শেষের পাতা

৪৬ মামলায় জেরবার কাঞ্চন

স্টাফ রিপোর্টার

২৩ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৯:১১ পূর্বাহ্ন

মামলার বেড়াজালে আটকা পড়েছেন রাজধানীর শান্তিবাগের একরামুল আহসান কাঞ্চন। একটি দুটি কিংবা দশ বিশটি নয়। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে হয়েছে ৪৬টি মামলা। এর মধ্যে ঢাকা সিএমএম কোর্টে ১৩টি, ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৫টি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ কোর্ট ও থানায় ৮টি মামলা। অন্য মামলাগুলো হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলার কোর্ট ও থানায়। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ৯টি মামলা হয়েছে কারাগারে থাকা অবস্থায়। ইতিমধ্যে ২৯টি মামলা থেকে তিনি নিষ্পত্তি পেয়েছেন। নিষ্পত্তিকৃত ২৩টি মামলায় ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় আদালত মামলাগুলো খারিজ করে দিয়েছেন। ১৬টি মামলা খালাস হওয়ার পথে। কাঞ্চনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজল তালুকদার বলেন, একটি চক্র কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ৪৬টি সাজানো মামলা করেছে। আমি তাকে ১০-১২টি মামলায় জামিন করিয়েছি। তিনি বলেন, একটি মামলায় কাঞ্চন ঢাকা জজ কোর্টে হাজিরা দিতে আসেন। অথচ একই দিন একই সময়ে যশোরে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। কাঞ্চন যে ওই দিন ঢাকায় ছিলেন, কোর্ট থেকে তার দালিলিক প্রমান তুলে দেই। ওই কাগজ পত্র আদালতে উপস্থাপন করা হলে, আদালত তাকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। খুলনার আদালতে প্রিজন ভ্যান থেকে নামার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একরামুল আহসান কাঞ্চন বলেন, এমন কোনো অভিযোগ নেই, আমার উপর প্রয়োগ করা হয়নি। হত্যা, ধর্ষণ, চুরি- ছিনতাই-চাঁদাবাজি ও মানবপাচারের মতো ভয়ংকর অপরাধের সাজানো মামলার আসামি বানানো হয়েছে আমাকে।  

কাঞ্চন বলেন, আমার বাবার ফার্মেসী ব্যাবসা ছিল। ওই সময় একজনের নামে বেশি সম্পদ করা যেত না। তাই বাবা জীবদ্দশায় কিছু সম্পত্তি বড় ভাই আকতারি কামালের নামে,  মায়ের নামে ও আমার মামা গোলাম কবিরের  নামে রেজিস্ট্রি করেন। প্রথমে মায়ের নামের থাকা কিছু সম্পত্তি এক পীরকে দান করে দেন। এরপর ভাই  ও মায়ের নামে থাকা সম্পত্তি বিক্রি করে দান করার সিদ্ধান্ত নেন। তখন আমি ও ছোট ভাই কামরুল আহসান বাদল মাকে ও ভাইকে ভাগ বাটোয়ারার আগে সম্পত্তি বিক্রি করতে নিষেধ করি। এ নিয়েই ভাই আকতারি কামাল খোকনের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর একদিন ঝগড়া হয়। সেই থেকে আমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধে ভাই টেনে নেন আমাদের মামাতো ভাই মামলাবাজ চক্রের সদস্য শাকেরুল কবিরকে। এতে ওই পীর, ভাই আকতারি কামাল ও শাকেরুল কবির মিলে আমার বিরুদ্ধে ও ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিতে শুরু করে। জেলে আসার পর জানতে পেরেছি, এরই মধ্যে মা প্রায় ১৩ কোটি টাকার  সম্পত্তি বিক্রি করে ওই পীরকে দান করেছে। তিনি জানান, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের গোলাম কবিরের ছেলে শাকেরুল। তারা সাধারণত কোনো মামলার বাদী হন না। তাদের কাজ হলো সাজানো বাদী দিয়ে নিরীহ নিরপরাধ মানুষদের বিরুদ্ধে মামলা করা। আর আকতারি কামালের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে সেই মামলা পরিচালনা করে শাকেরুল কবীর। একদিন আকতারি কামালের পরিকল্পনায় মামলার জালে বন্দি হন কাঞ্চন। এই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে শাকেরুল কবিরের সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার হই আমি। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে জামিনে বের হই। কয়েকদিন যেতে না যেতেই আরেক মামলায় আটক হই। এ মামলাতেও জামিন পাই। ২০১২ সালে ফের নতুন মামলা। এবারো পুলিশ তাকে ধরে আদালতে সোপর্দ করেন। শুরু হয় দীর্ঘ কারা জীবন। এভাবেই ২০১০ সাল থেকে মামলার পাহাড় জমেছে। মিথ্যা প্রমাণ হওয়ায় অনেক মামলাতেই খালাস পেয়েছি আমি।  

কারাগারে থাকা কাঞ্চনের স্ত্রী তামান্না আকরাম বলেন, ২০০২ সালে কাঞ্চনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এর পর তাদের সুখের সংসারে আসে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। দেশের খুব কম থানা আছে, যেখানে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। যেখানে মামলার শুনানি, সেখানকার কারাগারেই হয়েছে তার আবাসস্থল। কাঞ্চনের স্বজনদের দাবী, পুলিশ নয়, কে কতোগুলো মামলার আসামি হবে, কে কতো বছর জেল খাটবে, সেই তালিকা করে মামলাবাজ সিন্ডিকেট। স্বজনরা আরো জানান, এরকম সাজানো মামলার আসামি আছে বেশ কয়েকজন। ঢাকার সাইফুল্লার বিরুদ্ধে ৬০টি এবং জিল্লুর রহমান, হাফিজুর রহমান ও আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ৪৮টি মামলা করেছে এই চক্র। কাঞ্চনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সাজানো মামলা হয়েছে ৪৬টি। অথচ পুলিশের ক্রিমিনাল রেকর্ডে কাঞ্চনের নাম নেই। শাকেরুল কবিরের বড় ভাই ও কাঞ্চনের মামাতো ভাই শাহেদুল কবির বলেন, আমার ছোটো ভাই মামলা চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আমরা সঙ্গে অনেক কথাকাটাকাটি হয়েছে। কিন্তু  সে ওই চক্রের হাত থেকে বের হয়ে আসতে পারছেনা। ওর কাজই হলো ওই চক্রের হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে নিরীহ-নিরাপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৬ই মার্চ মামলা সাজাতে গিয়ে শাকেরুল কবির সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় গ্রেপ্তার হয়েছিলো পুলিশের হাতে। নাহিদা বেগম, সুমী বেগম ও আরজু আক্তারকে দিয়ে খাগড়াছড়ির দিঘীনালার নুরুল আলম ও খলিল হাওলাদার এবং কক্সবাজারের রামুর তৈয়ব উল্লাহর বিরুদ্ধে সাজানো মানবপাচার মামলা করাতে যায় এই শাকেরুল কবিরচক্র। পুলিশের সন্দেহ হলে উল্টো ওই তিন সাজানো বাদীসহ শাকেরুল কবির ও হাবিবুল্লাহ সৌমিকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা নেয় পুলিশ। গ্রেপ্তার হয় শাকেরুল কবির ও হাবিবুল্লাহ সৌমিকসহ পাঁচ প্রতারকচক্র। ওই সময়ে এ ঘটনায় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। শাকেরুল কবির যে একজন মামলাবাজ, তা তার পিতা গোলাম কবিরও স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কাঞ্চন খুবই ভালো ছেলে। কাঞ্চনের আপন ভাই আকতারি কামালের সঙ্গে জমি জমা নিয়ে ঝগড়া হয়। এরপর আমার ছেলে শাকেরুল কবির ও মামলাবাজ চক্র ওর বিরুদ্ধে একর পর এক মামলা করেন। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপরাধ ছেলেটি মিথ্যা মামলায় জেল খাটছে। অনেকবার ছেলেকে এসব করতে মানা করেছি। কিন্তু ও আমার অবাধ্য সন্তান। সে আমার কথা শোনেনা। এই ঘটনার সত্যতা জানার জন্য মানবজমিন অফিস থেকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  

২০১০ সালে, গরুর চামড়া ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে শাকেরুল কবির ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামাতো ভাই মো. একরামুল হক কাঞ্চন এবং মো. বাবুকে আসামি করে পিটিশন মামলা করেন। মামলা নম্বর ২৯৯/২০১০। তবে আদালত ঘটনার সত্যতা না পেয়ে মামলাটি খারিজ করেছেন বলে জানান স্ত্রী তামান্না আকরাম।

নথি থেকে জানা যায়, এই মামলায় ঘটনার স্থান দেখানো হয়, শান্তিবাগ নূর মসজিদের সামনে মূল রাস্তা। তখন কোরবানীর ঈদ। দুপুর ১২.৩০  মিনিট। শাকেরুল কবির শান্তিবাগ মূল মসজিদের সামনে চামড়া ক্রয়ে ব্যস্ত। এমন সময় তার হাতে থাকা একটি গরুর চামড়া যার মূল্য আনুমানিক ২৫০০ (২ হাজার পাঁচ’শ টাকা), আসামি কাঞ্চন ও বাবু ওই চামড়া ছিনিয়ে নেয়ার জন্য বাদীর পথরোধ করেন। বাদী তাদের সরে যাওয়ার জন্য বললে আসামি একরামুল হক কাঞ্চন বলেন, চামড়া না দিলে তোকে জবাই করব। এরপর ২ নং আসামী বাবু বাদীর দিকে ছুড়ি তাক করে বলেন, চামড়া ছেড়ে দে, নইলে তোরে কোপ দিলাম। তখন শাকেরুল ডাক চিৎকার করলে বাবুর হাতে থাকা ১৪/১৫ ইঞ্চি লম্বা ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করার চেষ্টা করে। এ সময় তিনি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। তখন দুই আসামি সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪ সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক তার উপর আক্রমণ করে বাদীর হাতে থাকা চামড়া ছিনিয়ে নেয় এবং বাদীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এ ব্যাপারে কথা হয় ঢাকা মহানগরের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু’র সঙ্গে। তিনি অবাক হয়ে বলেন, এটি দুঃখজনক কথা। একজন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ৪৬ মামলা! এসব মামলার আসামি কিংবা স্বজনেরাতো কখনো আমাদের সঙ্গে যোগাযো করেনি। কারো বিরুদ্ধে এমন ঘটনা ঘটলে স্ব স্ব জেলার পিপি অফিসকে জানানো উচিত। তারপরও আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।               

এরপর, ২০১২ সালের ১৩ই মে, আবুল বাসার নামে এই চক্রের এক সদস্য পল্লবী থানায় তিনজনকে আসামি করে এসিড নিক্ষেপের মামলা করেন। অবশেষে এই মামলা মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় আদালত তিনজনকে খালাস দেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, তিন আসামি ফিরোজ, হারুন ও আকরামুল বাদীর পূর্ব পরিচিত। ফিরোজ ও হারুনের অফিসে বাদী আবুল বাসার চাকুরী করতেন। মামলার ৩ নম্বর আসামি আকরামুল প্রায়ই তাদের অফিসে আসতেন। অফিসের রিসিপসনিষ্ট তানিয়ার সঙ্গে ফিরোজ প্রায় অনৈতিক কার্য কলাপে লিপ্ত হতো। এতে আমি কখনো প্রতিবাদ কিংবা কাউকে কিছু বলতাম না। অপরদিকে আকরামুল আমার বাসায় আসত। তিনি একবার আমার বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তিনি বিবাহিত ও তার চারিত্রিক ত্রুটির কারণে রাজি হইনি। আমি তাদের অফিস থেকে চাকুরি ছেড়ে দেই। এরপর একদিন ফিরোজের স্ত্রী নাজমা আমার চাকুরী ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে আমি ফিরোজের সঙ্গে তানিয়ার অনৈতিক সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেই। এতে ফিরোজ, হারুন ও আকরাম আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হন।

তারা আমাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। একদিন রাত আনুমানিক ৩:৩০ মিনিটে মিরপুরের সেকশনের বাসায়  আমি ও আমার রুমমেট বাসায় অবস্থান করি। রাতে বার বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে আমাদের ঘুম হচ্ছিল না।  হঠাৎ জানালা দিয়ে আকরাম ও ফিরোজ এসিড মেরে আমাকে ঝলসে দেয়। হারুন তাদের সঙ্গে দাঁড়ানো ছিল। হারুনের হাতে একটা বোতল ছিল। আমি ফিরোজ, আকরাম তোরা কি করলি বলে চিৎকার করলে বাড়িওয়ালা ও বাসার লোকজন দ্রুত প্রথমে আধুনিক হাসপাাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই মামলার বিষয়ে আকরামুলের স্ত্রী বলেন, আদালত এই মামলার সত্যতা না পেয়ে আমার স্বামীসহ তিনজনকেই খালাস দিয়েছেন। এই মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিক বলেন, ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় আদালত আসামিদের এই মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।

কাঞ্চনের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত ভূইয়া বলেন, আমি কাঞ্চনের বেশ কয়েকটি মামলার জামিন করিয়েছি। অনেক মামলার শুনানিও করেছি। এমনও হয়েছে, এক মামলা জামিন করার পর তার বিরুদ্ধে আরেক মামলা হয়। ফলে তাকে কারাগার থেকে বের করা সম্ভব হচ্ছিল না। এক পর্যায়ে বুঝতে পারি তিনি সাজানো মামলার ফাঁদে পড়েছেন। তিনি আরো বলেন, দেখা গেছে ঢাকার একটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন, ওই দিনই অন্য আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফ্যাক্সে কারাগারে চলে গেছে।  তার মতো আরো কয়েকজন মামলাবাজের চক্রের ফাঁদে পড়ে কারাগারে রয়েছে। নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কাঞ্চন ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার আলম মিয়ার নামে মানব পাচার দমন আইনে মামলা করেন চকরিয়ার আশা বেগম। ঘটনার স্থান দেখানো হয়, চকরিয়া উপজেলার মনু ড্রাইভারের ডাক বাংলো। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাদী আশার মা রোজী বেগম ও কাঞ্চন একই এলাকার বাসিন্দা। বিদেশে  বাদীকে অধিক বেতনের চাকুরী দিতে পারিবেন বলে আসামী কাঞ্চন  আমার মা রোজী বেগমকে নানাভাবে প্রলোভন দেখায়।

কিন্তু আমি কখনো তার কথায় সম্মত হইনি। অনেক আকুতি মিনতির পর অবশেষে সম্মত হই। আসামি কাঞ্চন আমাকে বলে, ২নং আসামি আলম মিয়া আমার বন্ধু। তার কাছে হংকং এর ভিসা আছে। বাসায় ঝিয়ের কাজ দিবেন। আপাতত এক লাখ টাকা দিলে হংকং পাঠিয়ে দিবেন। হংকং পৌছানোর পর আরো দুই লাখ টাকা দিতে হবে। তার কথায় বিশ্বাস করে, ২০১৩ সালের ২৬শে জুলাই নগদ ১ লাখ টাকা প্রদান করি তাকে। এরপর আসামী কাঞ্চন আমাকে বিদেশে না পাঠিয়ে আটকে রেখে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে পতিতাবৃত্তিতে করিয়ে ব্যাবসা করত। এই মামলার আইনজীবী রুহুল আলম ডানো বলেন, তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত এই মামলাতে তিনি জামিনে রয়েছেন।

ব্যক্তি বিশেষ চাইলেই কি এমন সাজানো মামলার জালে জড়াতে পারে? মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট জ্যোতিময় বরুয়া বলেন, কোনো নাগরিক সাজানো মামলার খপ্পরে পড়লে তা থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য আইনে কোনো বিধান নেই। ভিকটিমকে প্রতিকার পেতে হলে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো ফেস করেই প্রমান করতে হবে তিনি নিরাপরাধ। বর্তমানে এমন অনেক সাজানো মামলার নিরাপরাধ আসামি কারাগারে রয়েছে। এ থেকে নাগরিকদের প্রতিকারের জন্য দ্রুত একটি আইন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status