বিশ্বজমিন
ট্রাম্পের অভিশংসন তদন্ত
নতুন সাক্ষ্য ও দাবি নিয়ে সাদামাটাভাবে শুরু গণশুনানি
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১২:২২ অপরাহ্ন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে অভিশংসন তদন্ত চলছে। স্থানীয় সময় বুধবার থেকে তদন্তের গণশুনানি শুরু হয়েছে। পুরো শুনানি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছে। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন ট্রাম্প। গণশুনানির প্রথম দিনে অনেকটা মিশ্র ফলাফল পেয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। ওঠে এসেছে নতুন দাবি। এর মধ্যে ট্রাম্পের অপর এক ফোনকলের কথাও রয়েছে। তবে বিস্ফোরক কোনো তথ্য মেলেনি।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিল ডেমোক্র্যাটরাই। প্রাথমিকভাবে তদন্তটি প্রতিনিধি পরিষদের তিন কমিটি পরিচালনা করেছে। বুধবারের পূর্বে সকল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে রুদ্ধদ্বার কক্ষে। ওইসব শুনানিতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার সাক্ষ্য থেকে বেড়িয়ে এসেছে বিস্ফোরক সব তথ্য। অবশেষে গত মাসের শেষের দিকে তদন্তের শুনানি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার বিল পাস হয় মার্কিন পার্লামেন্টে। এর মাধ্যমে তদন্তটিকে আরো আনুষ্ঠানিক রুপ দেয়া হয়। মার্কিন সংবিধান অনুসারে, অভিশংসন তদন্ত পরিচালনার জন্য বিল পাসের প্রয়োজন পড়ে না। তবে রিপাবলিকানরা সম্প্রতি তদন্তটি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ করার পর ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে গত মাসে এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
গত জুলাইয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক ফোনালাপে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়েই ট্রাম্পের বির”দ্ধে তদন্ত চলছে। অভিযোগ অনুসারে, নিজের ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বির”দ্ধে তদন্ত করতে জেলেনস্কিকে চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তদন্ত চালু না করায় ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ সামরিক সহায়তা আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরিদ্ধে।
নতুন তথ্য
বুধবার গণশুনানির প্রথম দিন ছিল। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলেছে জিজ্ঞাসাবাদ ও সাক্ষ্যদান। এদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন ইউক্রেনে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিল টেলর। তিনি জানান, তার একজন কর্মী তাকে জানিয়েছিল যে, বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালু করা নিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্প এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
টেলর বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গর্ডন সন্ডল্যান্ডের সঙ্গে এক ফোনালাপে তার কাছে বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। এখানে উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুর দিকে সন্ডল্যান্ড সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছি ট্রাম্পকে। তখন তিনি বলেছিলেন, আমি তাকে তেমন একটা চিনি না। বুধবার তাদের মধ্যকার ফোনকল নিয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। এই ফোনকল সম্পর্কে আজই প্রথম শুনলাম।
টেলর ছাড়া বুধবার আরো সাক্ষ্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপ বিষয়ক সাবেক কূটনীতিক জর্জ কেন্ট। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি ইউক্রেনে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ম্যারি ইয়োভানোভিচের বিরুদ্ধে সমালোচনা ছড়িয়েছেন।
নতুন এই দুই তথ্য ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো সাক্ষ্য পাওয়া যায়নি বুধবার।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিল ডেমোক্র্যাটরাই। প্রাথমিকভাবে তদন্তটি প্রতিনিধি পরিষদের তিন কমিটি পরিচালনা করেছে। বুধবারের পূর্বে সকল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে রুদ্ধদ্বার কক্ষে। ওইসব শুনানিতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার সাক্ষ্য থেকে বেড়িয়ে এসেছে বিস্ফোরক সব তথ্য। অবশেষে গত মাসের শেষের দিকে তদন্তের শুনানি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার বিল পাস হয় মার্কিন পার্লামেন্টে। এর মাধ্যমে তদন্তটিকে আরো আনুষ্ঠানিক রুপ দেয়া হয়। মার্কিন সংবিধান অনুসারে, অভিশংসন তদন্ত পরিচালনার জন্য বিল পাসের প্রয়োজন পড়ে না। তবে রিপাবলিকানরা সম্প্রতি তদন্তটি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ করার পর ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে গত মাসে এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
গত জুলাইয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক ফোনালাপে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়েই ট্রাম্পের বির”দ্ধে তদন্ত চলছে। অভিযোগ অনুসারে, নিজের ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বির”দ্ধে তদন্ত করতে জেলেনস্কিকে চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তদন্ত চালু না করায় ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ সামরিক সহায়তা আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরিদ্ধে।
নতুন তথ্য
বুধবার গণশুনানির প্রথম দিন ছিল। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলেছে জিজ্ঞাসাবাদ ও সাক্ষ্যদান। এদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন ইউক্রেনে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিল টেলর। তিনি জানান, তার একজন কর্মী তাকে জানিয়েছিল যে, বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালু করা নিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্প এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
টেলর বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গর্ডন সন্ডল্যান্ডের সঙ্গে এক ফোনালাপে তার কাছে বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। এখানে উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুর দিকে সন্ডল্যান্ড সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছি ট্রাম্পকে। তখন তিনি বলেছিলেন, আমি তাকে তেমন একটা চিনি না। বুধবার তাদের মধ্যকার ফোনকল নিয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। এই ফোনকল সম্পর্কে আজই প্রথম শুনলাম।
টেলর ছাড়া বুধবার আরো সাক্ষ্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপ বিষয়ক সাবেক কূটনীতিক জর্জ কেন্ট। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি ইউক্রেনে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ম্যারি ইয়োভানোভিচের বিরুদ্ধে সমালোচনা ছড়িয়েছেন।
নতুন এই দুই তথ্য ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো সাক্ষ্য পাওয়া যায়নি বুধবার।