দেশ বিদেশ

‘ঢামেক’-এ টাকায় মেলে ‘জাল মেডিকেল সনদ’

স্টাফ রিপোর্টার

৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:৪৭ পূর্বাহ্ন

ছুটি, মেডিকেল লিভ কিংবা পুলিশি মামলায় ইনজুরি রিপোর্ট টাকার মাধ্যমে সব মেডিকেল সনদই পাওয়া যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল অঙ্গনে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নয়, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে হাসপাতালটির ওয়ার্ডবয়সহ গড়ে ওঠা একটি প্রতারক চক্র এসব জাল ও ভুয়া মেডিকেল সনদ প্রস্তুত ও সরবরাহ করে আসছিল।
গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢামেক হাসপাতালের নার্সিং কলেজের ভেতরের গ্যারেজে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অভিযানে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য। অভিযান চলাকালে জাল জন্ম-মৃত্যু সনদপত্র, নকল সিল ও ইনুজরি সনদ, স্ট্যাম্পসহ মো. আরিফ (৫০) নামে একজনকে আটক করেছে র‌্যাব-১০। মো. আরিফ ঢামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় হিসেবে কর্মরত আছেন বলে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব। এসময় র‌্যাব-১০ এর কর্মকর্তারা বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই টাকার বিনিময়ে চক্রটি জাল সনদ তৈরি ও সরবরাহ করতো। ঢামেক হাসপাতালের শুধু ওয়ার্ড বয় নয়, এ চক্রে আরও অনেকে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
অভিযানের নেতৃত্বদানকারী র‌্যাব-১০ এর মেজর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশের যেকোনো মামলায় প্রতিবেদনের জন্য অনেক  ক্ষেত্রে ইনজুরি সনদ দরকার হয়। যা নরমালি একটা অফিসিয়াল সিস্টেমের মাধ্যমে হাসপাতাল থেকে পেতে হয় এবং তা সময়সাপেক্ষ। এ সুযোগটি নিয়ে দালাল চক্রটি অল্প সময়ের ব্যবধানে জালিয়াতি চক্রটির কাছ থেকে মেডিকেল লিভের জন্য মেডিকেল সনদ, ইনজুরি সনদ সরবরাহ করতো। এ ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরও তারা জাল করতো। র‌্যাব এর কর্মকর্তা বলেন, মেডিকেল কলেজের মাধ্যমে  যেকোনো প্রয়োজনে মেডিকেল সনদ নিতে গেলে সত্যতা থাকতে হয়, সময়ও লাগে। কিন্তু এই চক্রটি- কেউ মারধরের শিকার হয়নি, ইনজুরি হয়নি কিন্তু তার ইনজুরি সনদ দরকার, তাদেরকে জাল ইনজুরি সনদ সরবরাহ করে আসছিল। যার ওপর ভিত্তি করে অনেকে ভুতুড়ে মামলাও দায়ের করছেন। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি এ জালিয়াতি করে আসছে। এ চক্রের সঙ্গে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কেউ জড়িত আছে কি না ? এই বিষয়ে মেজর জাহাঙ্গীর বলেন, ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কেউ জড়িত কি না তা তদন্ত সাপেক্ষ। তবে আটক মো. আরিফ ঢামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত বলে আমরা জানতে  পেরেছি। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে এ ব্যাপারে আটককৃত ব্যাক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন এবং সত্যতা শিকার করেছেন। আর এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মামলা দায়ের করা হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status