বাংলারজমিন

আলো ছড়াচ্ছে মহম্মদপুর অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়

মাহামুদুন নবী, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে

২৩ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে হতাশ অভিভাবকদের আশার আলো দেখাচ্ছে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার রান ডেভেলপমেন্ট মহম্মদপুর অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। আগে যারা স্পষ্ট করে কথা বলতে পারতো না, পারতো না লিখতে, চিনতো না বাংলা ও ইংরেজি বর্ণমালা। ঠিক তারাই এখন স্পষ্ট করে কথা বলতে পারে, লিখতে পারে, চেনে বর্ণমালা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়েও তারা এখন অনেক সচেতন। অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীরা বোঝা নয়, এদেরও আছে শিক্ষার অধিকার। উপযুক্ত শিক্ষা পেলে তারাও সমাজের জন্য কিছু করবে এমন চেতনা নিয়েই প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এসব শিশুদের স্বেচ্ছাশ্রমে পরম স্নেহ ও মমতা দিয়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীদের আলোর মুখ দেখাতে ও সমাজ উন্নয়নে তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল লায়লা জলি ২০১৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। যার ভূমি দান করেন জেলা সৈনিকলীগের সহ-সভাপতি হাজী মো. বাদশা মিয়া। এ বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ১২১ জন। শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ২০ জন। মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে বিদ্যালয়টি।
সরজমিন দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের কেউ হাঁটতে পারে, কেউ পারে না। আবার কেউ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে। কারো হাত বাঁকা, কারো পা বাঁকা আবার কেউ সঠিকভাবে কথাও বলতে পারে না। এসবের পরেও আরো কয়েকজন আছে যারা মা বাবার কোলে আসা যাওয়া করে। এসব শিশুদের যাতাযাতের জন্য নিজস্ব ভ্যানও রয়েছে। প্রধান শিক্ষক রাসেল মোল্যাসহ কয়েকজন শিক্ষক বলেন, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দান করা অনেক কষ্টের, তবুও আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি ওদের শিক্ষার বিকাশ ঘটাতে। দিন দিন তাদের উন্নতি হচ্ছে। যারা কারো সঙ্গে মিশতো না তাদের অনেকে এখন মানুষের সঙ্গে মেশে। কথাও বলার চেষ্টা করে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা জীবনপট পাল্টে উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। কিন্তু আমাদেরই কেবল উন্নতি হচ্ছে না।  বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রেজাউল কবির সুরুজ মানবজমিনকে  জানান, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুদের অনেক উপকার হচ্ছে। আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি কিন্তু বিদ্যালয়টি সরকারি তেমন অনুদান পাচ্ছে না। শিক্ষকরাও বেতন ভাতা না পেয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। বিদ্যালয়টি দ্রুত এমপিওভুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status