দেশ বিদেশ
অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন আমীর খসরু, ডা. শাহাদাত
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
পাথরঘাটায় বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে গিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফট দুর্ঘটনার কবল থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলটির অন্তত ৮ জন নেতা। গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালের পঞ্চম তলা থেকে নিচের দিকে নামার সময় দ্বিতীয় তলা থেকে লিফট ছিঁড়ে নিচতলায় গিয়ে পড়ে। এসময় নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হলেও শেষ পর্যন্ত অক্ষতভাবে লিফট থেকে বের হতে পেরেছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, হাসপাতালের পাঁচতলায় অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে আহতদের দেখে নিচতলায় নামার জন্য লিফটে উঠেছিলাম আমিসহ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এম এ আজিজ, সাইফুল ইসলাম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটনসহ কমপক্ষে ৮ জন নেতা। সঙ্গে যাওয়া আরও নেতাকর্মী সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিলেন। লিফট যখন দোতলার কাছাকাছি আসে, তখন হঠাৎ বিকট শব্দ হয় এবং মুহূর্তের মধ্যে লিফটটি পড়ে গিয়ে নিচতলা থেকে আরও প্রায় এক হাত দেবে যায়। আমরা বুঝতে পারি, চেইন ছিঁড়ে লিফটটি নিচে পড়ে গেছে। আমরা লিফটের বদ্ধ দরজায় আঘাত করতে থাকি।
একপর্যায়ে আমাদের যেসব নেতাকর্মীরা সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন, তারা শব্দ শুনতে পেয়ে আমাদের উদ্ধার করেন। দরজা খোলার পর আমরা দু’হাত দিয়ে মেঝেতে ভর দিয়ে ওপরে উঠে আসি।
শাহাদাত হোসেন বলেন, লিফটটি অনেকটা ভাঙাচোরা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বলে আমাদের মনে হয়েছে। অথচ প্রতিবছর মেডিকেল খাতে এত বাজেট বরাদ্দ আসে, এই টাকা কোথায় যায় আমরা জানি না। মেডিকেলের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যদি লিফটের এই অবস্থা হয়, তাহলে রোগী-তাদের স্বজনদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম, তখন এই হাসপাতালে নতুন লিফট স্থাপন করা হয়েছিল। এরপর থেকে আর লিফট আসেনি। দুর্নীতির মাধ্যমে টাকাগুলো আত্নসাৎ করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত নায়েক আব্দুল হামিদ বলেন, লিফট সামান্য দেবে গিয়েছিল। এতে কয়েকজন আটকা পড়েছিল ভেতরে। পরে সবাইকে বের করা হয়েছে। কারও কোনো ক্ষতি হয়নি।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, হাসপাতালের পাঁচতলায় অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে আহতদের দেখে নিচতলায় নামার জন্য লিফটে উঠেছিলাম আমিসহ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এম এ আজিজ, সাইফুল ইসলাম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটনসহ কমপক্ষে ৮ জন নেতা। সঙ্গে যাওয়া আরও নেতাকর্মী সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিলেন। লিফট যখন দোতলার কাছাকাছি আসে, তখন হঠাৎ বিকট শব্দ হয় এবং মুহূর্তের মধ্যে লিফটটি পড়ে গিয়ে নিচতলা থেকে আরও প্রায় এক হাত দেবে যায়। আমরা বুঝতে পারি, চেইন ছিঁড়ে লিফটটি নিচে পড়ে গেছে। আমরা লিফটের বদ্ধ দরজায় আঘাত করতে থাকি।
একপর্যায়ে আমাদের যেসব নেতাকর্মীরা সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন, তারা শব্দ শুনতে পেয়ে আমাদের উদ্ধার করেন। দরজা খোলার পর আমরা দু’হাত দিয়ে মেঝেতে ভর দিয়ে ওপরে উঠে আসি।
শাহাদাত হোসেন বলেন, লিফটটি অনেকটা ভাঙাচোরা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বলে আমাদের মনে হয়েছে। অথচ প্রতিবছর মেডিকেল খাতে এত বাজেট বরাদ্দ আসে, এই টাকা কোথায় যায় আমরা জানি না। মেডিকেলের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যদি লিফটের এই অবস্থা হয়, তাহলে রোগী-তাদের স্বজনদের নিরাপত্তা কোথায়? আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম, তখন এই হাসপাতালে নতুন লিফট স্থাপন করা হয়েছিল। এরপর থেকে আর লিফট আসেনি। দুর্নীতির মাধ্যমে টাকাগুলো আত্নসাৎ করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত নায়েক আব্দুল হামিদ বলেন, লিফট সামান্য দেবে গিয়েছিল। এতে কয়েকজন আটকা পড়েছিল ভেতরে। পরে সবাইকে বের করা হয়েছে। কারও কোনো ক্ষতি হয়নি।