অনলাইন
ইরানে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিতে নিহত শতাধিক: অ্যামনেস্টি
মানবজমিন ডেস্ক
২০ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৭:০০ পূর্বাহ্ন
ইরানে তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন কঠিন হস্তে দমন করছে দেশটির সরকার। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত সেখানে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। দেশটির ২১টি বড় শহরে ছড়িয়ে পরেছে আন্দোলন। অপরদিকে ইরানি গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে, বিক্ষোভকারীদের হামলায় নিহত হয়েছেন দেশটির রেভ্যুলেশনারি গার্ড দলের একজন সদস্য ও একজন পৌরসভাকর্মী।
গত এক সপ্তাহ ধরে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে ইরানে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি পুনোরুদ্ধারে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আন্দোলন থামাতে কঠিন অবস্থান গ্রহণ করেছে দেশটির ইসলামিক সরকার। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, শহরের উঁচু ছাদে মোতায়েন করা হয়েছে স্নাইপার। একইসঙ্গে হেলিকপ্টার থেকেও গুলি ছোড়া হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০৬ জন নিহত হয়েছেন। এ সংখ্যা নিশ্চিত হতে তারা ব্যবহার করেছে বিশ্বাসযোগ্য ভিডিও ও অধিকারকর্মীদের বয়ান। নিজেদের ওয়েবসাইটে দেয়া বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, সত্যিকারে এ সংখ্যা দুই শতাধিক হতে পারে।
একইসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরও করছে না ইরানি নিরাপত্তাবাহিনী। এছাড়া, মরদেহ দ্রুততার সঙ্গে কবর দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি। ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র গোলাম হোসেন ইসমাইল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, দেশে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, দেশব্যাপী এখনো আন্দোলন চলছে। রাস্তাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, এখন পর্যন্ত সহস্রাধিক আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আন্দোলনে ইরানি তরুণ ও কর্মজীবী শ্রেণীর মানুষেরা তাদের জীবনমান, রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে ক্ষুব্ধ। বিভিন্ন ফুটেজে দেখা গেছে, আন্দোলনকারীরা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও নেতাদের ছবি পোড়াচ্ছেন। তবে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনগুলোতে শুধু নিহত দুই সরকারি বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যু ও তাদের শেষকৃত্যের খবর প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরকারপন্থীরাও মিছিল সমাবেশ করছে বলে তাতে জানানো হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে ইরানে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি পুনোরুদ্ধারে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আন্দোলন থামাতে কঠিন অবস্থান গ্রহণ করেছে দেশটির ইসলামিক সরকার। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, শহরের উঁচু ছাদে মোতায়েন করা হয়েছে স্নাইপার। একইসঙ্গে হেলিকপ্টার থেকেও গুলি ছোড়া হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০৬ জন নিহত হয়েছেন। এ সংখ্যা নিশ্চিত হতে তারা ব্যবহার করেছে বিশ্বাসযোগ্য ভিডিও ও অধিকারকর্মীদের বয়ান। নিজেদের ওয়েবসাইটে দেয়া বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, সত্যিকারে এ সংখ্যা দুই শতাধিক হতে পারে।
একইসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরও করছে না ইরানি নিরাপত্তাবাহিনী। এছাড়া, মরদেহ দ্রুততার সঙ্গে কবর দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি। ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র গোলাম হোসেন ইসমাইল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, দেশে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, দেশব্যাপী এখনো আন্দোলন চলছে। রাস্তাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, এখন পর্যন্ত সহস্রাধিক আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আন্দোলনে ইরানি তরুণ ও কর্মজীবী শ্রেণীর মানুষেরা তাদের জীবনমান, রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে ক্ষুব্ধ। বিভিন্ন ফুটেজে দেখা গেছে, আন্দোলনকারীরা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও নেতাদের ছবি পোড়াচ্ছেন। তবে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনগুলোতে শুধু নিহত দুই সরকারি বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যু ও তাদের শেষকৃত্যের খবর প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরকারপন্থীরাও মিছিল সমাবেশ করছে বলে তাতে জানানো হয়েছে।