শেষের পাতা

হিলি বন্দরে পিয়াজের দাম একদিনেই বাড়লো ৫০-৬০ টাকা

হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৯:১৫ পূর্বাহ্ন

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পিয়াজের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। গত বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যে পিয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে বিকালের পর থেকে তা বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। পিয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় পিয়াজের দাম বাড়ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। এদিকে, বিরামপুরের কাঠলা সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে কিছু পিয়াজ আসলেও দাম কমার কোনো প্রভাব নেই বাজারে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের বাজারে পিয়াজের সংকট এবং সরবরাহ সমস্যা কাটিয়ে মূল্যবৃদ্ধি রুখতে ২৯শে সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। ব্যবসায়ীরা মনে করেছিলেন ভারত সরকার পিয়াজের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা কিছুদিনের জন্য বন্ধ রেখে প্রত্যাহার করে পুনরায় বাংলাদেশে পিয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন। কিন্তু দেড় মাসের বেশি সময় পার হলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি পিয়াজ রপ্তানির। রপ্তানির সিদ্ধান্ত না আসায় দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি আমদানি বন্ধ থাকায় দেশের বাজারে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টাকা করে কেজিতে বাড়ছে পিয়াজের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারের ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দেশি পিয়াজের পাশাপাশি বহির্বিশ্ব থেকে পিয়াজ আমদানি শুরু করা না গেলে সামনের দিনে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।  

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ী বাবলুর রহমান জানান, বন্দর দিয়ে পিয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ায় তারা বেকায়দায় পড়েছেন। বাজারে তাদের প্রচুর টাকা বকেয়া পড়ে গেছে। টাকার অভাবে তারা এলসির বিল ছাড়তে পারছেন না। গোডাউনগুলো প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ফাঁকা পড়ে আছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ব্যাপক তৎপরতা চালানোর পরও কোনো আশানুরূপ রেজাল্ট পাচ্ছেন না। অচিরে পিয়াজ আমদানি শুরু না হলে পিয়াজের বাজার আরো অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে।

পাশাপাশি তিনি আরো জানান, গত ১৩ই সেপ্টেম্বরের আগে প্রতি টন পিয়াজ ২৫০-৩০০ মার্কিন ডলারে আমদানি হতো। ১৩ই সেপ্টেম্বরের পর থেকে আমদানি মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৮৫০ মার্কিন ডলার। তখন অনেক এলসি অ্যামেন্ডমেন্ট করেননি ব্যবসায়ীরা। পরে পিয়াজ রপ্তানির বন্ধের সময় তারা প্রায় আড়াই থেকে ৩ হাজার টনের মতো পেয়াজের এলসি অ্যামেন্ডমেন্ট করেন। পুরনো অ্যামেন্ডমেন্টকৃত এলসিকে এলাউ না করায়, সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এখনো পিয়াজের এলসিগুলো ভারতে পড়ে আছে।

এদিকে, হোটেল ব্যবসায়ী নির্মল প্রামাণিক জানান, প্রতিদিন তার খাবার হোটেলে ২০ কেজি পিয়াজের প্রয়োজন হয়। পিয়াজের  দাম দিন দিন ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। দ্রুত পিয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা না হলে অন্যান্য পণ্যের উপর এর প্রভাব পড়া শুরু হবে। মানুষ এখন পিয়াজের দাম শুনে হতবাক হচ্ছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status