বিশ্বজমিন
অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের তদন্ত প্রত্যাহার সুইডেনের
মানবজমিন ডেস্ক
২০ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে সুইডেনের তদন্তকারীরা। ২০১০ সালে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আলোচিত এই ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে অনেক বিতর্ক চলছিল। অ্যাসাঞ্জ ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ২০১২ সালে লন্ডনে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে সুইডেনে প্রত্যাবর্তন করানোর কথা ছিল। কিন্তু জামিনে বেরিয়েই লন্ডনস্থ ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় গ্রহণ করেন তিনি। সেখানে ৭ বছর ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। এ বছরের এপ্রিলে তাকে ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে সরিয়ে নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর লন্ডনে জামিনের শর্ত ভঙ্গ করায় ৫০ সপ্তাহের কারাদ- পান তিনি। এই মুহূর্তে লন্ডনের বালমার্শ কারাগারে রয়েছেন তিনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকেই ওই তদন্ত স্থগিত রেখেছে সুইডিশ তদন্তদল। তবে এপ্রিলে ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে অ্যাসাঞ্জ বের হওয়ার পর তদন্ত পুনরায় চালু হয়েছিল। কিন্তু এখন তদন্ত পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অপরদিকে ২০১০ সালে উইকিলিকস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গোপনীয় মার্কিন সামরিক ও কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁস করার দায়ে যুক্তরাষ্ট্র অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। দেশটি বৃটেনের কাছে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণ করার অনুরোধ জানিয়েছে।
সুইডেনের সরকারী তদন্ত বিভাগের উপপরিচালক ইভা ম্যারি পারসন অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হলো, ঘটনার অনেকদিন পাড় হয়ে যাওয়ায় প্রমাণাদি দুর্বল হয়ে গেছে। পারসন বলেন, আমি এক্ষেত্রে জোর দিয়ে বলতে চাই যে, বাদি ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা বিশ্বাসযোগ্য। তার বক্তব্য বিস্তারিত ছিল, সংলগ্ন ও সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু আমার সামগ্রিক মূল্যায়ন হলো, প্রমাণাদি এতটাই দুর্বল হয়েছে যে, এই তদন্ত অব্যাহত রাখার আর কোনো কারণ নেই।
বিবিসির খবরে বলা হয়, অ্যাসাঞ্জ এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানান নি। তবে উইকিলিকস বিষয়টি স্বাগত জানিয়েছে। উইকিলিকসের প্রধান সম্পাদক ক্রিস্টিন রাফনসন বলেছেন, অ্যাসাঞ্জ বছরের পর বছর ধরে যে হুমকির ব্যাপারে আমাদের সাবধান করছেন, এখন আসুন সেদিকে মনোনিবেশ করি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকেই ওই তদন্ত স্থগিত রেখেছে সুইডিশ তদন্তদল। তবে এপ্রিলে ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে অ্যাসাঞ্জ বের হওয়ার পর তদন্ত পুনরায় চালু হয়েছিল। কিন্তু এখন তদন্ত পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অপরদিকে ২০১০ সালে উইকিলিকস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গোপনীয় মার্কিন সামরিক ও কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁস করার দায়ে যুক্তরাষ্ট্র অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। দেশটি বৃটেনের কাছে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণ করার অনুরোধ জানিয়েছে।
সুইডেনের সরকারী তদন্ত বিভাগের উপপরিচালক ইভা ম্যারি পারসন অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হলো, ঘটনার অনেকদিন পাড় হয়ে যাওয়ায় প্রমাণাদি দুর্বল হয়ে গেছে। পারসন বলেন, আমি এক্ষেত্রে জোর দিয়ে বলতে চাই যে, বাদি ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা বিশ্বাসযোগ্য। তার বক্তব্য বিস্তারিত ছিল, সংলগ্ন ও সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু আমার সামগ্রিক মূল্যায়ন হলো, প্রমাণাদি এতটাই দুর্বল হয়েছে যে, এই তদন্ত অব্যাহত রাখার আর কোনো কারণ নেই।
বিবিসির খবরে বলা হয়, অ্যাসাঞ্জ এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানান নি। তবে উইকিলিকস বিষয়টি স্বাগত জানিয়েছে। উইকিলিকসের প্রধান সম্পাদক ক্রিস্টিন রাফনসন বলেছেন, অ্যাসাঞ্জ বছরের পর বছর ধরে যে হুমকির ব্যাপারে আমাদের সাবধান করছেন, এখন আসুন সেদিকে মনোনিবেশ করি।