দেশ বিদেশ
তালা ভেঙে কক্ষে ঢুকলেন নুর
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
৫ ডিসেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুুরুল হক নুরের কক্ষে তালা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একটি অংশ। বিকালে সেই তালা ভেঙে রুমে প্রবেশ করেছেন নুর। একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানির মালিকের সঙ্গে নুরের ফোনালাপ ফাঁস হওয়ায় তার প্রতি অনাস্থা প্রদর্শন করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নুরের কক্ষে তালা দেয়। একই সঙ্গে দাহ করা হয় নুরের কুশপুত্তলিকা। সন্ধ্যায় নুর মানবজমিনকে জানান, ফাঁস হওয়া ফোনালাপ তারই। তবে বিক্ষিপ্তভাবে তিনজন ব্যক্তির সঙ্গে তার ফোনালাপের খণ্ডিত অংশ কেটে জোড়াতালি দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তিনি এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। ফোনালাপ ফাঁসের জন্য তিনি সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহকে দায়ী করেন। গতকাল দুপুরে নুরের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন ও কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি পালন করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একটি অংশ। মানববন্ধন শেষে নুরের কুশপুত্তলিকা দাহ ও ডাকসু ভবনে নির্ধারিত কক্ষে তালা দেয় সংগঠনটি। এতে নেতৃত্ব দেন এ অংশের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন। যিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করছেন। এসময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নুরকে পদত্যাগে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডাকসুর ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নুরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ডাকসু থেকে বহিষ্কার করতে হবে। অন্যথায় ভিসিকে স্মারকলিপি দেয়া হবে বলে জানান তারা। নিজের কক্ষে তালা দেয়ার প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর মানবজমিনকে বলেন, ডাকসু কোন ব্যক্তি নয়। এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সংগঠন। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত ভিপি। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে একটি সংগঠন ডাকসুর কক্ষে তালা দেয়ার দৃষ্টতা দেখিয়েছে। আমি বিষয়টি ভিসি (রুটিন ওয়ার্ক) ও প্রক্টরকে জানিয়েছি। আগামীকাল ভিসি আসলে তাকে জানাবো। যেন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। কারণ এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, যিনি মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন বলে ক্যাম্পাসে প্রচার আছে ও কিছু শিক্ষার্থী রয়েছে। নুর বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ মূলত ছাত্রলীগেরই একটি অংশ। ছাত্রলীগের সাবেক কিছু নেতা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নাম দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদেরও হেয় করছে। এখানে হত্যা মামলার আসামিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ব্যক্তি রয়েছে। যারা আগে থেকেই ক্যাম্পাসে বিতর্কিত। আর এ সংগঠনের আহ্বায়ক সম্পর্কেও মানুষ জানে কারণ ইতোপূর্বে বেফাঁস মন্তব্যের কারণে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের এক সভায় অধ্যাপক ড. আ ক ম জামালকে লাথি মেরেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রক্টর। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যদি এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।