এক্সক্লুসিভ
হলি আর্টিজান হামলা
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক জঙ্গি ভারতের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলারও আসামি
কলকাতা প্রতিনিধি
২৯ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হানার চক্রান্তের দায়ে বুধবার মৃত্যুদণ্ড দেয়া ৭ আসামির মধ্যে একজন পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম আসামিও। সেই সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা নাসিরুল্লাহর বিরুদ্ধে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ আদালতে চার্জশিটও দিয়েছে। এর আগেই সোহেল মাহফুজের খোঁজে এনআইএ পুরস্কারও ঘোষণা করেছে। এনআইএ’র গোয়েন্দাদের মতে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডেই প্রথম জানা গেছে যে, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জেএমবি বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের জন্য পশ্চিমবঙ্গে বসে ষড়যন্ত্র করছে। শুধু তাই নয়, এখান থেকে গ্রেনেড জাতীয় বিস্ফোরক তৈরি করে বাংলাদেশে পাচারের কাজও করতো জেএমবি’র সদস্যরা। এনআইএ’র মতে, ভারতে জেএমবি’র আমীর ছিল সে। ২০০৮ সালে তালহা শেখকে সঙ্গে করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে সোহেল মাহফুজ পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম, নদীয়া, মুর্শিদাবাদসহ বেশ কয়েকটি জেলায় জেএমবি’র স্লিপার সেল তৈরি করেছিল। এই সময় সে হাতকাটা নাসিরুল্লাহ হিসেবেই জঙ্গিদের কাছে পরিচিত ছিল। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মাদ্রাসাতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ ও বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। তবে ২০১৪ সালে খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে বিস্ফোরক তৈরির সময় হঠাৎ বিস্ফোরণের পরেই তদন্তে জেএমবি’র বিশাল কর্মকাণ্ডের হদিস মিলেছিল। তখনই সোহেল মাহফুজের নাম জানা গিয়েছিল।
সেই সঙ্গে জানা গিয়েছিল সালাউদ্দিন সালেহিন ও জহিদুল ইসলামের নাম। এই দুই জেএমবি জঙ্গিকে ত্রিশালে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনতাই করা হয়েছিল। এরপরেই তারা পশ্চিমবঙ্গে এসে সোহেল মাহফুজের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। তবে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরেই জেএমবি’র নেতারা আত্মগোপন করেছিল। তবে গোয়েন্দাদের তাড়া খেয়ে এক সময় সোহেল মাহফুজ বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছিল। সেখানেই ২০১৭ সালেরই জুলাইয়ে সে ধরা পড়েছিল বাংলাদেশ পুলিশের হাতে।
সেই সঙ্গে জানা গিয়েছিল সালাউদ্দিন সালেহিন ও জহিদুল ইসলামের নাম। এই দুই জেএমবি জঙ্গিকে ত্রিশালে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনতাই করা হয়েছিল। এরপরেই তারা পশ্চিমবঙ্গে এসে সোহেল মাহফুজের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। তবে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরেই জেএমবি’র নেতারা আত্মগোপন করেছিল। তবে গোয়েন্দাদের তাড়া খেয়ে এক সময় সোহেল মাহফুজ বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছিল। সেখানেই ২০১৭ সালেরই জুলাইয়ে সে ধরা পড়েছিল বাংলাদেশ পুলিশের হাতে।