বিনোদন
মনে করিয়ে দিয়েছেন কলকাতা তার দ্বিতীয় বাড়ি
বিনোদন ডেস্ক
১৬ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিবারের মতো এবারো যোগ দেবেন বলে ঠিক ছিল। সেইমতো বালিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন নিজের বক্তব্যও লিখে ফেলেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রাম নিতে হয়েছে। আসতে পারেন নি তিনি চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সেকথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। তবে সেই দুঃখ খানিকটা পুষিয়ে নিয়েছেন চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভিডিওর মাধ্যমে দেওয়া বার্তায়। গত শুক্রবার উৎসবের শেষদিনের অনুষ্ঠানে মঞ্চে লাগানো স্ক্রিনে শোনা গিয়েছে সেই চিরাচরিত ব্যারিটোন গলা। যা কিছু বলবেন বলে লিখেছিলেন ভিডিও বার্তায় সেই বক্তব্য তুলে ধরেছেন। বক্তব্যের শুরুতে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। তার প্রতি কলকাতার মানুষের ভালোবাসার জন্য স্পষ্ট বাংলাতেই সকলকে ‘অনেক অনেক ধন্যবাদ’ জানাতেও ভোলেন নি। কলকাতা কেন তার কাছে এত কাছের তা আরো একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন সকলকে। মনে করিয়ে দিয়েছেন কলকাতা তার দ্বিতীয় বাড়ি। এখানেই একটি কর্পোরেট কোম্পানিতে চাকরির মাধ্যমে তার ক্যারিয়ারের শুরু। বিয়েও করেছেন বাঙালি মেয়েকে। স্ত্রী জয়া ভাদুরীর (বর্তমানে বচ্চন) ক্যারিয়ার শুরুও বাংলাতেই। সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় ‘মহানগর’ ছবির হাত ধরেই জয়া বচ্চনের প্রথম অভিনয় জীবন শুরু বলে জানিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। তিনি আরো বলেছেন, কলকাতায় তার এক মামার বাড়ি রয়েছে। সেখানে তার মামাতো দিদিরাও প্রায়ই তাকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাতেন। সেই সূত্র ধরেই বাংলায় একটি ছড়া আবৃত্তি করেছেন। স্পষ্ট বাংলায় বিগ বি বলেছেন, ‘তাই তাই তাই, দিদির বাড়ি যাই, দিদির বাড়ি ভারী মজা কিল চড় নাই।’ এখানেই শেষ নয়, কলকাতায় বাংলা চলচ্চিত্রের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস, সংগীত জগৎ সবকিছুর কথাই উঠে এসেছে অমিতাভ বচ্চনের কথায়। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের ভবিষ্যত প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিয়ে বিগ বি বলেছেন, ডিজিটাল মাধ্যম যতই ভবিষ্যৎ হোক না কেন, তা কখনো বড় পর্দায় সিনেমা মুক্তির গৌরব, নস্টালজিয়া কেড়ে নিতে পারবে না। তার কথায়, বর্তমানে পুরুষ ও নারী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে এবং চলচ্চিত্র জগৎকে সমৃদ্ধ করছে। আধুনিক সিনেমার প্রতিফলন হিসাবে আমরা বাড়িতে বসেই ডিজিটাল মাধ্যমে সিনেমা দেখতে পারি, তবে তাতে বড় পর্দায় সিনেমা দেখার আনন্দ, আবেগ পূরণ করা সম্ভব নয়। আমাদের ঐতিহ্যকে সবসময়ই তাই বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। আমার প্রথম পছন্দ হলো প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখা। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শাবানা আজমি সহ টলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রী ও পরিচালকরা।