বাংলারজমিন
সুধারামে সিএনজিসহ আটক ৫
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
৪ ডিসেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৮:১৭ পূর্বাহ্ন
হাতিয়ার চরাঞ্চলে শ’ শ’ গরু, মহিষ ও ছাগল চুরির অভিযোগে সুধারামে ৫ চোরকে সিএনজিসহ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারিশপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের পুত্র সিএনজি ড্রাইভার ইকবাল হোসেন উজ্জল (২৭), মমিন হোসেন মানিকের পুত্র জাহিদুল ইসলাম জিহাদ (২১), মো. দুলালের পুত্র মো. মিলন (১৯), মৃত সোলেমানের পুত্র শহিদুল ইসলাম সজিব (১৯), মৃত আবুল হোসেনের পুত্র মো. হাবিবুর রহমান হাবিব (১৯) কে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে সুধারামের ৮নং ইউপির চরকরমূল্যা গ্রামের মো. মমিন উল্যাহ (৪১) সুধারাম মডেল থানায় মামলা করলে অফিসার ইনচার্জ মো. নবির হোসেন এর নেতৃত্বে আসামীদের মেজর মান্নান স্কুল এন্ড কলেজের উত্তর পাশে পাকা রাস্তার উপর সিএনজি সহ আটক করে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি পুলিশকে জানায়, ৪/৫ মাস থেকে এ এলাকায় ১৫-২০টি ছাগল চুরির ঘটনা ঘটে। ওই আসামিরা সিএনজি যোগে ১৫ হাজার টাকা দামের ছাগলটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পর খোঁজ খবর নেয়ার পর থানায় মামলা করলে ওসি সুধারাম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। অপরদিকে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বিভিন্ন চরাঞ্চলে বেড়েছে মহিষ, গরু ও ছাগল চুরি। গত এক মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক মহিষসহ বিভিন্ন গবাদি পশু চুরি হয়েছে। ফলে হাতিয়ার চার পাশে অবস্থানরত মহিষ বাতানদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম আতংক। সম্প্রতি নলচিরা ইউনিয়নের ফরাজি গ্রামের জাবের হোসেন তার ২৫টি মহিষ চুরি হয়েছে মর্মে থানায় সাধারন ডায়েরি করলেও পুলিশ কোন খোঁজ দিতে পারে নি। মহিষ মালিক হুমায়ুন কবির জানান, হাতিয়ার মূল ভূ’খণ্ডে মহিষের জন্য কোন চারণ ভূমি না থাকায় সবাই বিভিন্ন চরে মহিষ পালন করে। বিশেষ করে বদনার চর, গাসিয়ার চর, জাগলার চর, মৌলভির চর ও গাংগুরিয়ার চরে হাতিয়ার প্রায় ১০ সহস্রাধিক মহিষ পালন করছে বাতানরা। সম্প্রতি একটি গ্রুপ এসব চর থেকে গভীর রাতে মাছধরা ট্রলার দিয়ে মহিষ চুরি করে নিয়ে যায়। এসব চরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারা না থাকায় অনেকটা অরক্ষিত থাকে মহিষ ও বাতানরা। জাগলার চরের বাতান ভুট্টু (৪৫) জানান, প্রতিরাতে চোরের দল চরে হানা দেয়। বাতানরা নিজেরা পাহারা দিলে ও গভীর রাতে সুযোগ নিয়ে মহিষ নিয়ে যায়। মহিষের মালিক জাবের জানান, গাংগুরিয়ার চর থেকে সম্প্রতি তার ছোট বড় ২৫টি মহিষ চুরি হয়ে যায়। বিভিন্ন চরে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে গত ৩০শে নভেম্বর হাতিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু কোথাও এখন পর্যন্ত মহিষের কোন খোঁজ দিতে পারেনি। একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মহিষগুলো নোয়াখালীর সুধারামে সোনাপুর কসাইদের কাছে অল্প দামে বিক্রি করলে তারা গরুর গোস্তের সাথে মহিষের গোস্ত মিশিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভোক্তাদের কাছ থেকে। এ ব্যাপারে হাতিয়া কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. মেহেদী হাসান জানান, মহিষ চুরির বিষয়ে আমরা জেনেছি। আমারা বিভিন্ন দিকে খোঁজখবর নিচ্ছি।