিয়েছে তা কানাডা উপলব্ধি করে। রোহিঙ্গা সঙ্কটে সাড়া দেয়া প্রথম দেশগুলোর একটি কানাডা এবং শীর্ষ মানবিক সহায়তাকারী হিসেবে তারা এখনও বহাল আছেন বলে উল্লেখ করেন হাই কমিশনার। হাইকমিশনের তথ্য মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডার ব্যবসায়িক সম্পর্ক গত ১৪ বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৪ সালে হওয়া ৬০ কোটি ৫ লাখ কানাডিয়ান ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বেড়ে ২০১৮ সালে ২৪০ কোটি কানাডিয়ান ডলারে উন্নীত হয়েছে।
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সব কৌশলই ব্যবহার করছে কানাডা: বক্তৃতায় কানাডিয়ান হাই কমিশনার জানান, রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধান পেতে কানাডা মিয়ানমারের নেতৃত্ব ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ নিজেদের এখতিয়ারে থাকা সব ধরনের কৌশল ব্যবহার করছে। পাশাপাশি কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও অব্যাহত রেখেছে দেশটি। হাই কমিশনার বলেন, আমরা পুরোপুরিভাবে একমত যে এ সঙ্কটের কারণ ও সমাধান মিয়ানমারেই নিহিত রয়েছে। উদ্বাস্তুদের সাহায্য ও স্বাগত জানানোর দীর্ঘ ইতিহাস কানাডার রয়েছে এবং তাদের নাগরিকরা রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দারা কিসের মাঝে রয়েছেন সে বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে হাই কমিশনার বলেন, উদ্বাস্তুদের স্বাগত জানানো এবং তাদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার যে অপরিসীম উদারতা দেখিয়েছে তা কানাডা উপলব্ধি করে। রোহিঙ্গা সঙ্কটে সাড়া দেয়া প্রথম দেশগুলোর একটি কানাডা এবং শীর্ষ মানবিক সহায়তাকারী হিসেবে তারা এখনও বহাল আছেন বলে উল্লেখ করেন হাই কমিশনার। হাইকমিশনের তথ্য মতে, বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডার ব্যবসায়িক সম্পর্ক গত ১৪ বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৪ সালে হওয়া ৬০ কোটি ৫ লাখ কানাডিয়ান ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বেড়ে ২০১৮ সালে ২৪০ কোটি কানাডিয়ান ডলারে উন্নীত হয়েছে।