এক্সক্লুসিভ
৩৬ বছর জেল খাটার পর তারা নির্দোষ
মানবজমিন ডেস্ক
২ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, ৭:৫৭ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে ১৯৮৪ সালে এক বৃটিশ পর্যটককে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছিলেন ৩ ব্যক্তি। এর ৩৬ বছর পর জানা গেল তারা নির্দোষ ছিলেন। জেল থেকে মুক্তিও পেয়েছেন আলফ্রেড চেস্টনাট, অ্যান্ড্রু স্টুয়ার্ট ও র্যানসম ওয়াটকিনস নামে তিন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি। সোমবার তাদের মামলা পুনঃপর্যবেক্ষণ শেষে বাল্টিমোরের একজন বিচারক তাদের মুক্তির আদেশ দেন।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, বাল্টিমোরের কনভিকশন ইনটিগ্রিটি ইউনিটের কাছে অন্যতম আসামি চেস্টনাট চিঠি লেখার পর এ বছর খুনের এই মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। গত বছর চেস্টনাট এই মামলার নতুন প্রমাণ খুঁজে পান। তারই ভিত্তিতে তারা নির্দোষ বলে প্রমাণিত হন। খবরে বলা হয়, বাল্টিমোরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে ডেউইট ডাকেট নামে ১৪ বছর বয়সী কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর ১৯৮৩ সালের নভেম্বর এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় ডেউইট হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়। সেবার বাল্টিমোরের কোনো সরকারি বিদ্যালয়ের প্রথম কোনো শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন।
তবে এখন বাল্টিমোরের রাজ্য কৌঁসুলি ম্যারিলিন মোজবি বলেন, এই তিন আসামি তখন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। তখন পুলিশ ও কৌঁসুলিদের ভুল তদন্তের কারণেই তাদের সাজা হয়। এক বিবৃতিতে তার কার্যালয় থেকে বলা হয়, তখন পুলিশের গোয়েন্দারা অন্য অপ্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষীদের শিখিয়ে ও জোর করে এই তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে।
কৌঁসুলিরা আরো জানান, তদন্তের প্রথম দিকে একাধিক সাক্ষী অন্য আরেক ব্যক্তিকে খুনি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তখন ওই সাক্ষ্য অগ্রাহ্য করে ও সংশ্লিষ্ট বক্তব্য গোপন রাখে। এ ছাড়া যাদের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিল তারাও ছবিতে এই তিন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারেননি। প্রত্যেক সাক্ষীই তাদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ম্যারিলিন মোজবি বলেন, আমি মনে করি না, আজ বিজয়ের দিন। এটি ট্র্যাজেডি। এর দায় আমাদের নিতে হবে।
এই খুনের ঘটনার অন্য সন্দেহভাজন ২০০২ সালে মারা যায়। মামলার নথিপত্র এক বিচারকের আদেশের ভিত্তিতে গোপন রাখা হয়। কিন্তু গত বছর অনুরোধের মাধ্যমে সেই নথিপত্র পেয়ে যান চেস্টনাট।
মামলার অপর আসামি ওয়াটকিনস বলেন, এই সাজা কখনই হওয়া উচিত ছিল না। আমাদের লড়াই এখানেই শেষ নয়। আপনারা আমাদের আরো বক্তব্য শুনবেন।
তবে ভুলবশত সাজাপ্রাপ্ত হলে মেরিল্যান্ডে কেউ ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারে না। কিন্তু এখন তা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে অন্য বিভাগের মাধ্যমে এ ধরনের মামলায় ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। অক্টোবর মাসে ভুলক্রমে সাজা পাওয়া ৫ ব্যক্তিকে ৯০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সংস্থাটি।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, বাল্টিমোরের কনভিকশন ইনটিগ্রিটি ইউনিটের কাছে অন্যতম আসামি চেস্টনাট চিঠি লেখার পর এ বছর খুনের এই মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। গত বছর চেস্টনাট এই মামলার নতুন প্রমাণ খুঁজে পান। তারই ভিত্তিতে তারা নির্দোষ বলে প্রমাণিত হন। খবরে বলা হয়, বাল্টিমোরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে ডেউইট ডাকেট নামে ১৪ বছর বয়সী কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর ১৯৮৩ সালের নভেম্বর এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় ডেউইট হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হয়। সেবার বাল্টিমোরের কোনো সরকারি বিদ্যালয়ের প্রথম কোনো শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন।
তবে এখন বাল্টিমোরের রাজ্য কৌঁসুলি ম্যারিলিন মোজবি বলেন, এই তিন আসামি তখন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। তখন পুলিশ ও কৌঁসুলিদের ভুল তদন্তের কারণেই তাদের সাজা হয়। এক বিবৃতিতে তার কার্যালয় থেকে বলা হয়, তখন পুলিশের গোয়েন্দারা অন্য অপ্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষীদের শিখিয়ে ও জোর করে এই তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে।
কৌঁসুলিরা আরো জানান, তদন্তের প্রথম দিকে একাধিক সাক্ষী অন্য আরেক ব্যক্তিকে খুনি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তখন ওই সাক্ষ্য অগ্রাহ্য করে ও সংশ্লিষ্ট বক্তব্য গোপন রাখে। এ ছাড়া যাদের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিল তারাও ছবিতে এই তিন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারেননি। প্রত্যেক সাক্ষীই তাদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ম্যারিলিন মোজবি বলেন, আমি মনে করি না, আজ বিজয়ের দিন। এটি ট্র্যাজেডি। এর দায় আমাদের নিতে হবে।
এই খুনের ঘটনার অন্য সন্দেহভাজন ২০০২ সালে মারা যায়। মামলার নথিপত্র এক বিচারকের আদেশের ভিত্তিতে গোপন রাখা হয়। কিন্তু গত বছর অনুরোধের মাধ্যমে সেই নথিপত্র পেয়ে যান চেস্টনাট।
মামলার অপর আসামি ওয়াটকিনস বলেন, এই সাজা কখনই হওয়া উচিত ছিল না। আমাদের লড়াই এখানেই শেষ নয়। আপনারা আমাদের আরো বক্তব্য শুনবেন।
তবে ভুলবশত সাজাপ্রাপ্ত হলে মেরিল্যান্ডে কেউ ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারে না। কিন্তু এখন তা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে অন্য বিভাগের মাধ্যমে এ ধরনের মামলায় ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। অক্টোবর মাসে ভুলক্রমে সাজা পাওয়া ৫ ব্যক্তিকে ৯০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সংস্থাটি।