বাংলারজমিন
বানিয়াচংয়ে প্রতিবন্ধীর ভাতা ছিনিয়ে নিলেন সমাজকর্মী ও ইউপি সদস্য
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
৭ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৮:৩২ পূর্বাহ্ন
বানিয়াচংয়ে প্রতিবন্ধীর টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন এক ইউনিয়ন সমাজকর্মী ও ইউপি সদস্য। ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী মকসিনা আক্তার গতকাল সকালে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুন খন্দকারের কাছে বিষয়টি জানালে তিনি তাৎক্ষণিক বানিয়াচং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে ডেকে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করে প্রতিবন্ধীর ভাতা ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ প্রদান করেন। একই সঙ্গে ওই ইউনিয়ন সমাজকর্মী ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। সূত্রে জানা যায়, গত ৩রা ডিসেম্বর বিকালে বানিয়াচং সোনালী ব্যাংক বড়বাজার শাখা থেকে ২৪ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন করেন সাগরদীঘি পাড় এলাকার আ. সাত্তারের প্রতিবন্ধী মেয়ে মকসিনা আক্তার। ব্যাংক থেকে ভাতার টাকা উত্তোলন করে ব্যাংকের নিচে আসামাত্র সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী রেজাউল হক রতন ও ৩নং ইউনিয়নের সদস্য সুমন আখনজী ওই প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে পুরো ২৪ হাজার টাকা ও ভাতার বই ছিনিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ পর আবার ১১ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী মকসিনার মা’য়ের কাছে ফেরত দিয়ে অবশিষ্ট ১৩ হাজার টাকা ও ভাতার বই তাদের হাতে রেখে দেয়। গতকাল প্রতিবন্ধী মকসিনা তার মা ও বাবাকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান। এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধী মকসিনার মা জানান, আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে ভাতার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনের পর সমাজসেবা অফিসের রতন ও মেম্বার সুমন আখনজী জোরপূর্বক আমার মেয়ের কাছ থেকে টাকা ও প্রতিবন্ধী ভাতার বইটি নিয়ে যায়। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে ইউএনওর কাছে তার প্রতিবন্ধী মেয়ের ভাতার টাকা ও বই ফেরত দেয়ার আকুতি জানান। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুন খন্দকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রতিবন্ধী মেয়েটি তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে আমার কাছে এসে অভিযোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সমাজসেবা অফিসের রতন ও ইউপি সদস্য সুমন আখনজীকে আমার অফিসে তলব করা হয়েছে। ঘটনাটি সত্য প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইউএনও মহোদয় বিষয়টি দেখার জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ইউনিয়ন সমাজকর্মী রেজাউল হক রতন ইতিমধ্যে নবীগঞ্জ উপজেলায় বদলি হয়েছেন। তিনি আমার অফিসের কর্মী নন তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য আমার অফিসে এসেছিলেন। ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী মকসিনা আক্তার এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগও আমার কাছে দিয়েছেন। উভয়পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলেও তিনি জানান।