বাংলারজমিন
অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে মুক্তি
মামলা ছাড়াই ৯ ঘণ্টা পুলিশ হেফাজতে যুবক
লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লার লালমাই থানাধীন ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা ছাড়াই মিজানুর রহমান জুয়েল নামে এক যুবককে ৯ ঘণ্টা নিজের অফিসে আটক করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ওই যুবককে ছাড়াতে গিয়ে আনোয়ার হোসেন নামের আওয়ামী লীগের এক নেতাকেও পুলিশ হেফাজতে আটক করে রাখে। পরে অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল এমপির হস্তক্ষেপে পুলিশ আটককৃতদের মুক্তি দেয়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, লালমাই থানাধীন ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন রোববার সকালে ভুলইন দক্ষিণের মেম্বার আবদুল জলিলকে ফোন করে একই ইউনিয়নের কলমিয়া গ্রামের মাস্টার আইউব আলীর ছেলে মিজানুর রহমান জুয়েল (২৫)কে তার অফিসে নিয়ে যেতে বলে। বেলা অনুমান ১১টায় ইউপি মেম্বার জলিল নিজের মোটরসাইকেলযোগে জুয়েলকে ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিলে পুলিশ পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন নিজের অফিসে জুয়েলকে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় জুয়েলের বন্ধু একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন (৩০), যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন, সালিশদার আবুল কাশেমসহ স্থানীয় কিছু গণ্যমাণ্য পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যায়। জুয়েলকে আটক করার কারণ জানতে চাওয়ায় পুলিশ পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে আনোয়ার হোসেনকে হাজতে আটক করে। বিষয়টি জানতে পেরে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আইয়ুব রোববার সন্ধ্যা অনুমান ৭টায় তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ তোফাজ্জল কে ফোন করলে সে সবকিছু অস্বীকার করে। এরপর রাত ৮টায় অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল এমপি যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেনের মোবাইল ফোনে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেনের সাথে কথা বললে পুলিশ দু’জনকে মুক্তি দেয়। উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাদুসুর রহমান বলেন, জুয়েলকে ছাড়াতে যাওয়ায় অন্যায়ভাবে আনোয়ারকে আটক পুলিশ। এ খবর পেয়ে আমি অর্থমন্ত্রীকে ফোন করে বিষয়টি অবগত করি। পরে রাত ৮টায় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আনোয়ার ও জুয়েলকে মুক্তি দেয় পুলিশ। ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ইউপি মেম্বার জলিল বেলা ১১টায় জুয়েলকে পারিবারিক একটা বিষয়ে কথা বলতে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। সন্ধ্যার পর তারা চলে গেছে। আনোয়ারকে আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, মিথ্যা কথা বলায় রাগ করে আটক করেছি। পরে ছেড়ে দিয়েছি।